পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পরে আবার গৌহাটী ফিরে গিয়ে যথারীতি চাকুরী করতে লাগলুম । দেশ থেকে এসে আমার ভগ্নীপতির সঙ্গে প্রথম প্রথম খুব পত্র লেখালেখি ছিল, তারপর তা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেল । তার আর বিশেষ কোনো সংবাদ রাখতুম না, তবে মাঝে মাঝে মামার বাড়ীর পত্রে জানতে পারতুম, সে অনেকের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও পুনরায় বিবাহ করতে রাজী নয় । বিবাহ সে আর নাকি করবে না। এই রকম ক’রে বিদেশে অনেক দিন কেটে গেল, দেশে যাবার বিশেষ কোনো টান না থাকাতে দেশে বড় যেতুম না। আমার মা বাবা অনেক দিন মারা গিয়েছিলেন, বোনগুলির সব বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, আমি নিজেও তখন অবিবাহিত, কাজেই আমার পক্ষে দেশ বিদেশ দুই সমান ছিল । চা-বাগানের কাজের কোন বৈচিত্র্য ছিল না, সকাল-বেলা ডাক্তারখানায় ব’সে নীরস একঘেয়ে ভাবে কুলীদের হাত দেখা, কলের পুতুলের মভ ঔষধ লিখে দেওয়া । রোগ তাদের যেন বড় একঘেয়ে রকমের, সাদাজর, হিল-ডায়েরিয়া, বড় জোর কালাজর, কালে ভদ্রে এক-আধটা টাইফয়েড বা শক্ত রকমের নিউমোনিয় । যখন হাতে কাজকৰ্ম্ম বিশেষ থাকৃতো না, তখন পড়তুম, না হয় আমার একটা খেয়াল আছে—অপটিকৃসের বা আলোকতত্ত্বের চর্চা করা–তাই কর্তুম। বাংলার একটা ঘর এই উদ্দেশ্যে আঁধার ঘর বা ডার্ক রুমে পরিণত করে নিয়েছিলুম। কলিকাতা থেকে প্রতি মাসে অনেক ভাল ভাল লেন্স ও অপটিকৃসের বই সব আনাতুম। বছর তিনেক এই ভাবে কেটে গেল। এই সময় মামার বাড়ীর পত্রে জানলুম, আমার ভগ্নীপতি আবার বিবাহ করেছে । সকলের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ ও পীড়াপীড়ির হাত সে নাকি আর এড়াতে পারলে না । এতে মনে মনে আমি তাকে কোন দোষ দিতে পাবুলুম না, শৈলর প্রতি তার ভালবাসা আকৃত্রিমই, তারই বলে সে এতদিন যুঝলো তো ? সেবার বৈশাখ মাসের প্রথমে দেশে গিয়ে মামার বাড়ী উঠলুম। আমার এমন কতকগুলো কথা অপটিক্স 輸 ية ـ في 4 مع উমারাণী & S6: সম্বন্ধে মনে এসেছিল যা একজন বিশেষজ্ঞের নিকট বলা নিতান্ত আবশ্যক ছিল । আমার এক বন্ধু সেবার বিলাত থেকে এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে বস্তুবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিল, তার সঙ্গে সে-সব বিষয়ের কথাবার্তা কইবার জন্যেই আমার একরকম কলিকাতায় আসা। তার ওখানে যাতায়াত আরম্ভ করলুম, সে ও খুব উৎসাহ দিল, আমি অপৃটিক্স নিয়ে একেবারে মেতে উঠলুম। এই অবস্থায় একদিন সকাল-বেলা বারান্দায় ব’লে পড়ছি, হঠাৎ আমার চোখ পড়ে গেল সাম্নের বাড়ীর জানলাটায়। সেইটেই আমার ভগ্নীপতির বাসা । দেখলুম কে একটি অপরিচিত মেয়ে ঘরের মধ্যে কি কাজ করছে। আমার দিক থেকে শুধু তার স্বপুষ্ট হাত দুটি দেখা যাচ্ছিল, আর মনে হচ্ছিল তার পিঠের দিকটা খুব চওড়া । একটু পরেই সেই ঘরের ভিতর ঢুকলো আমার ভগ্নীপতির বোন টুনি। টুনির বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বোধ হয় সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ী থেকে এসেছে। আমি গৌহাটী থেকে এসে পৰ্য্যন্ত ওদের বাড়ী যাই নি । টুনিকে দেখে ডেকে জিজ্ঞাসা করলুম–টুনি, ঐ মেয়েটি কি নতুন বউ ? —হঁ্যা, দাদা । —দেখি একবার । টুনি মেয়েটিকে ডেকে কি বল্পে, তাকে জানালার কাছে নিয়ে এসে তার ঘোমটা খুলে দিলে। ভাল দেখা গেল ন। । গলির এপারে আমাদের মামাদের বাড়ীটা উঠে গলির ওপারের বাড়ীর ঘরগুলোকে প্রায় অপটিক্স্ চর্চার ডার্ক-রুম ক’রে তুলেছিল, দিনমানেও তার মধ্যে অীলে| যায় না । ভাল ন| দেখতে পেয়ে বল্লম, "র্হী রে, কিছুই তো দেখতে পেলুম না ?” টুনি হেসে উঠলে, বললে, “আপনি ওখান থেকে যে দেখতে পাবেন না তা আমি জানি। তার ওপর তো আবার চঃমা নিয়েচেন ।” তারপর কি ভেবে টুনি একটু গভীর হোলে, বলে, “আপনি এসে পৰ্য্যন্ত তে৷ এবাড়ী একবারও আসেন নি, দাদা । আজ দুপুরবেলা একবার আসবেন ?” দ্বপুর বেলায় ওদের বাড়ী গেলুম। বাড়ী क्रं `(ेनं