পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&సిe প্রবালী—শ্রোবণ, ১৩২৯ { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সত্যেক্সের ধারণার পরিবর্তন ঘটে নি। আমেরিকার উপর তিনি বড় চট ছিলেন সে দেশে একজনও খাটি কবি জন্মেনি বলে । তিনি বলতেন—“ওদের দেশের দুটি মাত্র ত কবি, এক ংফেলো আর হুইটম্যান্‌ ; একজনের ছন্দ মিল জুটেছিল ত ভাব জোটেনি, অপরের ভাব জুটেছিল ত ছন্দ মিল জোটে নি। দুয়ের সমন্বয় না হলে কি কবি ?” এই দুয়ের সমন্বয় থাকৃলেও তিনি ব্রাউনিংকে বড় কবি বলে’ স্বীকার করতেন না, বলতেন—“ওসব কবিতা নয় ত হেঁয়ালি।” আমাদের বাংলা সাহিত্যে একমাত্র নাটকরচয়িতা বলে দীনবন্ধু মিত্রের প্রতি সত্যেক্সের অসীম শ্রদ্ধা ছিল । এই উচ্চ আদর্শ ছিল বলে’ সত্যেন্দ্র নিজের সম্বন্ধে একটুও অহঙ্কার পোষণ করতেন না ; নিন্দায় প্রশংসায় তিনি সমান অবিচলিত থাকৃতেন । র্তার কবি-গুরু তার কোনো কবিত্তার প্রশংসা করলে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হতেন, কিন্তু সে আনন্দ তার অন্তরেই গোপন থাকৃত। রবীন্দ্রনাথ সত্যেক্রের চম্পা কবিতাটি ইংরেজীতে অনুবাদ করাতে সত্যেন্দ্র আপনার সাহিত্য সাধনার চরম পুরস্কার পেয়েছেন মনে করেছিলেন । সত্যেঙ্গের চিত্ত এমন সজাগ ছিল যে জগতের যেকোনো স্থানে অসাধারণ মহৎ ঘটনা কিছু ঘটলেই তার অন্তর সাড়া দিয়ে উঠত। টাইটানিক জাহাজ ডোবা, ম্যাক্স্কইনীর প্রায়োপবেশন, টলষ্টয়ের গৃহত্যাগ, ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য চেষ্টা—সবই তুল্যভাবে সত্যেন্ত্রকে বিচালত করত। সত্যেদের কবিত্বের বিশেষত্ব ছিল তার অন্তরের দরদের ব্যাপকতায় এবং সেই কবিত্বের প্রকাশক ছন্দের বৈচিত্র্যে । ঝড়ের গাছ, গুটিপোকা, মেথর, কুলী থেকে আরম্ভ করে রবীন্দ্রনাথ গন্ধী পৰ্য্যন্ত জগৎবরেণ্য মহাপুরুষদিগের প্রতি সত্যেক্সের সমান টান দেখা যায়। সতেন্দ্রের বয়স যখন ১২:১৩, তখনকার অনেক কবিতা তার প্রথম বই "বেণু ও বীণা'তে সংগৃহীত আছে ; সেই অল্প বয়সেই সত্যেন্দ্র ঝড়ে ভাঙা গাছের দুর্দশায় ব্যথা বোধ করেছিলেন, লক্ষ গুটিপোকার মৃত্যু দিয়ে তৈরী রেশমী কাপড় পর گیسیھ؟ ۶یخ ۶یمی-تخیعییها অধৰ্ম্ম বলে’ প্রচার করেছিলেন। এই কবিতাটি পড়ার পর থেকে আমি রেশমী কাপড় পরতে পারি না—এ কবিতাটি আমার মনে এমনই ছাপ রেখেছে। এই অল্প বয়সেই তিনি একদিকে স্বদেশকে সকল দেশের সেরা বলে’ প্রচার করছেন— কোন দেশেতে তরুলতা সকল দেশের চাইতে শু্যামল ? কোন দেশেতে চলতে গেলেই দলতে হয় রে দুৰ্ব্বা কোমল ? কোথায় ফলে সোনার ফসল, সোনার কমল ফোটে রে ? সে আমাদের বাংলা দেশ, আমাদেরই বাংল। রে ! আবার সেই স্বর্গাদপি গরীয়সী মাতৃভূমির দীনতায় কাতর হয়ে প্রশ্ন করছেন— কে মা তুই বাঘের পিঠে বসে আছিল বিরস মুখে ? শিরে তোর নাগের ছাতা, কমল-মালা ঘুমায় বুকে ? ঢলঢল নয়ন-যুগল জলভরে পড়ছে চুলে, কাল মেঘ মিলিয়ে গেল তোর ওই নিবিড় কাল চুলে । শিথিল মুঠি—ত্রিশূল কেন ধরার ধুলা আছে চুমি ? কে মা তুই, কে মা হামা—তুই কি মোদের বঙ্গভূমি ? এই-সব কবিতা তার "বেণু ও বীণা’য় আছে— কবিতাগুলি ১৩০০ থেকে ১৩১৩ সালের মধ্যে লেখা । সত্যেন্দ্রের জন্ম হয় ১২৮৮ সালের ২৯ মাধ বসন্ত-সংক্রান্তির দিন। স্বতরাং কবিতাগুলি ১২ থেকে ২৫ বৎসর বয়সে (* l এই যৌবনকালেই সত্যেন্দ্র জগৎব্যাপী সাম্য-সামের যজ্ঞে হেমশিখা প্ৰজলিত করেছিলেন— এ বিপুল ভবে কে এসেছে কবে উপবীত ধরি গলে ? পশুর অধম, অস্কর-দম্ভে মানুহেরে তবু দলে !

  • } 磷 ° 舉 কৰ্ম্মে যাদের নাহি কলঙ্ক, জন্ম যেমনি হোক, পুণ্য তাদের চরণ পরশে ধন্ত এ নরলোক । হোক সে তাহার বরণ কৃষ্ণ, অথবা তাম্ররুচি, নিৰ্ম্মল যার হৃদয় সেজন শুভ্র হতেও শুচি ।