পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] AMMAMAeAM SMA AMeAMMAMAMAMA AMAMA AMAMMAMAMAeMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA মানসিক ও দৈহিক পরিশ্রম করিয়া বেড়াইতেছেন ; তুমি আমি কেন করি না ? 蠱 বাঙালী ভাবপ্রবণ জাতি। আমরা সহজেই উত্তেজিত হই, ভাবের আবেগে আমরা কখন কখন দেশের জন্য মহাবিপকে আলিঙ্গন করিয়াছি। ঝড় ভূমিকম্প বন্যা দুর্ভিক্ষে বিপন্ন লোকদের সাহায্যাৰ্থ দৈহিক শ্রমও কিছুদিনের জন্য আমরা করি । কিন্তু সারাজীবন পরিশ্রমের অভ্যাস আমাদের কেমন করিয়া জন্মিবে, বুঝিতে পারিতেছি না। এমন কোন অঙ্গপ্রাণনা কি আসিবে, যাহার প্রভাবে আমরা স্থায়ীভাবে পরিশ্রমে অভ্যস্ত হইয়া যাইতে পারি ? “ভদ্রলোক” শ্রেণীর লেখক বক্তা কৰ্ম্মী প্রভৃতিগণের একটি কৰ্ত্তষ্য আছে, বাহা তাহারা পালন করিলে, তাহাদের দৃষ্টাস্তে দরিদ্রশ্রেণীর লোকের দৈহিক শ্রমে অভ্যস্ত হইতে পারে। এখন সকলেই বাৰু হইতে চায়। বাবুর লক্ষণ এই, যে, তিনি দৈহিক শ্রমসাধ্য কাজ করিবেন না। বাৰু যদি নিজের ছোট বাক্স, গার্টুরী বা হান্ধ৷ বিছান-কম্বলও বহন না করেন, তাহা হইলে গরীব চাষাভূসারাই বা তাহার এই “উচ্চ” দৃষ্টাস্তের অনুকরণ কেন না করিবে ? রেলওয়ে ষ্টেশন ষ্টীমারঘাট বঙ্গের কত কত গ্রামের নিকটে । এই-সব গ্রামে অতি গরীব ঋণগ্রস্ত লোক বাস করে। তাহাদের অনেকে দুর্ভিক্ষের সময়ে এবং অন্ত সময়েও লোকের নিকটে হাত পাতিতে লজ্জা বোধ করে না ; কিন্তু তাহার ট্রেনের সময় ষ্টেশনে আসিয়া মোট বহিয়া ছএক আনা রোজ গার করিতে চায় না । কেননা, মোট ঘাড়ে করাটা বাবুলোকদের কাজ নহে ! অতএব বাবুর। যদি উপদেশ দেন এবং কাজেও যিনি যত বড় পারেন নিজেদের মোট নিজে বহন করেন, তাহা হইলে কিছু স্বফল হইতে পারে। অন্যান্য দৈহিক শ্রমের কাজও বাবুদের করা একান্ত কৰ্ত্তব্য। পরিচ্ছদে এবং দৈহিকভ্ৰমে বাবু ও অবাবু শ্রেণীর মধ্যে পার্থক্য দূর বাবুর চেষ্টা না করিলে হইবে না। কিন্তু পার্থক্য দূর হওয়া চাই-ই চাই। বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে অবাঙালী SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AA S SA SAS SSAS SSAS S S AAAAA AAAA AAAA MAS A S A S A S A S .م۔ ۔ م - جمرہ. جی ৬১৩ বঙ্গে অবাঙালী . সেদিন দুখান এংলোইণ্ডিয়ান কাগজে লিখিল, ধে, অবাঙালীতে বাংলার সব রোজ গারের ক্ষেত্র দখল করিয়া ফেলিতেছে, অমনি বাংলা কাগজওয়ালার এ বিষয়ে খুব কলম চালাইতে আরম্ভ করিলেন,–যেন এটা একটা ভারি নূতন আবিষ্কার, আগে কেউ একথা বলে নাই ! আমরা স্বাঞ্জাতিকতার যত বড়াই-ই করি না কেন, ইংরেজ একটা কথা বলিলে তবে সেট। আমরা শুনি । আমরা অনেক বৎসর হইতে বার বার বলিয়া আসিতেছি, যে, আমরা নিজ বাসভূমে প্রবাসীর মত নানা কাৰ্য্যক্ষেত্র হইতে বেদখল ও তাড়িতু হইতেছি । কোন কাগজওয়াল তাহাতে কান দেন নাই ; কারণ কথাগুল লিথিয়াছি আমরা এবং বাংলায় লিখিয়াছি ! যাহার। আমাদের পুরাতন গ্রাহক এবং “প্রবাসী” বাধাইয়া রাখেন, তাহারা দেখিতে পাইবেন, আমরা “প্রবাসী"তে নিম্নলিখিত বৎসর, মাস ও, পুষ্ঠায় এই বিষয়ের আলোচনা করিয়াছি, হয়ত অন্যত্রও করিয়াছি :– ১৩১১ বৈশাখ ৪৯ পৃষ্ঠা, ১৩১১ আশ্বিন ৩১২ পৃষ্ঠা, ১৩১৫ জ্যৈষ্ঠ ১০৯ পৃষ্ঠা, ১৩১৮ চৈত্র ৬১৭ পৃষ্ঠা, ১৩২১ ভাদ্র ৫• ১ পৃষ্ঠা, ১৩২২ জ্যেষ্ঠ ১৮৫ পৃষ্ঠা, ১৩২৫ পৌষ ২৮ছু পৃষ্ঠা, প্রভৃতি। বঙ্গায়হিতসাধনমণ্ডলী অনেকবার স্বীয় প্রদর্শনীতে একটি ছবি দেখাইয়াছেন, তাহাতে নানা কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবাঙালীর প্রতিষ্ঠা চিত্রের সাহায্যে দেখাইয়া নীচে লেখা হইয়াছে, “বাঙ্গালী কোথায় ?” এইছবি ১৩২৭ সালের বৈশাগ মাসের “প্রবাসী"র ৬৮ পুষ্ঠায় ছাপা হইয়াছিল। তদ্ভিন্তু আচাৰ্য্য রায় মহাশয় “প্রবাসী”তে প্রকাশিত তাহার বন্থ প্রবন্ধে এই কথা বলিয়াছেন । কিন্তু তিনিও যে বাঙ্গালী, এবং বাংলাতেই বলিয়াছেন। আর কোন কাগজে কুহ এ কথা ইতিপূৰ্ব্বে লেখেন নাই, ইহা বলা আমাদের অভিপ্রেত নহে। আমরা যাহা করিয়াছি, কেবল তাহারই উল্লেখ করিলাম এইজন্য, যে, ইহা আমরা ভাল করিয়া জানি। বাঙালী বাংলায় কিছু বলিলে লিখিলে তাই "মান্তগণ্য" লোকের দেখেন ন, শুনেন মা, ইঙ্গ বলাই আমাদের উদেশ্য ।