পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢भं न१थn ] ~~^^^* স্বদেশীর এই দ্বিতীয়যুগের আমাদের প্রধান দাৰি। ব্যবসায় চালন ও শাসনের দায়িত্ব ও অধিকার সকলের মধ্যে বাধিয়া দেওয়ার একটা স্বধৃঢ় ফলপ্রদ ব্যবস্থা যদি আমাদের শিল্পপ্রণালী হইতে আমরা আবিষ্কার করিতে পারি, তাহ হটলে শুধু আমাদের নহে, পাশ্চাত্যেরও মঙ্গল । কারণ পাশ্চাত্য জগৎ শ্রেণী-সংঘর্ষের ভীষণ ঘুর্ণাপাকে পড়িয়া এখন চারিদিকে আলোক-রেখা খুজিতেছে। সংঘবাদী রুশিরার শিল্প ও সমাজ-ব্যবস্থায় حاجی جمعیسیعه-معیت شیعیی ধৰ্ম্মপূজা &6:6. AeeMAMA AMAMAMAMAMAeMMeAMAMMeMAMAMAMAeeMM সাম্য স্থাপনের বিভীষিকা বুৰি সব আলোকই নিবাইয়। দিয়া সমগ্র ইউরোপের উপর এখন একটা ছৰ্ত্তিক ও ধ্বংসের করাল ছায়া ক্রমশঃ বিস্তার করিতেছে। প্রাচ্য গ্রাম্য সমাজ যে যুগপরস্পরামুষ্ঠিত জীবনোপায়ের ব্যবস্থায় ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা দমন ও সঙ্গে সঙ্গে সমূহেরও অত্যাচার প্রতিরোধ করিয়াছে তাহা বহু শতাব্দীর মধ্য দিয়া প্রথম অরুণপাতের মত দেশ-দেশান্তরে প্রতিভাত হইয়া নবজীবনের পথ দেখাইবে, সন্দেহ নাই । ঐ রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ধৰ্ম্মপূজা ( পণ্ডিত-তত্ত্ব ) ধৰ্ম্ম-পূজার পুরোহিতকে পণ্ডিত বলে । সংস্কৃতে পণ্ডিত শব্দে যা বুঝায় এদের সে আখ্যা দেওয়া যায় না । ধৰ্ম্ম-পূজার আর-এক নাম হচ্ছে পণ্ডিতপদ্ধতি ; তার কারণ হচ্ছে রমাই পণ্ডিত নামে কোনো ব্যক্তি এই ধৰ্ম্মমত প্রচার করেছিলেন বলে কিম্বদন্তী চলে আসছে। এ ছাড়া ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের বিশ্বাস চার যুগে চার পত্তিত ধৰ্ম্মঠাকুরের পূজা প্রচার করেছিলেন । তাদের নাম যথাক্রমে শেতাই পণ্ডিত, নীলাই পণ্ডিত, কংসাই পণ্ডিত, রমাই বা রামাই পণ্ডিত । শূন্তপুরাণ ও ধৰ্ম্মপূজাবিধানেই এদের নাম পাওয়া যায় ; ধৰ্ম্মমঙ্গলগুলিতে এক রামাই পণ্ডিত ছাড়া আর কারে নাম আছে বলে মনে হয় না। শূন্তপুরাণের মতে এই চার পণ্ডিতকে পূজার স্থানের চার দিকে স্থাপন করা হতো। কিন্তু সৰ্ব্বত্রই যে চার পণ্ডিত দেখা যায় তা নয় ; কয়েক জায়গায় পাঁচ জন-পণ্ডিতের নাম পাওয়া যায় । কিন্তু তখন দিকের বদলে দ্বারের উল্লেখ দেখা যায়। পাচ পণ্ডিত পাচ দ্বারে অধিষ্ঠিত। এই পঞ্চম পণ্ডিতের নাম গোসাই পণ্ডিত । নগেন্ত্রবাবু শূন্তপুরাণের ভূমিকায় লিখেছেন যে ময়নাপুর ও জামালপুরের বিখ্যাত ধর্মের গাজনে পণ্ডিতদের স্থাপন করার বিধি এখনো প্রচলিত আছে। তবে তিনি সে সম্বন্ধে সবিশেষ আলোচনা করেননি বলে’ পেশী কিছু জানা যায় না। আবার এই পণ্ডিত সাজানোর অনুরূপ পদ্ধতি মধ্যযুগের বৌদ্ধদের বিদ্যাআয়তনে দেখা যায়। বিক্রমশিলার, বিদ্যা-আয়তনে ছয়টি দ্বারে পণ্ডিত-দ্বারপাল থাকৃতেন ; প্রত্যেকের সঙ্গে তাদের নিজ নিজ শিষ্য থাকৃতো । যে-সব ভিক্ষু জ্ঞানে বিদ্যায় নাম করতেন তারাই সেই-সব স্বারে থাকৃতে পেতেন ।* সেটা ছিল সন্মানের পg.; আমাদের চোবে দেবে তেওয়ারীর পদের সঙ্গে তাদের পদ মিলিয়ে দেখলে চলবে না। আমার মনে হয় ধৰ্ম্মপূজায় পণ্ডিতদের দ্বারে রাখার প্রথাটা বৌদ্ধদের সঙ্ঘারামের দ্বার-পণ্ডিতের অন্তকরণেই করা হয়েছিল। তবে এ ছাড়া আরও কিছু যে ছিল তা আমরা এখনি দেবে। বুদ্ধিমান পাঠকমাত্রই শূন্যপুরাণ পড়তে গিয়ে একটা জিনিষ লক্ষ্য করে থাকৃবেন যে উক্ত গ্রন্থে উল্লিখিত পণ্ডিতদের নামকরণের মধ্যে একটা বিশেষত্ব আছে । একটা কোনো অভিপ্রায় বা অর্থ বোঝাবার জন্য যে একটা রূপক নাম স্থই হয়েছিল তা স্পষ্টই বোঝা যায়। শেতাই, নীলাই, কংসাই, রামাই এই চার

  • পরলোকগত মহামছোপাধ্যায় সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ লিখিত “Indian Medieval Logic," p. 151, ownsfos)--form so