পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سيؤذية আমি বল্লুম, “রাণী, আমি যতবার অস্েিৰা ঘাৰে৷ ততবারই কি ভ্ৰামায় একটা ক'রে প্রণাম করতে হবে ?” উমারাণী বোধ হয় এই প্রথমবার অামার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে বলে, “কাল বিকেলে আসবেন, দাদা ।”

  • এর আগে উমারাণী কখনো আমায় দাদা বলে ডাকেনি। আমি ওর মুখে দাদা ডাক শুনে বড় জানন্দ পেলুম। বল্লুম, “কাল তো বিজয় দশমী, আসবো বৈ কি।”

তার পরদিন বিজয় দশমী। সন্ধ্যার পর ওদের বাড়ী গেলুম। সকলকে প্রণাম করলুম। টুনি এসে বলে, “আপনি দালানের পাশের ঘরে যান। ওখানে বৌদি আছেন।” আমি সে ঘরের দোর পর্য্যন্ত গিয়ে ঘরের মধ্যে একটা বড় স্বন্দর দৃপ্ত দেখলুম। তাতে ঘরের মধ্যে যাওয়া বন্ধ ক'রে আমায় দোরের কাছে দাড়িয়ে থাকৃতে হোলো । দেখি, ঘরের মধ্যে খাটের উপরে ব’সে আমার ছোট ভাই শচীশ, তার বয়স বার তের। তার পাশে উমারাণী দাড়িয়ে খাটের পাশের একটা টেবিলের উপরকার একখানা রেকারী থেকে খাবার নিয়ে শচীশের মুখে তুলে দিয়ে তাকে খাওয়াচ্ছে। ওদের দুজনকারই পেছন আমার দিকে । এমন কোমল স্নেহের সঙ্গে উমারাণী, শচীশের কাধের ওপর তার বা হাতটি দিয়ে স্নেহময়ী বড়দিদির মত আপন হাতে তার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে, যে, আমার মনে হোলো আজি শৈল বেঁচে থাকৃলে সে এর বেশী করতে পারতে না । উমারাণীর প্রতি এতদিন অনচুভূত একটা স্নেহরসে আমার মন সিক্ত হয়ে উঠলো। আমি খানিকক্ষণ দোরের কাছে চুপ ক’রে দ্বাড়িয়ে থেকে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে উষারাণীকে বহুম, “লুকিয়ে লুকিয়ে ছোট ভাইকে খাওয়ালে শুধু হবে না। দাদাকে কি খেতে দিবি রে, রাণী ?” বেচারী উমারাণীর মুখ লাল হয়ে উঠলো লজ্জায়। সে এমন থতমত খেয়ে গেল হঠাৎ, যে, খামক যে প্রবাসী-ভ্রাবণ, ১৩২৯ t ૧૨ન ગન, ૧ ૧૭ SAASAASAASAASAASAA AAAA AAAAMAMAMAMMAMMAAASAAAS এত প্ৰণাম করে, আজ বিজয়ায় প্রশাম করতে সে ভুলে গেল। একটা কি কথা অস্পষ্টভাবে বার দুই বলে সে মাথা নীচু করে রইল। আমিও তার দিকে চেয়ে চুপ করে দাড়িয়ে রইলুম, আজ যে তাৰে ধ’রে ফেলেছি, তার ভাই-বোন্‌-বিহীন নির্জন প্রাণটি কিসের জন্তে তৃষিত হয়ে আছে, তা যে আজ বার ক’রে ফেলেছি। আজ অনুভব করছিলুম, জগতের মধ্যে ভাইবোনের একটুকু স্নেহ পাবার জন্তে ব্যাকুল, এমন অনেক হৃদয়কে আজ আমি আমার বড়-ভাইয়ের উদার স্নেহছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছি। একটা বুক-জুড়ানো তৃপ্তিতে আমার মন ভরে উঠল। সেই সময় টুনি সেই ঘরে ঢুকে আমার সাম্নের টেবিলে থালা-ভরা মিষ্টান্ন রেখে বলে, "দাদা, একটু মিষ্টি-মুখ করুন।” আমি টুনিকে বল্লুম, “আয় টুনি, সকলে মিলে –" উমারাণীকে খাটের উপর বসালুম। খাবার সকলকেই দিলুম। উমারাণী লজ্জায় একেবারে আড়ষ্ট, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেল তার, লঙ্গার চোটে। বেচারী লজ্জায় আর ঘামে হঁাপিয়ে মারা যায় দেখে তার ঘোমটা বেশ ক’রে খুলে দিলুম। বল্লুম, “আমি দাদা, আমার কাছে লজ্জা কি রে, রাণী ? আমার লক্ষ্মী ছোট বোনটি—,” জলযোগ পৰ্ব্ব সমাধা ক'রে বাইরের দালানে এসে টুনির মায়ের সঙ্গে গল্প কর্ভে আরম্ভ করলুম। একটু পরে তিনি উঠে রান্নাঘরে চ'লে গেলেন । আরও খানিক পরে আমি উঠতে যাচ্ছি, উমারাণী এসে কাছে দাড়াল। জিজ্ঞাসা করলুম, “রাণী, আজ ঠাকুর-বিসর্জন দেখলি নে ?” - সে বলে, “ওপরের ঘরের জানাল থেকে দেখছিলাম, বেশ ভালো ৷” বল্লুম, “অনেক রকমের প্রতিমা, না ?” সে বলে, “হা, কত সব বড় বড়।” তার পর একটু চুপ ক’রে থেকে আমার দিকে চেয়ে বলে, “দাদা, কাল আসবেন না ?” আমি বল্লুম, “সে কি বলতে পারি ? সময় পাই তো مسیحیی می عیسی مسی ۶۳ص به محمد