পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] গর্দভীবিপীত, সত্য-কাম এবং বিদগ্ধ এই পাঁচজন জাচার্য্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন (৭)। রাজা জানশ্রুতি ও ব্রাহ্মণ রৈক। রাজা জানশ্রুতি বহুকষ্টে ব্রাহ্মণ রৈক্কের সন্ধান করিয়া তাহার নিকট উপদেশ লইতে গিয়াছিলেন (৮)। রাজা বৃহস্থ ও শাকায়ন । ইক্ষাকু-বংশীয় রাজা বৃহত্রধ ব্রাহ্মণ শাকায়নের চরণে নত হইয়া আত্মজ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন (৯) । এইরূপে বহু ব্ৰাহ্মণের নিকট ক্ষত্রিয়ের উপদেশ লাভের আখ্যায়িকা পাওয়া যায়। ক্ষত্রিয়ের নিকট ব্রাহ্মণের শিক্ষা। ক্ষত্রিয়ের নিকট ব্রাহ্মণের উপদেশ লাভের আখ্যায়িকাগুলি একে একে পৰ্য্যালোচনা করিলে উহা দ্বারা কিছুতেই বলা যায় না যে, ক্ষত্রিয়গণ ব্রহ্মবিদ্যার জনুক ও শিক্ষক ছিলেন । কৰ্ম্মকাণ্ড বিষয়ে ক্ষত্ৰিয় উপদেষ্ট । তিনজন ব্রাহ্মণ ও রাজা জনক । তিনজন ব্রাহ্মণ ও রাজা প্রবাহণ। শতপথ ব্রাহ্মণে দেথা ধায় যে, ক্ষত্রিয় জনক অগ্নিহোত্র সম্বন্ধে ব্রাহ্মণ শ্বেতকেতু, সোমশুল্ম, এবং যাজ্ঞবল্ক্য অপেক্ষ অধিক কথা বলিয়াছিলেন (১০) । ইহাতে ব্ৰহ্মক্লিদ্যার সংস্পর্শ ও নাই । কারণ অগ্নিহোত্র একটি যজ্ঞ বিশেষ। উপনিষদে প্রবাহণ জৈবলি নামক একজন ক্ষত্রিয় দুই স্থলে ব্রাহ্মণ অপেক্ষা অধিক জ্ঞানের পরিচয় দিয়াছেন । প্রথম আখ্যায়িকা হইতে এইমাত্র জানা যায় যে, শিলক, দালভা, ও প্রবাহণ এই তিনজন সতীর্থ বিদ্যার্থীর স্বরসম্বন্ধে আলোচনাকালে ক্ষত্রিধ প্রবাহণই অধিক মেধাবিত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন ( ১১ ) । এই স্বরবিদ্যাও কৰ্ম্মকাণ্ডেরই অন্তর্গত । - ব্রাহ্মণ উন্দালক ও রাজা প্রবাহণ। এই ক্ষত্ৰিয়ই পরে পঞ্চালের রাজা হইলে রাজসভায় সমাগত শ্বেতকেতুকে প্রশ্ন করিয়া অম্লত্তর করেন এবং শ্বেতকেতুর পিতা উচ্চালক ঐ বিষয়ে জিজ্ঞাস্থ হইয়া আলিলে বলিয়াছিলেন যে, এ বিদ্যা কোন ব্রাহ্মণ জানেন ন ( ১২ )। ইহার , নাম পঞ্চারিবিদ্যা । মৃত্যুর পর জীব •ধে-সকল পথ দিয়া পরলোকে গমন করে এবং উপনিষদে শিক্ষ-প্রণালী ও ব্রহ্মবিদ্যায় ব্রাহ্মণের প্রভাৰ ૭8૧ পুনরায় ঘুেরূপে বৃষ্টির জলের সহিত পৃথিবীতে পতিত হইয়া জন্মগ্রহণ করে, তাহার বর্ণনাই এই বিদ্যার বিষয়। এই আখ্যায়িকাই ব্রহ্মবিদ্যার ক্ষত্রিত্ববাদীদিগের প্রধান অবলম্বন ; কারণ এই স্থানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে বিষয়টি ব্রাহ্মণের অজ্ঞাত ছিল। কিন্তু ইহাও প্রকৃত ব্রহ্মবিদ্যা নহে। স্বতরাং ইহা না জানিলেও ব্রাহ্মণগণ ব্রহ্মবিদ্যায় অজ্ঞ ছিলেন, এমন কথা বলা যায় না । বিশেষতঃ এই আখ্যানটিতে প্রবাহণের নিজের কথাতেই পরস্পর-বিরোধ দেখা ধায়। শ্বেতকেতুর নিকট উত্তর পাওয়া যাইবে এরূপ আশা করিয়াই বোধ হয় তাহাকে রাজা প্রবাহণ প্রশ্ন করিয়াছিলেন ; কারণ শ্বেতকেতু উত্তর দিতে অসমর্থ श्ल डिनि বিস্ময় প্রকাশ করিয়া বলিয়াছিলেন যে, যে ব্যক্তি এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানে না তাহার শিক্ষাই সম্পূর্ণ হয় নাই ( ১৩ ) । অথচ যে বিদ্যা তৎপূৰ্ব্বে কোন ব্রাহ্মণই জানিতেন না, তাহা শ্বেতকেতুর জানিবার সম্ভাবনাই ছিল না । এই-সকল দেখিয়া মনে হয়, উপাখ্যামে অক্ষরার্থ মাত্র প্রমাণ নহে, কোন নিগৃঢ় উদেশ্যসাধনই ইহার উদ্দেশু। ভারতীয় প্রাচীনমতেও বেদের উপiথ্যানভাগ অর্থবাদ মাত্র । ছয়জন ব্রাহ্মণ ও রাজা অশ্বপতি । আর-একটি আখ্যায়িকা এইরূপ (১৪) —ব্রাহ্মণ আরুণি বৈশ্বানর-বিদ্যার আলোচনা করিতেছেন শুনিয়া প্রাচীনশাল, সত্যযজ্ঞ, ইন্দ্ৰদ্যুম্ন, জন এবং বুড়িল এই পাঁচজন ব্রাহ্মণ তাঁহার নিকট উপদেশ লইতে আসিলেন ; আরুণি আবার তাহাদিগকে লইয়া কৈকেয় অশ্বপতির নিকট উপস্থিত হইলেন ; কারণ সে সময়ে অশ্বপতিও এই বিদ্যার আলোচনা করিতেছিলেন। এখন দেখা যাইতেছে ব্রাহ্মণ আরুণি এবং ক্ষত্রিয় অশ্বপতি উভয়েই স্বতন্ত্রভাবে একই বিষয়ের অতুশীলন করিতেছিলেন, কিন্তু আরুণি তখনও কোন সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইতে পারেন নাই । ইহা হইতে বলা যায় নু যে ক্ষত্রিয়গণই এ বিদ্যার উদ্ভাবক ও শিক্ষক ছিলেন । ব্ৰাহ্মণ বালাকি ও রাজা আজাত-শক্র । অপর একটি আখ্যায়িকায় (১৫) কাশী-রাজ, আজাত শত্রু ব্ৰাহ্মণ বালাকিকে ব্ৰক্ষর স্বরূপ - শিক্ষা