পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থসংখ#] আসবে। আবার শীগগির চলে যাবে কিনা, অনেক কাজ আছে " . . সে বলে, “আপনি কি খুব শিগগির যাবেন, দাদা?" আমি বল্লুম, “ই, বেশী দিন তো ছুটি নেই, পূর্ণিমার পরেই যেতে হবে ।” উমারাণী নতমুখে চুপ ক’রে রইল। বল্লুম, “তা তোকেও ষ্ঠো আর বেশী দিন থাকৃতে হবে না রে ।” উমারাণী বলে, “বাবা বোধ হয় কাল আসবেন।” ওকে একটু সাৰনা দেবার জন্ত বহুম, “তবে আর কি ? এই দুটো দিন কোন রকমে কাটলেই তো—” সে একটু চুপ করে থেকে তার পর যেন ভয়ে ভয়ে বলে, “যাবার আগে একবারটি এবাড়ী আসতে পারবেন না, দাদা ?” বল্লম, “খুব খুব। আসবো বৈকি। নিশ্চয়।” এর ৬৭ দিন পরে গৌহাটী রওনা হলুম। এই ৬৭ দিন নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে চারিদিক ঘুরতে হয়েছিল। শচীশের মুখে শুনেছিলুম উমারাণীর পশ্চিম যাওয়া হয় নি । কি কারণে তার বাবা তাকে निरडू আসতে পারেন নি। শচীশ মাঝে মাঝে বলতে, “দাদা যাবার আগে একবার দিদির সঙ্গে দেখা ক’রে যাবেন । তিনি আপনার কথা প্রায়ই বলেন।” ইচ্ছা থাকৃলেও গৌহাটী যাবার আগে উমারাণীর সঙ্গে দেখা করা আর আমার ঘটে ওঠে নি । গৌহাটী গিয়ে এবার অনেকদিন রইলুম। উমারাণীর কথা প্রথম প্রথম আমার খুব মনে হোত, তারপর দিনকর্তক পরে তেমন বিশেষ করে আর মনে হোত না, ক্রমে প্রায় ভুলেই গেলুম। কিছু দিন পরে গৌহাটীর চাকরী ছেড়ে দিলুম। শিলচর, দার্জিলিং, নানা চা-বাগান বেড়ালুম। দু-একটা হাসপাতালেও কাজ করলুম। সব সময় নির্জনে কাটাতুম। এক বাংলায় থেকে থেকে কেমন হয়েছিল, অনেক লোকের ভিড়, অনেক লোকের একসঙ্গে কথাবার্তা, সন্থ করতে পারতুম না। এখানে সন্ধ্যায় পাহাড়ের দেওয়ালের গায়ে কুঙ্কম-ছড়ানো স্বৰ্য্যাস্ত, চা-ঝোপের চারিপাশ-ঘেরা গোধূলির অন্ধকার, উমারাণী &సి श्रडैौब्र ब्रांजिब्र ७को रडक शर्डौब्र थम्थम् उांद, जांद्र সরল গাছের ডালপালার মধ্যে বাতাসের বিচিত্র স্বর, ওই আমার কাছে বড় প্রিয়, বড় স্বস্তিকর ব’লে মনে হোত।...বস্বার ঘরটিতে সাজিয়ে রেখেছিলুম জগতের Ho-Hosa włażązna ro-Gauss, Zollner, Helmholtz, Giekie, Logan, Dawson ; ffrwg wystę. সামান্ত প্রতিভা আমাদের স্বন্দরী বস্থদ্ধরার অতীত শৈশবের, তার রহস্যময় বালিক-জীবনের তমসাচ্ছন্ন ইতিহাসের পাতা আলোকোজ্জল ক’রে তুলেছে, র্যাদের মনীষার যোগ-দৃষ্টি অসীম শূন্যের দূরত। ভেদ ক’বে বিশাল নক্ষত্ৰজগতের তত্ত্ব অবগত হচ্চে, তাদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত কাটাতুম। জগতের রহস্তভর অসিদ্ধি তাদেরই প্রতিভার তীব্র সাঙ্গুলাইট পাতে উজ্জল হয়ে তবে তো আমাদের মত সাধারণ মানুষের দৃষ্টির সীমার মধ্যে আসছে ! এই রকম প্রায় ৭৮ বছর পরে আবার কলকাতায় গেলুম। ভাবলুম কলকাতাতেই প্রাকৃটিস্ আরম্ভ করবো । মামার বাড়ী গিয়ে উঠলুম। শুনলুম, সামনের বাড়ীটায় আমার ভগ্নীপতিরা আর থাকে না, তারা বছর পাঁচ ছয় হোলো দেশে চলে গিয়েছে। কয়েক মাস কলকাতায় কাটুলো । প্রাকৃটিম যে খুব জমে উঠেছিল, এমন নয় ; বা অদূর ভবিষ্যতেও যে খুব জমে উঠবে, এমন মনে করবার কোন কারণও দেখতে পাচ্ছিলুম না। এমন অবস্থায়, একদিন সকালে মামার বাড়ীর ওপরের ঘরে বসে পড়ছি, এমন সময় কে ঘরে ঢুক্লো। চেয়ে দেখে প্রথমটা যেন চিনতে পারলুম না, তারপর চিন্‌লুম—টুনি । অনেক দিন তাকে দেখিনি, তার চেহারা খুব বদলে গিয়েছে । আমি তাকে হঠাৎ দেখে যেমন আশ্চৰ্য্যও হলুম, তেমনি খুব আনন্দিতও হলুম। টুনি বললে, সে তার স্বামীর সঙ্গে আজ ৫৬ দিন হোলো কলকাতায় এসেছে, শিমূলেতে তাদের কোন আত্মীয়ের বাড়ীতে এসে আছে, আজ এবাড়ীর সকলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। অন্যান্ত কথাবাৰ্ত্তার পর তাকে জিজ্ঞাসা কবুলুম, “স্বরেন এখন কোথায় ?” স্বরেন আমার ভগ্নীপতির নাম ।