পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] 、擎 "אשי গুলো । ব’লে আবার বিছানা হাতড়াতে লাগলো। দা ৰিয়ের পর প্রথম প্রথম যেসব চিঠি তাকে লিখেছিলেন, সে সেগুলো যত্ন ক'রে ওর বাক্সে তুলে রেখেছিল, আমি তা জানতাম। আমি সেগুলো বাক্স থেকে বের করে নিয়ে এসে তার আঁচলে বেঁধে দিলাম--তখন থামে। তারপর সেই রাত্রেই সে মারা গেল। যখন তাকে বার করে নিয়ে গেল তখনও তার আঁচলে সেই চিঠিগুলো বাধা ।” আমি জিজ্ঞাসা কবুলুম, “স্বরেন সে সময় ছিল না ?” টুনি বললে, “ছোড়দাকে টেলিগ্রাম করা হয়েছিল, তিনি যখন এসে পৌঁছুলেন, তখন বৌদিকে দাহ করা হয়ে গিয়েচে ।” কোরিয়ায় জাপানী শাসন (tRసి অনেক বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও শীতের অবসানে যখন আবার বাতাবীলেবুর ফুল ফোটে, সজনে-তলায় ফুল কুড়োবার ধুম পড়ে যায়, পাড়াগায়ের বন কোপ ঘেটু-ফুলে আলো করে রাখে, পুকুরের জলে কাঞ্চন-ফুলের রাঙা ছায়া পড়ে, ফাগুন-দুপুরের আবেশ-বিভোর রোদ আকাশে বাতালে থরথর করে কাপতে থাকে, তখন আপন মনে ভাবতে ভাবতে কার কথা যেন মনে পড়ে যায়, মনে হয় কে যেন অনেক দূর থেকে এলোমেলো-চুলে-ঘেরা কাতর মুখে একদৃষ্টে চেয়ে আছে, তখন মন বড় কেমন ক’রে ওঠে, হঠাৎ ধেন চোখে জল এসে পড়ে. ঐ বিভূতিভূষণ বনু্যোপাধ্যায় কোরিয়ায় জাপানী শাসন আর্থার ব্রিসবেন নামে একজন আমেরিকাবাসী বলেন,— “একজন এসিয়াবাসী অপর একজন এলিয়াবাসীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে বলিয়াই ইউরোপ এসিয়াকে পেষণ করিবার স্ববিধা পাইতেছে। একজন চীনা অ লোক অপেক্ষ একজন জাপানীকে হত্যা করিতে পারিলে বেশী তৃপ্ত হয়। এবং জাপানীরা কোরিয়াবাসীকে খরগোসমার করিতে নিযুক্ত।” - আধুনিক এসিয়ার ইতিহাসে মানুষকে খরগোস-মারা করিবার দৃষ্টান্ত এক শোচনীয় ঘটনা। জাপানীরা কোরিয়া দেশের স্বাধীনত কাড়িয়া লইয়াছে, সেখানকার লোকদের একেবারে দাস করিয়া রাখিয়াছে এবং সেখানে কঠোর শাসন-প্রণালী স্থাপিত করিয়াছে। একেবারে খোলা তলোয়ার তাদের সেখানকার শাসনের প্রতীক । কোরিয়ার বিদ্যালয়ে জাপানী পুরুষ শিক্ষকরা তলোয়ার সঙ্গে রাখে। প্রকৃতপক্ষে কোরিয়ার অস্তিত্ব লোপ পাইয়াছে । এসিয়ার মানচিত্র হইতে কোরিয়ার ছবি বোধহয় বা উঠা মায়! জাপানীরা কোরিয়ার নাম রাখিয়াছে—চো-শেন । কোরিয়ার প্রাচীন ইতিহাস গৌরবপূর্ণ । কোরিয়া প্রাচীন দেশ। চার হাজার বৎসর ধরিয়া কোরিয়া স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করিয়া আসিতেছে। এই সুদীর্ঘ কালের ভিতর কোরিয়ার স্বাধীনতা কোন বিদেশী শক্তির দ্বারা কলুষিত হয় নাই। প্রাচীনকালে কোরিয়াবাসীরা সভ্যতার উচ্চস্তরে উঠিয়াছিল। তাদের সাহিত্য ও শিল্প যথেষ্ট উন্নত ছিল । জাপান যখন মাত্র কতকগুলি বিভক্ত দ্বীপে, কতকগুলি যুদ্ধপ্রিয় জাতির কলহে বিধ্বস্ত হইতেছিল, কোরিয়া তখন সভ্যতায় অগ্রসর । তাছাড়া এই কোরিয়াদেশই জাপানকে এসিয়া মহাদেশের সভ্যতার প্রাথমিক নীতি ও সাহিত্য, শিল্প ও দর্শন প্রদান করিয়াছিল। কোরিয়ার ধৰ্ম্মপুরোহিতরাই অধিকাংশস্থলে জাপানে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম বহন করিয়া লইয়া গিয়াছিল। সম্প্রতি আবার কোরিয়ায় যে দেশাত্ম-বোধ জাগিতেছে তার প্রেরণায় সেখানকার বৌদ্ধ ধৰ্ম্মও অনুপ্রাণিত হইয়৷ উঠিয়াছে। কোরিয়ার রাজধানী শিউল নগরে একটি বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম শিক্ষালয় আছে। রুশ-জাপান যুদ্ধের সময় হইতেই জাপান কোরিয়াকে