পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—“ভাদ্র, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১৭ খণ্ড অরোগ্য-দিগদৰ্শন ( সমালোচনা) গুজরাটী ভাষায় লিখিত মহাত্মা গান্ধী প্ৰণীত “আরোগ্য-দিগদৰ্শন” করে, তাহার চেষ্ট। হইতেছে। কোন শারীরতত্ত্ববিদ চিকিৎসক ব নামক পুস্তকের বঙ্গানুবাদ । অনুবাদক শ্ৰী কিরণচন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী । অৰ্থনীতিজ্ঞ পণ্ডিত মহাত্মা গান্ধীর এই উপদেশের সমৰ্থন করিবেন ন । বারাণসী হইতেঁ শ্ৰী নৃপেন্দ্ৰনাথ সেন কৰ্ত্তক প্ৰকাশিত মুল্য দশ আরো আশ্চৰ্য্যয় বিষয় এই যে মহাজা গান্ধী দুগ্ধ ব্যবহার করিতেও নিষেধ করিয়াছেন। দুগ্ধ চিরদিনই আমাদের দেশে উৎকৃষ্ট সাবান ও পুস্তকথানি ৮৪ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত এবং দুই ভাগে বিভক্ত প্ৰথম সাবিক খাদ্য বলিয়া নিৰ্দিষ্ট হইয়াছে। দুগ্ধ ও তছুৎপন্ন নানাবিধ সামগ্ৰী ভাগে স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মাবলী এবং দ্বিতীয় ভাগে জল চিকিৎসা" প্ৰভৃতি ভারতবাসীর প্রধান খাদ্য । আজ দেশে দুগ্ধ দুস্ত্ৰাপ্য হইয়াছে বলিয়াই কতকগুলি বিশেষ বিশেষ চিকিৎসা-প্ৰণালী, বসন্ত, প্লেগ, প্ৰভৃতি ভারতবাসী দিন দিন স্বাস্থ্যহীন ও বীৰ্য্যহীন হইয়া পড়িতেছে। দুগ্ধের কতিপয় সাধারণ রোগ এবং জলে ডুবা, অগ্নি-দ্ৰাহ, প্ৰভৃতি আকস্মিক সহিত নানাবিধ মলিন দ্রব্য মিশ্ৰিত হয় এবং দুগ্ধবতী গাভীগণ সকল দুৰ্ঘটনার চিকিৎসা-প্রকরণ বৰ্ণিত হইয়াছে সময়ে রোশূক্ষ্মা নহে বলিয়া তিনি দুদ্ধে ব্যবহার নিষেধ করিয়াছেন গ্ৰন্থমধ্যে স্বাস্থ্যরক্ষা, ছতম্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার এবং দৈহিক, মানসিক বলা বাহুল্য যে ভঁহার এই নিষেধ কেহই পালন করিয়া চলিবে না। ও অগ্নিক উন্নতি সাধন সম্বন্ধে অনেক হিতকথা সন্নিবেশিত হইয়াছে । বিশুদ্ধ দুগ্ধ ও ঘৃত দেশে যাহাতে অধিক পরিমাণে উৎপন্ন হয় এবং সৰ্ব্ব রোগের চিকিৎসা অপেক্ষ রোগ বাহাতে দেহমধ্যে অাদেী সঞ্চারিত সাধারণে উছা সহজে পাইতে পারে, তাহার সুব্যবস্থা করা উচিত ; দুখ হইতে না পারে, মুহাত্মা গান্ধী বিষয়ে বহুল সাধ্যায়ত্ত সছুপদেশ ব্যবহারের নিষেধ সমীচীন নহে। গৃতের পরিবর্তে তিনি তিলতৈল প্ৰদান করিয়াছেন একমাত্ৰ ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালনেই শীর ও মনের পূৰ্ণ ব্যবহার করিতে পরামৰ্শ দিয়াছেন এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই স্বাস্থ্য লাভ হইয়া থাকে, এই ধ্ৰুব সত্য তিনি গ্ৰন্থমধ্যে প্ৰতিপন্ন যে, কোন উত্তিগজ তৈলই বৃতের ন্যায় সুপাচ্য ও পুষ্টিকর নহে করিবার সবিশেষ চেষ্টা করিয়াছেন এবং শৈশবকাল হইতে আজীবন মাখন হইতে মৃত প্ৰস্তুত হয় । মাখনে ভাইটামিন ( Vitamines প্ৰত্যেক নরনারীকে ইহার অনুশীলন করিতে সনিৰ্ব্বন্ধ, অনুরোধ যথেষ্ট অাছে কোন উদ্ভিজ্জ তৈলে স্বাস্থ্যরক্ষার সহায় এই উপাদান করিয়াছেন আমরা আশা করি যে ভঁাহার এই সছুপদেশ বৰ্ত্তমান নাই। মহাত্মা নিজে ফলাহারী, কাজেই তিনি সকল লোককে কালে জোগসৰ্ব্বশ্ব সরনারীর হৃদয়ে চেত। সঞ্চার করিয়া তাহা৷ তদবলম্বিত পথ অনুসরণ করিতে বলিয়াছেন, কিন্তু এক্ষপ একদেশ দিগকে সংযমের পথে পরিচালিত করিতে সমৰ্থ হইবে দশী উপদেশ সৰ্ব্বসাধারণে গ্ৰহণ করিতে সমৰ্থ নহে মহাত্মা গান্ধী “জল ও “বাবু” কিরাপে দুষিত হয় এবং কি উপায়েই মহাত্মা গান্ধী খাদ্যে । মহিত লবণ-ব্যবহারের পক্ষপাতী নহেন । বা তাহাদিগকে পরিশোধিত করিয়া