পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ర్సి কোরিয়ার রাজসিংহাসন । o জমি-জমার বন্দোবস্ত, বিদেশে যাওয়া-আসার আইন, দেশ-শাসনের আইন, যাহা কিছু কোরিয়ার উন্নতিবিধানের সহিত সংশ্লিষ্ট—সমস্তই জাপানীরা নিজেদের স্ববিধামত গঠন করে, কোরিয়াবাসীদের তাতে যতই অহিত হউক না কেন । সংক্ষেপে বলিতে গেলে, জাপানীরা দস্থ্যর মত কোরিয়ার অর্থ লুটিয়া লইতেছে। এই লুটে এবং ব্যবসাবিষয়ে দাসত্বের পীড়নে কোরিয়া নিৰ্য্যাতিত । ১৯১৯ সালের মার্চ মাসে কোরিয়া আপনাকে সাধারণতন্ত্র দেশ বলিয়া ঘোষিত করে। জাপান অপেক্ষা কোরিয়া দেড়গুণ বড় দেশ। এই দেশ আজ জাপানের পদতলে পড়িয়া অশান্তি ও আত্মগ্লানিতে চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে। কোরিয়া অস্ত্রহীন ; পদে পদে সে জাপানীদের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধ-নীতি প্রয়োগ করিতেছে। আর জাপানীরা সে প্রতিরোধ দমন করিবার জন্য কোরিয়ার দেশ ভক্ত সন্তানদের উপর ভীষণ অত্যাচার করিতেছে। সে পাশবিক অত্যাচারের কয়েকটি নমুনা এই –হাতের ও পায়ের আঙুলের নখ উপড়াই লওঁ, দেহের শিরা ছিড়িয়া বাহির করা এবং গরম লোহা দিয়া দেহের মাংস পুড়াইয়া দেওয়া। এত অত্যাচারেও প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড o i | কোরিয়ার রাজপ্রাসাদের সিংহাসন-গৃহের ছাদতলের কারুকাৰ্য্য। কিন্তু তার কোরিয়াবাসীদের স্বাঙ্গাত-বোধ-চাঞ্চল্য দমন করিতে পারে নাই। কোরিয়াবাসীরা অহিংস প্রতিরোধপ্রথা চালাইতেছে। কোরিয়াবাসীদের নির্ভীক আচরণে জাপান বিক্ষুব্ধ, ত্রস্ত হইয়া উঠিয়াছে । আজ তারা কোরিয়ার নেতাদের মনস্তুষ্টির জন্য স্বায়ত্তশাসন দিবে বলিয়া প্রতিজ্ঞা কুরিতেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোরিয়াকে স্বাধীনতা দিতে জাপানের আদৌ ইচ্ছা নাই। কোরিয়ার উপর যে-সমস্ত অন্যায় আচরিত হইয়াছে তার জন্তও জাপান দুঃখিত বা লজ্জিত নয়। কোরিয়ায় যে-সব অত্যাচার সাধিত হইয়াছে তার জন্য জাপান গভর্ণমেণ্ট মাঝে মাঝে দুই-একজন কৰ্ম্মচারীকে একটু-আধটু ভংসনা করিতেছে মাত্র। অত্যাচার ও কু-শাসন নিবারণ করিতে হইলে রাজনীতির বা শাসননীতির মূলত: পরিবর্তন আবশ্বক। কোরিয়ায় জাপানী শাসন তরবারিশক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । সে শাসনে প্রজাদের মতামত বা স্ব-ইচ্ছার কোন প্রয়োজনই বোধ হয় না। রিফর্ম’ বা শাসন-সংস্কার যাহা প্রদত্ত হইতেছে তাহা চতুর নীতি ছাড়া আর কিছুই নহে। ইহা পিঠ চাপূড়াইয়া ঠাণ্ডা রাখার মত। ইহার দ্বারা তীব্র সমালোচকদের মন খানিকটা পথভ্রষ্ট করিবার চেষ্টা হইতেছে - - জাপান কোরিয়ায় দমন, পীড়ন ও অত্যাচার