পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

West & কিন্তু কল কারখানা ব্যবসা বাণিজ্য মানুষের অন্ত্র, মাছুষের স্বই সব জিনিষের মত জীবনযাত্রায় টিকিয়৷ থাকিবার সমাজের হাতিয়ার। অন্ত্রের যে যেমন ব্যবহার করে। মানুষ যদি কলের নিষ্ঠুর ব্যবহার করে, সে দোষ কলের নহে, মাহুষেরই। কিন্তু কথা উঠিয়াছে—বুঝি এই কলের সহিত ভারতের মামুষের কোন সামঞ্জস্ত হইবার নহে । তাত, পুলী, হাতল, সেও ত কল এবং এই কলেরই সাহায্যে ভারতবর্ষ উনবিংশ শতাব্দীর মধ্য পৰ্য্যস্ত জগতের শিল্পব্যবসায়-ক্ষেত্রে একাধিপত্য বিস্তার করিয়াছিল। পুরাতন কালের কলে ভারতবর্ষ একদিকে তাহার শিল্পীর স্বজনশক্তি ও সৌন্দৰ্য্যবোধের অবাধ বিকাশসাধন করিয়াছে, অপরদিকে বিভিন্নশ্রেণীর মধ্যে একটা সম্ভাব ও ব্যক্তিগত সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছে, অনৈক্য ও অত্যাচারের বিষবৃক্ষ রোপণ করিতে দেয় নাই। নূতন কলের সহিত তাহার যোগাযোগ কি অসম্ভব ? নূতন কলের নিকট সে কি আত্মবিক্রয়ের সম্বন্ধ ছাড়া অন্য কোন সম্বন্ধ স্থাপন করিতে পারিবে না ? এ কল হাতে না হইয়া বাম্পে বা তাড়িতে চলে বলিয়া ইহার কি এমন "অ-মুকুষিক প্রভাব ! মজুরের কাহিনী এটা ঠিক, বর্তমান কালে যে-সকল স্থানে কলকারখানা স্থাপিত হইয়াছে সেখানে আমাদের নূতন ও পুরাতনের কোন সামঞ্জস্তের চিহ্ন দেখা যায় না। কল এখানে সমাজের গোড়াপত্তন ভাঙ্গিতেছে। মামুষেরও হাড় মাস পিষিতেছে। স্বাস্থ্য, চরিত্র, মনুষ্যত্ব-সবই বলি প্রদত্ত। সে দৈন্ত, সে ক্লেশের ইতিহাস অতি নিদারুণ এবং সে ইতিহাস এখনও গোপন। খনির মালকাটা ও তাহার স্ত্রী খাদে নামিল—সেখানে একইাটু জলে দাড়াইয়া সে অহোরাত্র কাজ করিতেছে। অনেক সময় উপযুক্ত পরিমাণে কাজ জুটিল না, তখন তাহার মজুরীতে পেট ভরে না। মেট স্ট্র সর্দার-মেট বকৃশীস না পাইয়া টবগাড়ির বোঝাইয়ের হিসাব লইয়া গোলমাল করিল। সেখানেও নিস্তার নাই,—আফিসে গিয়া হয়ত হিসাবের দেরী হওয়াতে সে সেদিন মজুরীই পাইল না। তখন হিসাব-কাগজ জামিন প্রবাসী—ভাদে, ১৩২৯ SSeSSeSSeSSeSSeSSeSSAAAASAASAASAASAASAAMAMAAASAAAA [ २२° ७ॉग, ४* १७ هم میسه حبیبر ۹۹حی تعیید همسری سیاسی রাখিয়া অতি বেশী দামে সে মুদির কাছে আবশ্যকীয় দ্রব্য ক্রয় করিয়া লইল। কারখানার সর্দাররাও অত্যাচার করিতে ক্রটি করে না। কাজের হিসাব দিবার সময় কিছু ঘুম চাই, না দিলে কাজের পরিমাণ অল্প দেখানে হইবে। ওভার্-টাইম্ কাজ চলিতেছে, কিন্তু তাহার উপযুক্ত হিসাব নাই। কেহ কলে কাজ করিতে করিতে দুর্ঘটনায় মারা পড়িল, তাহার পরিবারের কোন দাবী গ্রাঙ্ক নহে। হাড়ভাঙ্গ পরিশ্রম করিতে করিতে মজুরণীর প্রসববেদন উপস্থিত হইল,চিকিৎসকের ব্যবস্থানাই। কারখানার ভিতর ১২০ ডিগ্রী গরম, কিন্তু হাওয় যাওয়া-আসার দরজা জানালা নাই। মজুররা কাজের মধ্যে মাঝে মাঝে বসিতে পাইলে অধিক পরিমাণ কাজ দিনের শেষে দেখাইতে পারে, কিন্তু বসিবার টুল বা পীড়ি নাই। সর্দারের সহিত ঝগড়া হইল, মজুরের কাজ গেল—সালিসীর ব্যবস্থা নাই। কারখানায় প্রস্তুত দ্রব্যের বাজার মন্দা, অনেক মজুরের কাজ হঠাৎ গেল, বাকী মজুরের পুরাপুরি কাজ জুটিল না। দলে দলে মজুর গ্রামের দিকে ফিরিল, কিন্তু সেখানে উপযুক্ত পরিমাণে জমি বন্দোবস্তের উপায় নাই। বোগে, শোকে, আপদ বিপদে মালিক মজুরের স্বার্থ দেখেন না, অথচ তিনি খুব টাকা উপার্জন করেন এবং দেশের অংশীদারেরা লাভের অংশ পাইয়া খুব খুলী থাকে। আইনের অতিরিক্ত সময় কাজ কর, বেগার কাজ কর, বকৃশীস দাও, আধ ঘণ্টার মধ্যে পরিবার স্বদ্ধ খাওয়া দাওয়া শেষ করিয়া বঁাশী বাজার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়িয়া আসিয়া পুনরায় কাজে লাগ, ছেলে-মেয়েদের বয়স বেশী করিয়া লিথিয়া দাও, এমন কি সতীত্ব বিসর্জন কর—খনিতে কারখানায় বাগানে সর্দার আড়কাটা মালিকের অবিচারের কাহিনী এখনও লিপিবদ্ধ হয় নাই । তাহা ছাড়া কল পুরুষস্ত্রীতে বিচ্ছেদ ঘটাইতেছে, কারণ কল হয়ত স্ত্রী শ্রমজীবীর কাজ দিতে পারে না, শুধু পুরুষেরই সমাগম চাহে । তাই কলের সহর অনেক সময় স্ত্রীবর্জিত সহর। মজুরের পরিবার মজুরের সঙ্গে আসিতে পায় ন,—সে থাকে একা এবং তাহার অসংযত আমোদ বা আসক্তি বাধা দিবার জন্ত না আছে তাহার পরিবারের