পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ፋ8:: . প্রবাসী-জ্ঞাৰণ, ১৩২৯, [aa叫GM,臀典令、 সত্যেন্দ্রনাথ लड বর্ধার নবীন মেঘ এল ধরণীর পূৰ্ব্বদ্বারে, বাজাইল বজ্ৰভেরী। হে কবি, দিবে না সাড়া তা’রে তোমার নবীন ছন্দে ? আজিকার কাজরী গাথায় ঝুলনের দোলা লাগে ভালে ভালে পাতায় পাতায় ; বর্ষে বর্ষে এ দোলায় দিত তাল তোমার যে বাণী বিদ্যুৎ-নাচন গানে, সে আজি ললাটে কর হানি’ বিধবার বেশে কেন নিঃশব্দে লুটায় ধূলিপরে ? আশ্বিনে উৎসব-সাজে শরৎ স্বন্দর শুভ্র করে শেফালির সাজি নিয়ে দেখা দিবে তোমার অঙ্গনে ; প্রতি বর্ষে দিত সে যে শুক্লয়াতে জ্যোংস্কার চন্দনে - ভালে তব বরণের টীকা ; কবি, আজ হ’তে সে কি বারে বীরে আলি তব শূন্ত কক্ষে, তোমারে না দেখি উদ্দেশে ঝরায়ে যাবে শিশির-সিঞ্চিত পুষ্পগুলি । নীরব-সঙ্গীত তব দ্বারে ? ără জানি তুমি প্রাণ খুলি এ স্বন্দরী ধরণীরে ভালবেসেছিলে। তাই তারে সাজায়েছ দিনে দিনে নিত্য নব সঙ্গীতের হারে । অন্যায় অসত্য যত, যত কিছু অত্যাচার পাপ কুটিল কুংসিত কুর, তার পরে তব অভিশাপ বষিয়াছ ক্ষিপ্রবেগে অর্জুনের অগ্নিবাণ সম, তুমি সত্যবীর, তুমি স্বকঠোর, নিৰ্ম্মল, নিৰ্ম্মম, করুণ কোমল৷ তুমি বঙ্গ-ভারতীর তন্ত্রী-পরে একটি অপূর্ব তন্ত্র এসেছিলে পরাবার তরে । সে তন্ত্র হয়েছে বাধা ; আজ হতে বাণীর উৎসবে তোমার আপন মুর কখনো ধ্বনিবে মঙ্গরবে, কথনো মঞ্জুল গুঞ্জরণে। বঙ্গের অঙ্গনতলে বর্ষা-বসন্তের নৃত্যে বর্ষে বর্ষে উল্লাল উথলে ; সেথা তুমি একে গেলে বর্ণে বর্ণে বিচিত্র বেখায় আলিপন ; কোকিলের কুহু রবে, শিধীর কেকায় দিয়ে গেলে তোমার সঙ্গীত ; কাননের পল্লবে কুঙ্কমে রেখে গেলে আননের হিল্লোল তোমার। বঙ্গভূমে যে তরুণ বাত্রিদল রুদ্ধদ্বার-রাগ্রি অবসানে নিঃশঙ্কে বাহির হবে নব জীবনের অভিযানে নব নব সঙ্কটের পথে পথে, তাঙ্গদের লাগি অন্ধকার নিশীথিনী ভূমি, কবি, কাটাইলে জাগি জয়মাল্য বিরচিয়া, রেখে গেলে গানের পাথেয় বহ্নিতেজে পূর্ণ করি ; অনাগত যুগের সাথেও ছন্দে ছন্দে নানাস্থত্রে বেঁধে গেলে বন্ধুত্বের ডোর, গ্রন্থি দিলে চিন্ময় বন্ধনে, হে তরুণ বন্ধু মোর, সত্যের পূজারি ! আজো যারা জন্মে নাই তব দেশে, দেখে নাই যাহারা তোমারে, তুমি তাদের উদ্দেশে দেখার অতীত রূপে আপনারে করে গেলে দান দুরকালে। কিন্তু যারা পেয়েছিল প্রত্যক্ষ তোমায় অমৃক্ষণ, তারা যা হারাল তার সন্ধান কোথায়, কোথায় সাম্বন ? বন্ধু-মিলনের দিনে বারম্বার উংসব-রসের পাত্র পূর্ণ তুমি করেছ আমার প্রাণে তব, গানে তব, প্রেমে তব, সৌজন্যে, শ্রদ্ধায়, আনন্দের দানে ও গ্রহণে সখা, আজ হ’তে, হায়, জানি মনে, ক্ষণে ক্ষণে চমকি উঠিবে মোর হিয়া তুমি আস নাই বলে, অকস্মাং রহিয়া কুহিয়া করুণ স্মৃতির ছায়া স্নান করি দিবে সভাতলে আলাপ আলোক হাস্য প্রচ্ছন্ন গভীর অশ্রীজলে । আজিকে একেল বসি’ শোকের প্রদোষ-অন্ধকারে, মৃত্যুতরঙ্গিণীধারা-মুখরিত ভাঙনের ধারে তোমারে শুধাই,-আজি বাধা কি গো ঘুচিল চোখের, স্বন্দর কি ধরা দিল অনিন্দিত মদন-লোকের আলোকে সম্মুখে তব, উদয়-শৈলের তলে আজি নবস্থধ্যবন্দনায় কোথায় ভরিলে তব সাজি নর ছন্দে, নূতন আনন্দগানে ? সে গানের স্বর লাগিছে আমার কানে অশ্রুপথে মিলিত মধুর প্রভাত আলোকে আজি ; আছে তাহে সমাপ্তির ব্যথা, আছে তাঙ্কু নবতন আরম্ভের মঙ্গল-বরতা ; আছে তাহে ষ্টভরৰীতে বিদায়ের বির্ধন মুচ্ছন, “ আছে ভৈরবের স্বরে মিলনের আসন্ন অৰ্চনা ।