পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डप्रह्रिभ-श्रृंयjांश मटङTडचनांथ বলতেন—'আরে অত ছকের গোলক-ধাঁধার মধ্যে কোথায় কি লিখতে হবে তা কি করে জানি ? কোথাও যাবার কথা হলেই সত্যেন্দ্র আমাকে বলতেন—“তুমি যাও যদি ত যাই । আমার উপর তার অসীম নির্ভর ছিল ; আর ছিল তার মার উপর। মার প্রতি সত্যেদের অসাধারণ ভক্তি ছিল । সত্যেন্দ্রের পিতৃবিয়োগ হয় সত্যেজ্ঞের কিশোর বয়সেই ; সেই অল্প বয়সেই সত্যেন্দ্র মীর সঙ্গে নির্জল একাদশী করবার চেষ্টা করেছিলেন । এবং সেই কষ্ট স্বয়ং অনুভব করেই তিনি লিখেছেন— স্বজলা এই বাংলাতে হয় কে করেছে স্বষ্টি রে, নির্জলা ওই একাদশী—কোন দানবের দৃষ্টি রে । শুকিয়ে গেল, শুকিয়ে গেল, জলে গেল বাংলা দেশ, মায়ের জাতির নিশ্বাসে হয় সকল শুভ ভস্মশেষ । মায়ের অস্থখ হলেই সত্যেন্দ্র অত্যন্ত ব্যস্ত হতেন ; তিনি বলতেন—“মা নেই, আমি আছি,–এ অবস্থা আমি কল্পনা করতে পাৰ্বি না।” - কোথাও বেড়াতে ছাবার জন্তে সত্যেন্ত্রকে ডাকতে গেলে প্রায়ই শুনতে হত—“আমার কাপড় বড় ময়লা।” আমরা বলতাম—“ফবৃস কাপড় পরে’ নাওন।" উত্তর শুনতাম—মার কাছে চাবি । মাকে দিয়ে বাক্স খুলিয়ে কাপড় বার করাতে হলে মাকে যে একটু কষ্ট দেওয়া হৰে সেটুকুও সত্যেন্দ্র সহ করতে পারতেন না। আজ মার একাদশী কিংবা-মা এখন শুয়ে আছেন, বা এমনি কিছু মার বড় অস্থবিধার কারণ থাকৃলে ত কথাই থাকৃত না। সত্যেন্দ্রের পছন্দ-অপছন্দের মধ্যে কোন রফা বা চলনসই ভাব ছিল না। যা তার পছন্দ হত ভা— “ভালো' । আর যা ভালে নয়, তা একেবারেই—“ছাই । “মন্দ নয়’ ‘মাঝারি’, এসব তার কাছে ছিল না। য তার মতে “ছাই’ ত তিনি কিছুতেই সহ করতে পারতেন না, সেটার তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা হত—Hang it ! এ ব্যবস্থায় বস্তু ও ব্যক্তি সম্বন্ধে কোনই পক্ষপাত ছিল না । সত্যেন্দ্র অধুন্দর কিছু সহ করতে পারতেন ন— তা সে ব্যক্তি হোক বা বস্তু হোক বা বাক্যই হোক। তাই তিনি কঠোর সমালোচক ছিলেন ; মেকি বা অনধিকারচর্চা তার কাছে রেহাই পেত না । এজন্ত তাকে অনেক লোককে রূঢ় কথা বলতে হয়েছিল ও লোকের