স্বাস্থ্যরক্ষার অনুকুল করা যাইতে তিনি রন্ধন দ্বারা খাদ্য প্ৰস্তুত করারও বিরোধী। বলা বাহুল্য যে পারে, তৎসম্বন্ধে স্বীয় অভিজ্ঞতাপ্ৰসু এবং বিজ্ঞানামোদিত অনেক তাহার এই উদ্ভট উপদেশ কোনকালেই জগতের কোন সমাজেই গৃহীত হিতোপদেশ গ্ৰন্থমধ্যে নিবন্ধ করিয়াছেন খাদ্য সম্বন্ধে তিনি স্বকীয রন্ধন একটি কলাবিদ্যা ; উহ। সভ্যতার প্রধান নিদৰ্শন হবে ন জীবনের অভিজ্ঞতা হইতেই অনেক কথা লিখিয়াছেন মনুল্যের পক্ষে প্ৰাগৈতিহাসিক যুগে অসভ্য মনুল্য শিকারলদ্ধ ভ্ৰামমাংস ও যথেচ্ছা ফলাহারই প্ৰশস্ত বলিয়৷ উল্লেখ করিয়াছেন এবং মাছ, মাংস, রি-তর হরিত বনজ ফল মূল খাইয়া জীবন ধারণ করিত। কৃষিকাৰ্য্য ও করি, দাল, এমনকি, দুগ্ধ পৰ্য্যন্ত পরিত্যাজ্য বলিয়৷ বৰ্ণনা করিয়াছেন । রন্ধন হইতেই মানব-সভ্যতার সূত্ৰপাত । অবশ্ব মহাত্মা গান্ধীর স্থায় এবিশ্বয়ে অমঙ্গ| হার মতে পোকত। করিতে পারি না । ফলাহার সকলে ফলাহারী হইলে খাদ্যের সহিত লবণের পৃথক ব্যবহারের তাহার মত ঋষিক লোকের পক্ষে প্ৰশস্ত হইতে পারে, কিন্তু সৰ্ব্ব প্ৰয়োজন না হইতে পারে, কিন্তু যতদিন মনুল্য সাধারণ খাদ্যগ্ৰহণ সাধারণের পক্ষে উহা উপযোগী নহে বারমাস শুদ্ধ ফল ভোজন করিবে, ততদিন তাহার রন্ধনের এবং খাদ্যের সহিত বখাপরিমাণ লবণ করিয়া সাধারণ লোক কথনই সন্তুষ্ট থাকিতে পারে না এবং তাহা মিশ্ৰিত করিবার প্রয়োজন হইবে । মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছেন যে দ্বারা তাহাদের স্বাস্থ্যও রক্ষণ হইবে না । কারণ যে প্ৰকার এবং "মসলার স্থায় লবণ পরিত্যাজ্য । লবণ একটি বিষাক্ত জিনিষ । অতএব যে পরিমাণ ফল ভোজন করিলে তাহা হইতে শরীর-গঠনের সমস্ত সৰ্ব্বপ্রযত্নে ইহা পরিত্যাগ করাই, বিধেয় ।” অবশ্য অধিক মসলা ৰ উপাদান উপযুক্ত পরিমাণে প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, তাহা সংগ্ৰহ করা অত্যন্ত অধিক লবণ ব্যবহার করিলে অনিষ্ট হইয়া থাকে এবং রোগ-বিশেষে ব্যৱসাধা, সুতরাং সাধারণ লোকের পক্ষে তাহার সংগ্ৰহ অসম্ভব । লবণের ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু সুস্থ শরীরে কি লবণ, কি মশলা অতএব মহাজা গান্ধীর এই উপদেশ কাৰ্য্যক্ষেত্ৰে প্ৰযোজ্য বলিয়া উভয়েরই পরিমিত ব্যবহার স্বাস্থ্যরক্ষার অনুকুল। মহাত্মা গান্ধী জ্ঞানী ও আমরা মনে ক্ষরিন পণ্ডিত হইলেও অনেক সময়ে অনেক অপ্ৰযোজ্য ( Unpractical) মহাত্মা গান্ধী দাল একটি “স্বাস্থ্যহানিকর পদাৰ্থ বলিয়া দালের মত প্রচার করিয়া থাকেন । ব্যবহার নিষেধ করিয়াছেন । আমরা এই উপদেশের সারবত্তা স্বীকার মিতাহার ও ব্যায়াম সম্বন্ধে যে-সকল উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে করি না । ভারতধাসীদিগের মধ্যে অনেকেরই অৰ্থিক অবস্থা তাহা পালন করিলে স্বাস্থা, দেহান্নতি এবং দীৰ্ঘজীবনলাত সম্বন্ধে সামাজিক ব্যবস্থা হেতু আমিষ ভোজন সম্ভবপর নহৈ, তাহাদেৱ খাদ্য যথেষ্ট উপকার হইবে। দালই মাছ-মাংসের অভাব পূরণ ক্লরিয়া থাকে । “দাল ভাত পরিচ্ছদ-বাহুল্য এবং অলঙ্কার-ব্যবহার সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধী যে “দাল ক্লাটি ভারতবাসীর প্রধান খাদ্য ; গরীব ভারতবাসীর পক্ষে সকল কথা লিখিয়াছেন, তাহা বিশেষ ভাবে প্ৰণিধানযোগ্য । ইহ দালই একমাত্ৰ পুষ্টিকর খাদ্য। এখন পৃথিবীর সৰ্ব্বত্ৰই গরীব দ্বারা অর্থের অপব্যয়, অনেক অহুবিধা ও বিপদের হস্ত হইতে লোকের পাছের মধে “দাল’ যাহাতে অধিক পরিমাণে অাদর লাভ আমরা রক্ষা পাইতে পারি। তবে জুতার ব্যবহার নিষেধ করিয়া যে মত