পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থপ্রাপ্তি ৬২৩ ৷ AASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAAMMMAMMMMMS SSMMM SM AM AAM MMeM MMM MM MA MM MMMMS AM AM MM MAM M AM MAM MM MMMM MA SAM MA AM MAAA AAAA SAM MM SAAAAASA SAASAASAASAAAS কারণ, ইনি আর্টস্কুলের বা কৃষি বা টেক্লিক্যাল কলেজের ছাত্র নহেন। কিন্তু ইনি বিজ্ঞানে ইন্টারমীডিয়েট.পাস করার পর বিজ্ঞানের চর্চা ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। স্বতরাং বৈজ্ঞানিক ছাত্র হিসাবে ইহঁার দাবী ও যোগ্যতা সমুদয় বি-এলসী ও এম্-এসসী পাস করা প্রার্থীদের চেয়ে নিকৃষ্ট ছিল। অথচ ইনি বৃত্তি পাইলেন, কিন্তু প্রার্থী অনেক বি-এস্সী, এমএসসী পাইলেন না। তন্মধ্যে, না বাছিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণমাপত্রের গোড়াতেই যে প্রার্থীর নাম আছে, তাহার যোগ্যতার বর্ণনা উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি। Passed Matriculation in the 1st Divi sion (1910)5 Passed I.Sc. (1912) standing 5th and obtained a Govt. Scholarship, a louff Scholarship and an S. C. College Scholarship. Passed B.Sc (1911) with Honours in Physics. Passed M.Sc. in Physics (1916) standing 2nd in Class I and was awarded the University Silver Medal in Physics and a prize of books worth Rs. 100. o Was awarded a Sir R. B. Ghose Research Scholarship and worked for 2 years in the University College of Science. At present employed as a Lecturer and Demonstrator in Physics in the S. C. College. এখন, বৈজ্ঞানিক প্রার্থী হিসাবে যোগ্যতর কে ছিলেন, তাহা সহজেই স্থির করা যাইবে । অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস হইতে যোগ্যতা ঠিক বুঝা যায় না, প্রতিষ্ঠিত লোকদের সাক্ষাৎ পরিচয়লন্ধ জ্ঞান হইতে বুঝা যায়। অতএব, এরূপ লোকদের সার্টিফিকেটও বিবেচিত হউক । যিনি বৈজ্ঞানিক প্রার্থী হিসাবে বৃত্তি পাইলেন, তাহাকে সার্টিফিকেট দিয়াছিলেন, রেভারেগু, ওয়াটু, রেভারেও কিড়, অধ্যাপক ব্যারো, অধ্যাপক কয়াজী, অধ্যাপক জাকারিয়া, অধ্যাপক গিলক্রিষ্ট, এবং অধ্যাপক ষ্টার্লি । রেভারেওঁ, ওয়াটু ছাড়ঃ ইহার কেহই বৈজ্ঞানিক নহেন ও কাহারও বৈজ্ঞানুিক যোগ্যতা সম্বন্ধে মত্ত প্রকাশ করিতে অধিকারী নহেন । যিনি বৃত্তি পান নাই, তাহাকে সার্টিফিকেট দিয়াছিলেন, ডাক্তার স্তার নীলরতন সরকার, অধ্যাপক ও রেজিষ্ট্রীর জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, অধ্যাপক পীক, রেভারেও ওয়াট, অধ্যাপক এস সি মহলানবীস, অধ্যাপক এস এন্‌ মৈত্র, অধ্যাপক পী মহলানবীন, এবং অধ্যাপক এন্‌ সী রায় । ইষ্ঠার সকলেই বৈজ্ঞানিক । পাঠকেরা লক্ষ্য করিবেন, যে, যিনি বৃত্তি পাইয়াছিলেন, র্তাহার যোগ্যতার প্রত্যেক দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণনাপত্রে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়া ছাপা হইয়াছে, এবং যাহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য, তাহ বাকী ইটালিক অক্ষরে ছাপা হইয়াছে —উদ্বেগু; যাহাতে এইগুলি সহজেই নিৰ্ব্বাচকদের চোখে পড়ে। এই প্রার্থীটির যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন্‌ কৰ্ম্মচারীর আদেশে এবং কেন এরূপ করিয়া ছাপা হইল ? অার কাহারও যোগ্যতার বর্ণনা ত বর্ণনাপত্রে এমন করিয়া ছাপা হয় নাই ? বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থপ্রাপ্তি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২২ সালের জুন পৰ্য্যন্ত a॥০ লক্ষ টাকা ঘাটতি পড়িয়াছে বলিয়া ঐ টাকা গবর্ণমেণ্টের নিকট প্রার্থনা . করেন । শিক্ষামন্ত্রী ২॥• লক্ষ মজুর করিয়াছেন। তাহাতে বিশ্ববিদ্যালয় কি প্রকারে অঋণী হইবে বুঝা গেল না। তবে, এরূপ শুনা গিয়াছিল বটে, যে, আসল ঘাটুতি ৫০ লাখ নহে, বেশী টাকা পাইবার আশায় তাহাকে ফাপাইয়া ৫॥৩ করা হইয়াছিল ; কারণ, ষোল আন চাহিলে আট আনা পাইবার আশা থাকে। যাহা হউক, ব্যবস্থাপক সভার সভ্যেরা যদি এমন কোন প্রমাণ পাইয়া থাকেন, যে, এই ২॥• লাখের দ্বারা সকল ঋণ শোধ হইয়া যাইবে এবং ভবিষ্যতে যাহাতে অপব্যয় নিবন্ধন আবার ঋণ না হয় তদনুরূপ উপায় অবলম্বিত হইয়াছে, তাহা হইলে আড়াই লাখ টাকা মঞ্জুরে তাহার সন্মত হইয়া ভালই করিয়াছেন। ঐরূপ কোন প্রমাণ আমরা এখনও দেখি নাই, স্বতরাং এ বিষয়ে কিছু বলিতে পারিলাম না । ,