পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b.' t দেখিয়া যোগেশ-বাৰু মুখ তুলিয়া চাহিলেন। কোণের পিয়ানোর কাছ হইতে কে যেন চঞ্চল চরণে সূরিয়া গেল। কন্যার দিকে চাহিয়৷ যোগেশ-বাবু বলিলেন,—কি মধু-মা? ইনি ? ● * রঙ্গত একটি ছোট নমস্কার করিয়া বলিল,—আমাকে আপনি আসতে লিখেছিলেন—আমার নাম রজতকুমার— তাছাকে বাধা দিয়া যোগেশ-বাবু প্রফুল্লমুখে বলিয়৷ উঠিলেন,—ও । আর বলতে হবে না, চিনেছি, আপনিই exhibitionএ সেই বৈশাখী ঝড়ের সন্ধার ছবি একেছিলেন, আর খুকীর ছবিটা— —অtজ্ঞে ই1, 觀 —বেশ, বেশ ! বৰ্মন। দেখুন, ছবিটা আমাদের ভারি ভালো, লেগেছিল, সেট আগে কে কিনে নিয়েছিল বলে আমার মেয়ের কি দুঃখ- বোসে না তুমি— হাতের বইয়ের পাতাগুলি উন্টাইতে উন্টাইতে মাধবীর ‘গও রাঙা হইয়া উঠিল । তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রজত ধীরে ধীরে একটা চেয়ার টানিয়া বসিল । যোগেশ-বাৰু বলিয়। যাইতে লাগিলেন,—ই। আমি ভেবেছিলুম কোন বয়স্ক আৰ্টিষ্টের আঁক, যখন শুনলুম এক ইয়ং আর্টিষ্ট্র—তাই আপনায় ডেকে পাঠালুম—কাজী সাহেব সেই কলকাতার ছবিপনার কথা মনে নেই— ঝড়ের— কাজী-সাহেব ওমার খায়াম উন্টাইতে উন্টাইতে স্নিগ্ধচোখে একবার রঞ্জতের দিকে চাহিলেন । যোগেশ-বাবু বলিতে লাগিলেন,—ছবিটা আমার চোথের সামনে ভাস্ছে—কালে কালে মেঘে আকাশ কালীতে ভর, সাপের ফণার মত বিদ্যুৎ চম্কাচ্ছে, তার তলায় ছিপৃটি-মারা কালে ঘোড়ার মত নদীর জল দুলে ফুলে উঠছে, দুধারে গাছের সারি দিশাগ্রা—জলে স্থলে খুলেবালিতে মেঘে বাতাসে যেন রুত্রের আবির্ভাব—আর একটা পাখী দুই সাদা ডান মেলে তারি মধ্যে উড়ে চলেছে। মাশ্চৰ্য্য আপনার রেখাবু টানগুলো , পাখীটা আমার চোখে ভাসছে—ঝোড়োবাতাসে ভরা নৌকার পালের মত তার ডানা দুটাে! কাজী-সাহেব মাথার চুলগুলি নাড়িয়া রঙ্গতের দিকে r t প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২৯ که عی و عی حصیه مهم [ ২২শ ভাগ,-১ম খণ্ড ASA SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S S S S ASA SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS A SAS AAA AAAAA প্রসন্নমুখে চাহিয়া বলিলেন,-আমি ত বলেছিলুম, এ ছবি নয়, এ রংএ তৈরী ঝড়ের গান। মাধবী রজতের দিকে চাহিতেই তাহার মুখ গৰ্ব্বমুখে রাঙা হইয়া উঠিল। যোগেশ-বাবু বলিতে লাগিলেন,—পাখীটা আশ্চৰ্য্য কৌশলে একেছেন, ঠোট হতে ডানার শেষপ্রান্ত পৰ্য্যন্ত রেখাগুলো এমন গতিশীল উত্তাল হয়ে উঠেছে, মনে হচ্ছে ঝড়ের গর্জন যত বাড়ছে, বায়ুর বেগ যত উন্মত্ত, ততই তার বক্ষ নেচে উঠছে, কণ্ঠে দীপক-রাগিণী বাজছে, নিৰ্ভয়ে মহানন্দে ঝড়ের মেঘের বুকে ছুটে সে চলেছে-- দেখুন নদীর তট থেকে গাছের পাতা থেকে পাণীর ডান থেকে বিদ্যুতের আঁকাবঁক অগ্নিপথ পৰ্য্যন্ত রেখাগুলো যেন কোন রুদ্রতালে নুচিছে, উত্তাল তরঙ্গের মত এই রংএর ঝড় স্থষ্টি করেছে – © রজত বাধা দিয়া কি বলিতে যাইতেছিল, যোগেশবাবু অনর্গল বকিয় যাইতে লাগিলেন,—তাই আপনাকে ধরে আনলুম, আমাদের কয়েকখানা ছবি একে দেবেন— বেশী নয়, আমার শোবার ঘরে খান চারেক, লাইব্রেরীতে খান তিনেক, এই ঘরটীয় যে ক'খানা হয়, আর আমার মেয়ে কি তার ঘরট না সাজিয়ে ছাড়বে—তাছাড়া কাজীর “otal portrait— - কাজী-সাহেব চুলগুলি দোলাইয়া দাড়ি নাড়িয়া অতি বিনীতভাবে আপত্তি তুলিলেন,—ন!—ন, আমার কেন সাহেব, আপনারই— যোগেশ-বাবু বলিয়া যাইতে লাগিলেন,—আর আমার মেয়ের একখান ভালে দেখে—এই— · মাধবী অকারণে পাশের টেবিলের বইগুলি গোছাইতেছিল, রাঙামুখ তুলিয়া বলিল,—আর তোমার খান বুঝি অঁাকতে হবে না,বাব ! e —সে কি আর ন! আঁকিয়ে ছাডুবি—তা কি কি ছবি অঁাকবেন সে বিষুয়ে আপনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা, তবে আমার কতকগুলো আইড়িয়া আছে, ধরুন—. স্নিগ্ধকণ্ঠে বাধা দিয়া মাধবী বলিল,—বাবা—কি মাধু ? - —উনি এইমাত্র আসছেন। {.