পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

............।“ ৪র্থ সংখ্যা ] SA A MA S T S M S SA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SeM AAAA ASAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA SAAAA AAS AAAAA AAAAS AAAAA AAAAS AAAAAeeS গিয়ে একটা ওষুধ পাঠিয়ে দেব, সেইটে নিয়মমত খেতে হবে । না হোলে এ ষে মহা কষ্ট ।” se একটু পরে সে বলে, “তা হলে সত্যি, দাদা, আমি কিন্তু বিয়ের চেষ্টা করবো। বলুন।” আমি তার কথায় মনে বড় কৌতুক অনুভব করলুম। এই অবোধ মেয়েটা জানে না যে সে এমনি একটা প্রস্তাব উত্থাপন ক'রে বসেচে, যাকে কাৰ্য্যে পরিণত করা তার ক্ষুদ্র শক্তির বাইরে । বল্লুম, “বকিস্ নে, রাণী।” খানিকক্ষণ হয়ে গেল, সে আর কথা কয় না দেখে পেছন ফিরে দেখি, ছেলেমামুষে হঠাৎ ধমক খেলে যেমন ভরসা-হারা চোখে তাকায়, তার চোখে তেমনি দৃষ্টি । মনে হোলো, একটা ভুল করেছি, উমারাণী সেই ধরণের মেয়ে যারা নিজেকে জোর ক'রে কখন প্রচার করতে পারে ন, পরের ইচ্ছার সঙ্গে ইচ্ছা মিলিয়ে দিয়ে স্রোতের জলের শেওলার মত যারা জীবন কাটিয়ে দিতেই অভ্যস্ত । স্নেহ-স্বপে সে আবোল-তাবোল, বকৃছিল, এর সঙ্গে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে ব্যবহার করতে হবে, বাতাস লজ্জাবতীলতার সঙ্গে যতটা সতর্ক হয়ে চলে তার চেয়েও । কথাটা যতটা পারি সাম্লে নেবার জন্য বললুম, “তোর যদি সত্যি সত্যি বিয়ে দেবার ইচ্ছে থাকৃতে, তা হলে তুই পাজিখানা আনতি দিন কোন মাসে আছে না-আছে সেগুলো সব দেখতে হবে তো, না শুধু শুধু তোর কেবল বকুনি।” উমারাণীর মুখ উজ্জল হয়ে উঠলো, চোখের সে ভয়ভয় দৃষ্টিটা কেটে গেল। আমার কথার মধ্যে সে আমার বকুনির একটা কারণ খুজে পেল। বোধ হয়, বিয়ে করবার জন্ত নিতান্ত উংস্থক দাদাটির উপর তার একটু কৃপাও হোলো। সে বলে, “পাজি আপনাকে দিয়ে অীজ দেখিয়ে নেব, সে তো ভেবেই রেখেচি, দাদা। আপনি বক্ষন, আমি ওঘর থেকে পাজিথান নিয়ে আসি।” দালানের ওপাশে একটা ঘর ছিল, উমারাণী সেই ঘরটার মধ্যে উঠে গেল। সেই সময় পিসিমা নীচে থেকে তাৰু দিলেন, “বেীমু, নেমে এস, বেলা যে গেল, চালগুলো-জাবার কুটুতে হবে তো।” উমারাণী AMAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA AAAAeM MeS AAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAeM AM AA AeAeM MeeAeMAeeAM MeS ਾਲ਼ ৫২৫ উমারাণী ঘরটার বার হয়ে এসে আমার হাতে পাঞ্জিখানা দিয়ে বললে, “আপনি দেখে রাখুন দাদা, আমায় বলবেন এখন। আমি এখুনি আসচি।" সে নীচে নেমে গেল । তখন বেলা একটু পড়ে এসেছে, নীচের বাগানের সদ্য-ফোটা-বাতাবী-নেকুফুলের গন্ধে ঘরের বাতাস ভুরতুর কচ্ছে, বাগানের পথের পাশের সঙ্গনে-গাছগুলো ফুলে ভৰ্ত্তি। পড়ন্ত রোদ ঝিবৃঝিরে বাতাসে পেয়ারা-গাছের সাদা ডাল গুলো বুটি-কাট রাংতার সাজে মুড়ে দিয়েচে । উমরাণী কাজে গিয়েছে, এখন আর আসবে না ভেবে মাঠের দিকে বেড়াতে যাবার ইচ্ছে হোলো। উঠতে গিয়ে লক্ষ্য করুলুম থাটের পাশে একটা কাঠের হাত-বাক্স রয়েছে, সেটা অনেক কালের, রং-ওঠা, তাতে চাবির কলটাও নেই। সেই কাঠের বাক্সটার ডালা খুললুম। দেখি তার মধ্যে কতকগুলো টাটকা-তোলা নেবু ফুল, কতক গুলো গাঁদা ফুল, আর কতকগুলো আধ-শুকনো ঘেটু ফুল। ফুলগুলোর তলায় একটু আধ-ময়লা নেকৃড়ায় যত্ব ক’রে জড়ানো কি জিনিস । নেকৃড়ায় এমন কি জিনিষ যার সঙ্গে এতগুলো ফুলের কার্য্যকারণ সম্পর্ক, এই নির্ণয় করতে কৌতুহলবশতঃ নেকৃড়ার ভাজ খুলে ফেলে দেখুলুম তার মধ্যে খানকতক থামের চিঠি। চিঠিগুলোর উপর উমরাণীর নামে ঠিকানা লেখা, হাতের লেখ৷ আমার ভগ্নীপতি স্বরেনের। তার পোষ্ট অফিসের মোহর দেখে বুঝলুম চিঠিগুলো ৫৬ বছরের পুরোনো, একখানা কেবল একবছর আগে লেখা । কৃপণের ধনের মত উমরাণী যার পুরোনো চিঠিগুলো এমন সযত্নে রক্ষা করছে, তার মধুর হৃদয়ের স্নেহচ্ছায়াগহন যুথীবনে যার স্মৃতির নীরব আরতি এমনি দিনের পর দিন প্রতি সকাল-সাঝে চলছে, কেমন সে অভাগা দেবতা, যে এ উপাসন-মন্দিরের ধূপগন্ধকে এড়িয়ে চিরদিন বাইরে বাইরেই ফিরতে লাগৃগো ! মাঠ থেকে বেড়িয়ে যখন আসি, তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, ওদের রান্নাঘরে আলো জলছে । আমার পারের শব্দ শুনে উমারাণী বল্পে, "দাদা এলেন ?” আমি উত্তর দেবার পূৰ্ব্বেই সে হাসিমুখে রান্নাম্বর থেকে বার