পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] দেখিলাম, আলোচ্য বৎসরে ইংরেজীর কোন অধ্যাপক কোন গবেষণা করেন নাই বা বহি প্রকাশ করেন নুই । সুতরাং তঁাহাদের অধ্যাপনার কালের পরিমাণের সহিত র্তাহাদের সমান দরের কলেজ-অধ্যাপকদের অধ্যাপনাকালের পরিমাণের তুলনা করা অন্যায় হইবে না । র্তাহাদের কেহ কেহ নিজেই কুলেজ-অধ্যাপক। র্তাহার কত কাজ করিয়া কলেঞ্জে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কত বেতন পান, শিক্ষামন্ত্রী ও ব্যবস্থাপক সভার সভ্যগণ তাহার অনুসন্ধান করুন। যদি কেহ কাজের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষাকৃত কম বেতন পান, তাহা হইলে কলেজে কেন বেশী লয়েন, তাহারও অঙ্গুসন্ধান প্রয়োজন । এইরূপ অনুসন্ধান সকল বিষয়ের অধ্যাপকদের সম্বন্ধে হওয়া উচিত। অতিবিস্তৃতির ভয়ে আমরা অধ্যাপকদের কাজের ও বেতনের তালিকা দিলাম না । ইংরেজীর ছাত্র ৪৪৯ জন । তাহার তুলনায় অধ্যাপকংখ্যা খুব বেশী নয়, যদিও আমাদের বিবেচনায় আরো কম অধ্যাপক দ্বারা কাজ চলিতে পারে , কারণ, এই অধ্যাপকেরা দেখিতেছি গবেষক নহেন । যাহা হউক, ইংরেজীর কোন অধ্যাপক কত কাজ করেন, তাহা বুঝিবার উপায় আছে ; এবং তাহদের কেহ র্যাঙ্কিঙের মত বসিয়া বসিয়া ৫০০ টাকা করিয়া বেতন পান না। কিন্তু সংস্কৃত, পালি, নানা ভারতীয় ভাষা, তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, আরবী ও ফারসী, পরীক্ষণমূলক মনোবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, অর্থবিজ্ঞান, এবং আরো কোন কোন বিষয়ে ইংরেজীর মত কাৰ্য্য-তালিকা দেওয়া হয় নাই বলিয়া কে কত কাজ করিতেছেন, বুঝিবার উপায় নাই। স্বতরাং, র্যাঙ্কিঙের আরবী-ফারসীর অধ্যাপকতার মত পূৱ ফাকি ন৷ হইলেও, কিছু কিছু আংশিক ফাকি আরো আছে কি না, সহজে বুঝিবার জো নাই। তা ছাড়া, রিপোটে কাজ যাহা লেখা আছে, কোনও কোনও অধ্যাপক তাহাতেও ফাকি দিয়া থাকেন, এরূপ খবর ত অনেকের মুখেই শুনা গিয়াছে। তাহা না-হয় নাই ধরিলাম, • পালির চারিট • গ্রপ ( group ) এবং ছয়টি ছাত্র , অর্থাৎ গড়ে দেড় জন ছাত্র এক এক শাখায় বিদ্যার্থী বিবিধ প্রসঙ্গ—কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান-বিভাগ ৬২১ আছেন । ইহাদের জন্য ৯ ( নয় ) জন অধ্যাপক মাসে ১৪৭৫ টাকা বেতন পাইয়া থাকেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে কোন কলেজে বা কলেজের বাহিরে বাংলা দেশে বা বাঙালীর দ্বারা কোন গবেষণা হয় নাই বা হইত না, এমন নহে। এখনও কোন কোন কলেজের কোন কোন অধ্যাপক এবং কলেজের সহিত অসংস্পষ্ট অনেক লোক গবেষণা করিয়া থাকেন । কিন্তু পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বিভাগ স্থাপিত হওয়ায় গবেষণায় উংসা বুদ্ধি পাইয়াছে, এবং গবেষণা-কায্যে ও নানাবিদ্যার উচ্চতম শাখার অধ্যাপনায় দেশী অধ্যাপকদের কৃতিত্ব দেখাইবার স্বযোগ বাড়িয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই । কোন কোন বিষয়ে পোষ্ট-গ্রাজয়েট বিভাগের কোন কোন অধ্যাপক ও ছাত্র খাটি গবেষণা করিয়াছেন। খাটি জিনিষকে মেকি হইতে পুথকৃ করিয়া রাখা সকল সময়ে সকল অবস্থাতেই উচিত। যখন কয়েকটা মেকি নমুনা দেখিয়া লোকের এরূপ সন্দেহ হইবার কারণ হয়, যে, বুঝি বা সবই মেকি, তখন মেকিটাকে আরও ভাল করিয়া দাগিয়া পৃথক্ করিয়া দেওয়া বেশী আবশ্যক হয় । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তাহা করেন নাই , বরং, কেবল একজনের বেলায় ছাড়া,. যুদ্রদের গবেষণার মৌলিকত্ব সম্বন্ধে সন্দেহের প্রমাণ উপস্থাপিত. হইয়াছে, তাহাদিগকেই তুলিয় পরিবার চেষ্টা হইয়াছে। একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি । ডক্টর গৌরাঙ্গনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “llellenism in Ancient lndia" ("R: “India as Known to the Ancient World" of offat's ণে পূৰ্ব্বতন বহু গ্রন্থ হইতে অনেক দীর্ঘ দীর্ঘ অংশ ঋণস্বীকার না করিয়া হুবহু নকল করা হইয়াছে, তাহা ভারতীয় ও ব্রিটিশ কাগজে প্রদর্শিত হওয়া সত্ত্বেও “soft.* “valuable and erudite work” (qos oটিকে and interesting book" oil হইয়াছে। উভয় গ্রন্থই যে "plagiarism"পূর্ণ, তাহা এই প্রকারে চাপা দেওয়া হইয়াছে, এবং গ্রন্থকারের পদোন্নতি হইয়াছে । গবর্ণমেণ্টের নানা বিভাগে কোটি কোটি টাক