পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সত্যেন্দ্রনাথের কথা 6:ፃS সত্যেন্দ্রনাথের কথা _. সমাপ্তি নাই কিসের ? দুঃখের না শোকের ? বিলাইয়া কি আনন্দই না অনুভব কুরিত । রসনার অথবা झुप्प्लेब्रद्दे ? - দুঃখ মানুষ সহিতে পারে—দুঃখ যে নিত্যনৈমিত্তিক । শোক অসহ—মর্শ্বস্তুদ যাতনায় অস্থিপঞ্জর ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া দেয়। 岛 শুধু তাহাই নয় । দুঃখের পর স্বগ—বৃষ্টির পর রৌদ্র, আশায় মানুষ বুক বঁধে । কিন্তু শোক ?—সৰ্ব্বগ্রাণী, সৰ্ব্ববিধ্বংসী, জীবনব্যাপী—সে ধে পাগল করিয়া ছাড়ে। মানসপটে জাজ্জল্যমান যাহা, মুছিবে তাহ কেমন করিয়া ? মনের ভার লাঘব করিতে চাও,—কাদে বঙ্গের নরনারী, বাঙ্গালীর তরুলতা, পদ্ম অপরাজিত, সেই সঙ্গে স্বর মিলাইযা দাও তোমরাও হে দোয়েল শুামা ফিঙা । ভোমরা যে তার প্রাণের প্রাণ—তেfমাদের সেই সত্যেন্দ্রনাথের । না, নাই, সত্যেন্দ্রনাথ সত্যই নাই ! আযাঢ়ের পহিলা বাদলে সেই মহাপ্রাণ অমরধামে যাত্রা করিয়াছে। গত ১০ই আষাঢ়, শনিবার, রাত্রি আড়াইটায় তাহার শেষ নিশ্বাস ধরিত্রীর বাতাস স্পর্শ করিয়াছে। ζ4"Ιζί আজি মনে পড়ে চল্লিশ বৎসর পূর্বের কথা । ১২৮৮ সালের ২৯এ মাঘ, শনিবার, অর্মনই বাদল রজনীতে দ্বিপ্রহর রাত্রে শীর্ণ শিশু প্রথম বিস্ময়ের চাহনি চাহিল। কে জানিত নিম্ত গ্রামে মাতুলালয়ের স্থতিকাগারে দেশমান্য ঋষি-কবির আবির্ভাব হইল । তাহার পর উপযুপরি কয়দিন কেবল ঝড়। সকলেই ভাই নাম রাখিল—“ঝড়ি” । নামে ঝড়ি’ কিন্তু প্রকৃতি কি শাস্ত সংযত ! শিশু আপন মনে হাসিত থেলিত, কাদিতে যেন জানিত না । ভগ্নস্বাস্থ্য, নিত্য পীড়া সারাজীবন কুগ্রহের মত তাহাকে বেড়িয়া ছিল । শারীরিক যন্ত্রণার বাহ পরিচয় কিন্তু কেহ কোনদিন পায় নাই— সহিষ্ণুত এমনই অসাধারণ। স্নেহাত্র পিতা পূজ্যপাদ y রজনীনাথ রাশি রাশি মেওয়া ও স্বপকমল নিত্য আনিতেন ι, ήί দশজনকে g 8 ל- טיר তৃপ্তিদানে মুক্তহস্ত শিশু কে জানিত যৌবনে কবিত্বের বিচিত্র রস স্থষ্টি করিয়া সমগ্র বাঙ্গালাকে মাতাল করিয়া তুলিবে । বীল্যে গল্প শুনিতে বালকের আনন্দের অবধি ছিল না। অশীতিবর্ষবয়স্ক ঠাকুরমাতা কাহিনী ও ছড়া বলিতে বলিতে মাতোয়ার হইয় উঠতেন, বালক ৪ তন্ময় হইয়৷ যাইত। পরদিন সকল কাহিনী সকল ছড়া যথাযথ আবৃত্তি করিত। স্মৃতিশক্তি এমনই তীক্ষ্ণ। খেলার প্রতি বিতৃষ্ণ বালকের একটা বিশেষত্ব ছিল । ধৰ্ম্মবীরগণের প্রতি অনুরাগ কিন্তু পূর্ণ প্রকট । ধ্রুব, প্রহ্লাদ সাজির “বল মধাই মধুর স্বরে” কি আন্তরিকতার সহিতই গাহিত। নে শুনিত মুগ্ধ হইয়া যাইত, পুনঃ পুন: শুনিতে চাহিত । কবিতা শুনিতে, ছবি দেপিতে বালকের কি বিপুল আগ্রহ ! আ স্ট্রীয় শ্ৰী পূৰ্ণচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্র ঘোষ মসজীদবাড়ী ষ্ট্রীটের বাটীতে থাকিয়া তখন প4tশুনার সঙ্গেসঙ্গে সাহিত্যচর্চা ও করিতেন । বালকের অনুরোধে প্রকাশচন্দ্রকে নিত্যই হয় একট। নূতন ক্ষুদ্র কবিতা লিগিয়া, নয় একখানা ছবি আঁকিয়া দিতে হইত । নিজস্ব সম্পত্তি ভাবিয়া বালক তাহ লইয়া গৃহপ্রাঙ্গণ আনন্দ-মুখরিত করিয়া তুলিত। পূর্ণচন্দ্র বালক সত্যেস্ত্রের প্রথম শিক্ষাভার গ্রহণ করেন । বালক একমাসে প্রথম ভাগ শেষ করে । পঠদ্দশায় পাঠে অনুরাগ পূর্ণ মাত্রায় ছিল, কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে নয়। অমনোযোগের জন্য মন্দ ভংসনার দু-একবার প্রয়োজন হয়। হস্তাক্ষর সম্বন্ধেও তাই। মার কাছে গোপনে অসুযোগ করিতে শুনিয়াছি—“মামা বকিয়াছেন লেখা বেশী* করিয়া লিগি ন বলিয় । কিন্তু আমি ত কেরানী হইব না।” প্রবন্ধ-লেখক তখন সবাদপত্র সম্পাদনে ব্যস্ত । ইংরেজী বাঙ্গাল সংবাদপত্রে গৃহ পরিপূর্ণ, লেখক সৰ্ব্বদাই