পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や〉や প্রবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AeeeAMMMAMAMMMMMMAMAeMMAMMMMMeeeMeeeAA AMeeAMMeM AeAAM MMeeMMeMAMMeMeMAMeMS MMeeAAA AAAA S AAAAA MMMJJAAA AAAA AAAAS AAAAAJS আসল গণতন্ত্র রাষ্ট্র তাঁহাই, ধtহাতে সমুদয় প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও রমণীর ভোট আছে ও রাষ্ট্রীয় অধিকার আছে। এইরূপ গণতন্ত্র দেশের গবর্ণমেণ্ট লোকমত অনুসারে কাজ করিতে বাধ্য হয়। ঠিক্ এই আদর্শ অনুযায়ী গণতন্ত্র কোথাও না থাকিতে পারে, কিন্তু ইহার কাছাকাছি যায় এরূপ গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক মতে সরকারী কৰ্ম্মচারীরা দেশের লোকের মনিব নহে, তাহার সেবক । গণতান্ত্রিক মতে সরকারী চাকরী দেশের লোকদের উপর প্রভুত্ব করিবার নিমিত্ত অভিপ্রেত নহে, তাহাদের সেবা করিয়া তাহীদের কল্যাণসাধনের জন্য অভিপ্রেত। গণতান্ত্রিক মতে সরকারী চাকরী ধনী হইবার উপায় নহে ;–গণতান্ত্রিক দেশে যাহারা ধনী হইতে চায় তাহারা কারখানায় পণ্যদ্ৰব্য প্রস্তুষ্ট করে, নূতন নূতন যন্ত্র উদ্ভাবন করে, ব্যবসাবাণিজ্য করে, উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে চাষবাস করে, জাহাজ চালায়, ও এইপ্রকার অন্যান্ত নানা কাজ করে । অনেকে আইনজীবী, চিকিৎসক, এঞ্জিনীয়ার প্রভৃতি হয়। গণতান্ত্রিক দেশের ব্যবস্থা এরূপ হয় না, যে, তাহার ফলে উচ্চপদস্থ সরকারী চাকরের বিলাসিত করে ও টাকা জমায় এবং নিম্নপদস্থ চাকরের৷ থাইতে পরিতে পায় না। আমাদের দেশে লাটসাহেব পান আড়াই লক্ষ টাকা বার্ষিক বেতন ও তদুপরি নানাবিধ ভাত, নিম্নতম ৰুক্মচারীরা কিন্তু বৎসরে আড়াই শত টাকাও পায় না। এত বেশী তফাৎ কোন গণতান্ত্রিক দেশে থাকিতে পারে না, নাই । খুব সামাষ্ঠ মাচুম্ব যে, তাহারও ঘরবাড়ী, খাওয়াপরা, পরিবার-প্রতিপালন, শিক্ষা, বিমল আনন্দ, জ্ঞান, ও অসময়ের জন্য সঞ্চয়ের দরকার। কিন্তু ধে দেশে উচ্চতম কৰ্ম্মচারী নিম্নতমের দুই হাজার গুণেরও বেশী বেতন এবং ভাতা পায়, সে দেশের গবর্ণমেণ্টের ও লোকদের মত যেন কতকটা এইরূপ, যে, উচ্চতম কৰ্ম্মচারী দেবতা এবং নিম্নতম কৰ্ম্মচারী ও তাহার সমশ্রেণীস্থ লোকেরা পশুরও অধম । ইহা বাজে কথা নয়। গ্রাম্য চৌকিদার ও গুরুমহাশয়দিগকে যে বেতন দেওয়া হয়, গরুঘোড়া রাখিবার খরচও তাহা অপেক্ষা অধিক । 锣 নিম্নতম কৰ্ম্মচারীরাও যাহাতে মানুষের মত জীবন ধারণ করিতে পারে, তাহার মত বেতন তাহাদিগকে দিত্ত্বে হইলে উচ্চপদগুলির বেতন আমাদের দেশের মত নবাবী রকমের করিলে চলে না। জাপানের দৃষ্টান্ত লউন । উহা স্বাধীন দেশ, আমাদের চেয়ে ধনী দেশ, এবং সেখানকার জীবনধারণ-ব্যয় ভারতের চেয়ে বেশী । এ হেন শক্তিশালী স্বাধীন. ও ধনী দেশে প্রধান মন্ত্রীর বেতন মোটামুটি মাসিক দেড় হাজার বা বাৰ্ষিক ১৮০০০ টাকা মাত্র । জাপানের সিবিল সার্বিসের পদগুলির সর্বনিম্ন শ্রেণীর নাম হান্‌-নিন। এই হান্‌-নিন শ্রেণীর নিম্নতম কৰ্ম্মচারীরা মাসিক ষাট টাকা বেতন পান। ২১ সালের জাপানী বর্ষপুস্তক অনুসারে জাপানী প্রাথমিক বিদ্যালয়-সকলে সাধারণ শিক্ষকদের গড় বেতন মাসিক চল্লিশ টাকা। পরাধীন দুৰ্ব্বল দরিদ্র বাংলাদেশের গুরু মহাশয়দের বেতন যদি দশ টাকাও ধর: যায়, তাহা হইলে তাহারা বছরে ১২০ টাকা পান, এবং এক-একজন মন্ত্রী পান ৬৪০০০ টাকা, অর্থাৎ পাঁচশত গুণেরও অধিক। স্বাধীন শক্তিশালী ধনী জাপানের প্রধান মন্ত্রী জাপানী গুরুমহাশয়দের গড় বেতনের পঞ্চাশ গুণ বেশী বেতনও পান না । " আমাদের দেশে ও বেতনের ফদি জাপানী ধরণের করিতে হইবে । তাহাতেও নিশ্চয়ই যোগ্য লোক পাওয়া যাইবে । ভারতশাসনে অপব্যয়ের অস্ত নাই । সৈনিক বিভাগ, যত শীঘ্র সম্ভব, নেতা হইতে আরম্ভ করিয়৷ সাধারণ সিপাহী পৰ্য্যন্ত, দেশী লোকে পূর্ণ হওয়া দরকার। তাহ হইলে ব্যয় অনান টাকায় দশ আনা কমিয়া ধাইবে। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সার গডফ্রি ফেল কর্তৃক প্রদত্ত ফর্দ হইতে জানা যায়, যে, একজন অবিবাহিত সার্জেণ্টের মাসিক প্রাপ্য ২০৪, বিবাহিতের ২৬০ টাকা । অন্যদিকে একজন দেশী হাবিলদারের মাসিক প্রাপ্য ৫২, অশ্বারোহী হইলে ৫৮ ৷ সাধারণ গোরা সৈনিকের প্রাপ্য অবিবাহিত পক্ষে ১৫০, বিবাহিত হইলে সাধারণ সিপাহীর প্রাপ্য ৪২, অশ্বারোহী হইলে ৪৫ টাকা। বিদেশীর সব কাজ দেশী দ্বারা চলিতে পারে। তাহা চালাইলে কত ব্যয়সংক্ষেপ হইবে, এই সামান্য কয়েকটি দৃষ্টান্ত হইতেই বুঝা যাইবে । - - e جاج ه" | وا ه R