পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী বৈশাখ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ,১১ঙ্গ খণ্ড রমল৷ রক্তের মতন রাঙা লালমাটির পথ। আলোছায়াময় দিগন্ধের কোল হইতে নামিয়া কত গিরিমালার তট দিয়া কত শালবনের তলে তলে কত গ্রামের পাশে পাশে चैकिब्र बैंब्रि कङ नौ डिडाहेछ। कङ थाख्ब भाब्र হইয়া পথটি চলিয়াছে চলিতে চলিতে কখনও নেন শুন্ত হইয় পৃথিবীর বুকে নামিয়া পড়িয়ছে, আবার লাফাষ্টয় উঠিয়া সুদূর দিগন্তের নীল মায়ার দিকে ছুটিয়াছে। পথ দিয়া একটি পুস্পুত্ৰ-গাড়ী অতি ধীরে চলিয়াছে। সাধারণতঃ পুস্পুস্-গাড়ী এত আস্তে যায় না, কিন্তু গাড়ীর মধ্যে যে যুবকটি এক বসিয়া সান্ধান্ত্র দেখিতেছিল সে পুস্পুত্রওয়ালাদের অতি ধীরে চালাইতে বলিয়াছে তাহার প্রথমে আপত্তি করিয়াছিল, এত মান্তে চলিলে কলি সকালে হাজারিবাগ পৌছানে৷ যাইবে না। যুবকট জানাইল, তাহাতে কিছুই আসে যায় না। পথের ধারে গ্রামে গ্রামে খাবার পাইলে সে এই পাৰ্ব্বতশোভাময় পথে কয়েকদিন কাটাইয়া যাইতে রাজী আছে। যুবকটি একজন চিত্রশিল্পী। ভাঙ্গার ছয়ফুট দীর্ঘ মুঠাম দেহু মাংসমেদবহুল নয়, পাংল। ছিপৃছিপে চেহার যেন প্রাণের ফোয়ারা ; চুলগুলি একটু লম্বা ক্টোকৃড়ানে, ডান দিকে টেরী কাটা, রেখাবিহীন প্রশস্ত ললাটে ীেবনের টাকা জলিতেছে, মুখের দিকে চাহিলেই মনে হয় ইহার অন্তরে কিসের আগুন অহনিশি জলিতেছে, , স্বপ্নময় দীর্ঘ চোখদুইটির উপর চশমার,কাচাইটি বকঋক্ করিতেছে, সরু লম্বা নাকে প্যাসূর্মের নাকীটি সুন্দর ভাবে লাগানো ; দাড়ি-গোফ-কামানো মুখের গঠন একটু লম্বা, চোয়াল দৃঢ় প্রশস্ত হইলেও চিবুক অধর অতি স্বকুমার কোমল, তরুণীর আননের মত তরুণ্যমণ্ডিত ; চুলগুলি লখা বলিয়াই হউক বা মাথার পেছনটা একটু উচু বলিয়াই হউক মাথার তুলনায় গলাটা একটু সরু দেখায়; সবচেয়ে স্কুন্দর তাহার লম্বা আঙুলগুলি, যেন রঙের মাগুনের শিগ । ইট উচু করিয়া তাহার উপর দুষ্ট হাতের আঙুলে আঙুলে জড়াইয়া হাত রাশিয়া দূরপথের দিকে চাহিয়া সে চুপ করিয়া বসিয়া ছিল, সোনার আংটির নীলাটি ঝকৃঝক্ করিতেছে। - - পিছনে নীল পাগড়ের সারি কুন্দরীর নীলাম্বরী শাড়ীর মত গোধূলির আলোয় ঝলমল করিতেছে, দুই পাশের শালের বনে সন্ধ্যার স্নিগ্ধ অন্ধকার রহস্তলোকের মত জর্ম হইতেছে ; পথটি সেখানে অনেকখানি নামিয়া আসিয়৷ অতি খঙ্গভাবে অনেকখানি উঠিয়া গিয়াছে। গাড়ী হইতে নামিয় যুবকটি গাড়ীর আগে আগে জোরে চলিতে লাগিল। সে যেন বীরপথিক, দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করিয়া কাহাকে সে জয় করিবার জন্য চলিয়াছে,• মনে এই ভাবটি জাগাইয়া পায়ে পায়ে চলিয়া সে চড়াই পথে উঠতে লাগিল। পথের উচ্চ সীমায় উঠতেই সন্মুখে সূৰ্য্যাস্তের অপরূপ রূপে স্তন্ধ হইয়া সে দাড়াইল । তেপান্তরের মাঠের মত শূন্ত প্রাপ্তর দিগন্তের সহিত গিয়া মিলিয়াছে, তাহারই উপর চক্রবাল রাঙাইয়া রক্তমেঘস্তুপে স্বর্ঘ্য অস্ত যাইতেছে, যেন কোন নীড়-হারা পথিক বিহঙ্গ দুই রাঙা ডানা মেলিয়া দিনশেষে রাত্রির অনন্ত তারা-লোকের দিকে উড়িয়া চলিয়ছে, কোন প্রেমবেদনায় তীরবিদ্ধ তাহার চঞ্চল বক্ষ হইতে রক্ত চারিদিকে ঝরিয়া পড়িতেছে, পাহাড়ের মাথায় মাথায় শালগাছের পাতায় পাতায় তাহারই বুকের রক্তবিন্দু উপলমণির মত জলিতেছে, ওই রক্ত মেধগুলি তাহারই ছিন্নবিচ্ছিন্ন পালকের দল, এই, প্রান্তরভরা রাঙা আলো তাহারই বুকের আগুন ; বনের মর্শ্বরে, শূন্তপ্রান্তরে হাওয়ার মৃত্যধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে তাহারই পক্ষসঞ্চালনের শব্দ শোনা যাইতেছে, রাত্রির অন্ধকারপারে, কোন নব অরুণ-লোকের দিকে হু হু করিয়া সে উড়িয়া চলিয়াছে - , যুবকটি লাফাইজা উদ্দীপ্তকণ্ঠে বলিয়া উঠিল,—“ r “আছে শুধু পাখা, আছে মহা নভ-অঙ্গন উষা দিশাহারা নিবিড়-তিমির আঁকা, ওরে বিহঙ্গ ওরে বিহঙ্গ মোর, এখনি অন্ধ বন্ধ কোনো ন পাখা"