পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসা—শ্রাবণ, ১৩২৯ - بیبیسیسیایی میبایست امتیمیه مسعه SAMSMSMAAA AAAA AAAA AAAAMMAMA AMMMAAA SAAAAS AAAAAMAAMMA AMMSJA MAAA AAAA SAAAA SA সম্পাদকীয় মন্তব্যরচনায় বা প্রফ সংশোধনে ব্যাপৃত। তের বংসরের বলিক সতৃষ্ণ নয়নে তাহাই দেখিত, অসাক্ষাতে কিছু কিছু প্রফ সংশোধন করিত, দু’একটি শব্দও যোগ্যতার সহিত পরিবর্তন করিয়া রাথিত । প্রত্যহ পড়া লইবার সময় কিন্তু দেখিয়া বিস্মিভ হইতাম যাহা একবার বলিয়া দেওয়া হইয়াছে তাহ কণ্ঠস্থ হইয়াছে। - এই সময় বায়ুপরিবর্তনের জন্য সত্যেন্দ্রের পিতা পুত্রকে লইয়া মধুপুরে যান। যাত্রার দুষ্ট দিন পূৰ্ব্বে বালক ছাপাখান হইতে নিজনামের অক্ষর কয়টা আনিয়া বাটতেই কালী দিয়া নিজ নাম ছাপিয়াছিল সমুদায় পুস্তকে, ছবিতে, দেওয়ালে। পরদিন সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ তাহার নামট সংবাদপত্রে ছাপিয়া দিতে হইবে। যখন উত্তর পাইল যে মধুপুর হইতে একটা সংবাদ লিথিয় পাঠাইলেই নাম ছাপা হইবে, তখন উল্লাসের আর সীমা রহিল না। মধুপুর হইতে দিন কয়েক পরেই বালক সত্যেন্ত্র একটি সংবাদ লিথিয়া পাঠায়। লিখন-ভঙ্গী অতি স্বন্দর হইয়াছিল। সেই প্রথম রচনা প্রেরকের নাম সহ যথারীতি সাপ্তাহিক “হিতৈষী” পত্রে প্রকাশিত হয়। ইহার এক বৎসর পরে কবি শেলির Skylark সম্বন্ধে আমার কোন বন্ধুর সহিত আলোচন হুইতেছিল। হেমচন্দ্রের অম্বুবাদের কথা উঠিল। অম্বুবাদে যে মূলের সৌন্দৰ্য্য সৰ্ব্বত্র সংরক্ষিত হয় নাই ইহাই সাব্যস্ত হইল। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র বালক সত্যেন্দ্র বলিয়া উঠিল, আমি ঐ কবিতা অনুবাদ করিব । বালকের আগ্রহাতিশঘ্য দেখিয়া কৌতুহল জন্মিল। কবিতা ব্যাখ্যা করিয়া দেওয়া হইল। পরদিন স্বন্দর অনুবাদ পাঠে চমৎকৃত হইলাম । itse good O. W. Holmesto: “The Old Man Laughs” of E! Worth officoș Cossil হইল। অমুবাদে মূলের সৌন্দৰ্য্য যথাযথ সংরক্ষিত হইয়াছিল, পড়িয়া মনে হইল যেন সম্পূর্ণ মৌলিক কবিতা। দুইটি কবিতাই পরে সাময়িক পত্রে প্রকাশ করা হয়। তাহার পর প্রতি মাসেই কিছু কিছু উৎকৃষ্ট কবিতার অনুবাদ চলিতে লাগিল, দু'এক স্থানে সংশোধনের প্রয়োজন হইত মাত্র। - [ २२* छांगं, sञ थ७ যৌবনারম্ভে - ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া সত্যেন্দ্রনাথ স্কটিশ চার্চেস কলেজে ভৰ্ত্তি হয়। এই সময়ে আমি ছোট গল্প রচনায় প্রবৃত্ত হই। পরলোকগত বন্ধু স্বরেশচন্দ্র সমাজপতির “সাজি" ও আমার “যুথিকা” একই মাসে প্রকাশিত হয়। তখন ছোটগল্পের বহি বাঙ্গালী সাহিত্যে ছিল না বলিলেই চলে। একদিন দেখি, রোগ সংক্রামক হইয়াছে, সত্যেন্দ্রনাথ অঙ্কের খাতায় একটা ছোট গল্প ফ দিয়াছে । ইহা কলেজের পাঠের বিশেষ অন্তরায় হইবে ভাবিয়া অসন্তোব প্রকাশ করি। সেই অবধি সত্যেন্দ্র গল্পরচনার চেষ্টা বোধ হয় আর তত করে নাই । ইউরোপীয় নানা ভাষা হইতে অনুদিত বিখ্যাত গ্রন্থকারগণের গল্পসাহিত্য পাঠে তখন আমার নেশা ছিল। আমার অজ্ঞাতসারে সত্যেন্দ্রনাথও সেগুলি সযত্নে পড়িত । কথা-প্রসঙ্গে একদিন তাহার বিশিষ্ট পরিচয় পাইয়া পুলকিত হইলাম । তদবধি নিতাই অনেক রাত্রি পৰ্য্যন্ত দুইজনে সাহিত্যালোচনা হইত। সতের বৎসরের বালকের সঙ্গে সাহিত্যালোচনা মনে হইলে অনেক সময় হাসি পাইত, কিন্তু সত্যেন্দ্রনাথ এমন সূক্ষ্ম বিশ্লেষণশক্তির পরিচয় দিত, ফরাসী, রুমীয় প্রভৃতি নানা গ্রন্থ এত যোগ্যতার সহিত তুলনায় সমালোচনা করিত যে বিস্ময়-বিমুগ্ধ হইতে হইত। . অঙ্কশাস্থে সত্যেন্দ্রনাথ বীতস্পৃহ ছিল। ইংরেজী সাহিত্য-প্রত্যহ নিজে পড়াইতাম। অঙ্কপুস্তকের প্রতি মনোধোগ দিতেছে কি না একদিন পরীক্ষা করিতে গিয়া দেখি যে তাহ সম্পূর্ণরূপে অবহেলা করিতেছে। বিরক্ত হইয়াছি বুঝিয়া সত্যেন্দ্র বলিল, “উহা অনর্থক পশুশ্রম মাত্র, ভালও লাগে না, বুঝিতেও পারি না।” তাহার পর স্বযোগ্য শিক্ষক বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ সরকাবের প্রতি অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা শিক্ষার ভার সমপিত হয়। র্তাহারই যত্নে ছাত্র এফ-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং পদার্থবিদ্যায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করে। ইহারই ফলে “সবিতা” কবিতা। এই কবিতা অতঃপর হোমশিখার প্রারম্ভে সংযোজিত হয়। সত্যেন্ত্রনাথের বন্ধু (উকীল) প্রশৌরীন্দ্রনাথ মিত্রের SS S SSAS SSAS SSAS SSASAS SS SAAAA