পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(էֆե A^*^^^^ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড একথা তুলে আসনে কখনো যে তোর বড় ভাই এখনও আপনার বেীকে দেবার জন্তে। সে আষাঢ় মাসে ওগুলো ৫বচে অাছে ॥* . - যখন চ’লে আসি তখন সে তাদের বাইরের বাড়ীর লার ধ’রে দাড়িয়ে রইল, আসতে মালতে পিছন ফিরে দেখলুম সে কাতর চোখে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। যখন পথের বাক ফিরেচি, তখনও তাকে দেখা যাচ্ছিল, ৰেল-শেষের হলদে-রোদ স্বপারি গাছের সারির ফাক দিয়ে তার কক্ষ কোকড়া চুলে ঘেরা বিষন্ন মুখখানির উপর । গিয়ে পড়েছিল। 壽 韃 韃 韃 বছর খানেক পরে আমি আবার চাকরী নিয়ে গেলুম গফুরভঞ্জ রাজষ্টেটে। সেখানে থাকৃতে স্বরেনের এক পত্রে জানলুম-উমারাণী মারা গিয়েচে । যাবেই, তা জানতুম। সেবার যখন তার কাছ থেকে চলে আসি তখনই বুঝে এসেছিলুম, এই তার সঙ্গে শেষ দেখা । স্থরেনকে এসে পত্র লিখেছিলুম, উমারাণীর অবস্থা সব খুলে, কোনো একটা ভাল জায়গায় তাকে কিছুদিন নিয়ে যেতে । স্থরেন লিখেছিল, জমিদারের কাজ, আদায়পত্র হাতে, পূজোর সময় বরং দেখবে, এখন যাবার কোনো উপায় নেই, ইত্যাদি। উমারাণী মারা গেল সেই ভাত্র মাসে । তারপর আরও বছর খানেক কেটে গেল । সেবার কিছুদিন ছুটী নিয়ে কলকাতা এসে দেখলুম ওদের সেই স্বাড়ীতে ওরা আবার বাস করছে । আমি এসেছি গুনে টুনি দেখা করতে এল । খানিক একখা সেকথার পর ষ্টুনি কাগজে মোড়া একটা কি আমার হাতে দিল, খুলে দেখি মেয়েদের মাথায় দেবার কতকগুলো রূপোর কাটা । টুনি বললে, “বোঁদি যে ভাত্র মাসে মারা যায়, আমি সেই *াবণ মাসে চাপাপুকুর গিয়েছিলাম। বৌদি আপনার কত গল্প করলে, বলে, মায়ের পেটের ভাই যে কি জিনিস, ঠাকুরবি, তা আমি দাদাকে. দিয়ে বুঝেচি। জামার বড় ইচ্ছে আমি দাদার বিয়ে দিয়ে তাকে সংসারী করে দেব। দাদা আমার ভেসে ভেসে বেড়ান, কেউ একটু যত্ন করবার নেই, ওতে আমার বড় কষ্ট হয়। ওই পোর কাটাগুলো সে গড়িয়েছিল আপনার বিয়ে হলে গড়িয়েছিল, আমি গেলে আমায় দেখিয়ে বরে, ইচ্ছে ছিল সোনার চিরুনী দিয়ে দাদার বেএর মুখ দেখবে, কিন্তু এখন অত পয়সা কোথায় পাবে, এই বছরেই দাদার বিয়ে না দিলে নয়। বিয়ে হোক, তার পর চেষ্টা ক’রে গড়িয়ে দেব। কাটা ওর বাক্সে তোলা ছিল, তার পর ভাত্র মাসে বৌদি মারা গেল, আমি তার বাক্স থেকে কঁাটাগুলো বের করে এনেছিলাম, আপনাকে দেব ব'লে। কোথায় পয়সা পাবে, সারা বছর জমিয়ে যা করেছিল, তাতেই ঐগুলো গড়েছিল। দাদা তো এক পয়সাও তার হাতে দিতেন না, সংসার-খরচ ব’লে যা দিতেন, তাতে সংসার চলাই ভার, তা তে আপনি একবার গিয়ে দেখেই এসেছিলেন ।” আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “তা হলে তার হাতে পয়সা জমূল কোথা থেকে " - টুনি বললে,“বোঁদি বাজারের খাবার বড় ভালবাসতো। ওরা পশ্চিমে থাকৃতে, সেখানে ওসব বোধ হয় তেমন মেলে না, সেইজন্তে ঐ বাজারের কচুরী নিম্কির ওপর তার কেমন ছেলেমানুষের মত একটা লোভ ছিল। বৌদি করতে কি, নারকোল পাতা চেচে বাটার কাটি করে রাখতো, লোকে পয়সা দিয়ে তা কিনে নিয়ে যেতে । এই রকম ক’রে যে পয়সা পেত, তাই দিয়ে গোপালনগরের হাট থেকে পাড়ার ছেলে-পিলেদের দিয়ে খাবার আনাতো, নিজে খেতো, তাদের দিতো। আপনি সেবার চ'লে আসবার পর থেকে সেই পয়সায় আর খাবার না খেয়ে তাই জমিয়ে জমিয়ে ঐ রূপেীর কাটাগুলো গড়িয়েছিল।” আমি বললুম, “সে মারা গেল কোন সময়ে?” টুনি বললে, “শেষ রাত্রে, প্রায় রাত ৪টার সময়। রাত্রে বৌদির ভয়ানক জর হোলো, সেই জরে একেবারে বেঙ্কশ হয়ে গেল। তার পরদিন বিকালবেলা আমি ওর বিছানার পাশে বসে আছি, দেখি বৌদি বালিশের এপাশ ওপাশ হাতুড়াচ্ছে, কি যেন খুঁজচে । আমি বললুম, বৌদি, লক্ষ্মীটি, ও রকম কচো কেন ? তখন डांद्र डांग जॉन cमई, cयन चांव्हब भङ । दनूरण, আমার চিঠিগুলো কোথায় গেল, আমার সেই চিঠি