পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وان وا8 w^^^ চামচ ছাড়িয়া ছুরী নাড়িতে নাড়িতে রমলার পায়ের সাটিনের চটিজুঙ্গের উপর চোখ রাখিয়া যতীন বলিল,— দেখুন আপনাকে প্রথম দিনেই দেখে মনে হয়েছে— সে আবার থামিয়া গেল, ছুরী ছাড়িয়া প্যান্টের পকেট হইতে রুমাল বাহির করিয়া কপালের ঘাম মুছিতে লাগিল। রমলা রহস্যকৌতুকভরা মুখে চাহিয়া টেবিলে ঠেদান দিয়া দাড়াইয়া বলিল,—গরম হচ্ছে, চলুন বাইরে । রুমালটা হাত দিয়া পাকাইতে পাকাইতে যতীন মরিয়া হইয়া বলিল,-"দেখুন, কাল রজতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, সে বঙ্গে তুমি কি খনির সন্ধানে ফিরছ, আমি যদি আমার জীবনের সত্যিকার সঙ্গিনীকে খুঁজে পাই—right girl— হ, বলির রমলা অতি ক্ষীণ মধুর করুণ হাসিল । সে হাসি রমলাই হাসিতে পারে। মরিয়া হইয়া যতীন বলিয়া যাইতে লাগিল,—কাল বিকেলে আপনাকে পেয়ে মনে হল আমার জীবনের সঙ্গিনীকে খুঁজে পেয়েছি, তোমাকে আমি সত্যি খুবই— রমলার মুখের দিকে চাহিয়া সে থামিয়া গেল । ভাতের জল ফুটিয়া হাড়ির গ৷ বহিয়া উনানের আগুনে পড়িল। সেই জলের ছিটার স্পর্শে জলন্ত অঙ্গারের মত চোখ কাপাইয়া যতীনের উদ্দীপ্ত মুখের দিকে চাহিয়া রমলা গম্ভীর কণ্ঠে বলিল,—দেখুন, আপনি— থতমত থাইয়া যতীন বলিল,—ই – রমল গম্ভীর স্বরে বলিল,—আপনি আমায় একদিন মাত্র দেখেছেন, কয়েক ঘণ্টা জানেন মাত্র । অতি বিনীতকণ্ঠে যতীন বলিল,—কিন্তু একদিনেই winto goto &o-at first sight— - তীক্ষুস্বরে রমলা বলিল,—ছুদিন বাদে সে বোধ নাও হতে পারে । অনুনয়ের স্বরে যতীন বলিল,—আমি সত্যি বলছি, আমার মনে হচ্ছে— t তিক্তকণ্ঠে রমা বলিল,-আমার মনে নাও হতে পারে । - প্রার্থনার স্বরে যতীন বলিল,—দেখুন, যদি কোন দোষ করে থাকি ক্ষয় করবেন। [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMAMAAASAAAA AAAA AAAAA ব্যথিতকণ্ঠে রমলা বলিল,—দোষ আর কি ? তৰে একদিনের আলাপেই— যতীন ধীরে বলিল,—তাই যথেষ্ট বোধ হয়েছিল ! সহজস্বরে রমলা বলিল,—তা যথেষ্ট নয়, এক জীবনের জানা-শোনাও যথেষ্ট হয় না। আমি ভেবেছিলুম আপনি বুদ্ধিমান, কাজের লোক— . সে মনে মনে হাসিয়া বলিল,-কিন্তু দেখৃছি একটা इंछिग्रहे । যতীন অনেকটা প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিল,—তাই যা মনে হয় তাড়াতাড়ি সেরে ফেলি, ফেলে রাখতে পারি না। " রমলা হাসিমাথা স্বরে বলিল,—অতটা তাড়াতাড়ি ভাল নয়। দেখুন—আমার সঙ্গে এমন ফ্লার্ট করাটা আপনার উচিত হচ্ছে না। ব্যথিত হইয়া যতীন রুমালে আর-একবার মুখ মুছিয়া ভৗতকরুণনেত্রে চাহিয়া বলিল,—আমি আপনার বন্ধু হতে চাই । রমলা এতক্ষণে যেন নিজের সহজ অবস্থা ফিরিয়া পাইল । সে আবার কৌতুকভর চোখে চাহিয়া বলিল,— বেশ, আমার কৌন আপত্তি নেই। হার্টুটা টেবিল হইতে তুলিয়া লইয়া বিনীতস্বরে যতীন বলিল,—ক্ষমা করবেন, কিছু মনে করবেন না । অতি মিষ্টিগলায় রমলা বলিল,—ন, না। আর দেখুন রাতে আপনার নেমন্তয় রইল, আপনার জন্যই খানসামাকে পাঠাতে হল চাল আনবার জন্তে-বিকেলে কিন্তু ঠিক আসবেন, শালবনটার কাছে যাওয়া যাবে। টুপি তুলিয়া যতীন ধীরে ধীরে দাড়াইল । রমলা একটু ব্যথিত কণ্ঠে বলিল,—আপনাকে না জেনে ব্যথা দিলুম, ক্ষমা করবেন। আসবেন ঠিক। ধীরে নমস্কার করিয়া যতীন বাহির হইয়া গেল । তাহার চায়ন-পিন্ধের স্বটটা যখন গাছের আড়ালে ঢাকা পড়িয়া গেল, রমলা টুলটা টানিয়া উনানের আগুনের দিকে অনিমেযনয়নে চাহিয়া বসিয়া রহিল । মাংস চড়াইল না, আলুৎ কুটিল না। রান্নাঘর স্তষ্ক, শুধু জলের টগবগ শব আর রান্নাঘরের মাথায় শালগাছগুলির স্বত্ব মর্শ্বরধ্বনি। রমলা আগুনের দিকে চাহিয়া