পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] অনুকূল রিপোর্ট দাখিল করেন এবং বলেন যে, এই ব্যবসায় গবর্ণমেণ্টের যেমন লাভজনক হইবে দেশের লোকের তরূপ আণ্ড হিতকর হইবে, তথাপি মধ্যভারতীয় রেসিডেন্টের গবর্ণমেণ্ট এবং দরবার তাহাতে উৎসাহ না দেওয়ায় হরিদাস-বাবু এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একাকী পড়িয়া যান। তিনি দেবাস ( Dewas, C. I. ), উজ্জৈন (Gwalior State ) is নাগপুরে ( C.P. ) এবং ১৯০৮-৯ অকের নাগপুরের মহাপ্রদর্শনীতে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা দেখান কিরূপ রস হইতে গুড় এবং গুড় হইতে চিনি প্রস্তুত করা যাইতে পারে । এই উপলক্ষে হরিদাস-বাবু মধ্যপ্রদেশের জনসাধারণ ও গ্রামবাসীদের হিতার্থ একটি নুতন শ্রমশিল্পের প্রথম পথপ্রদর্শক ( Pioneer of a new industry for the benefit of the people and villagers of C.P.) বলিয়া ১৯০৯ অবে প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্ট হইতে একটি রৌপ্যপদক এবং প্রশংসাপত্র পাইয়াছিলেন । এই শিল্প-প্রবর্তনের জন্য তিনি গবর্ণমেণ্টকে অনুরোধ করিয়া পত্র লিখিয়াছিলেন, কিন্তু গবর্ণমেণ্ট সে প্রস্তাব এখনও পর্য্যন্ত গ্রহণ করেন নাই। তিনি মধ্য ভারতের সকল দরবারেই এই প্রস্তাব উত্থাপন করিয়াছেন, কিন্তু কেহই ইহাতে হস্তক্ষেপ করিতে অগ্রসর হয় নাই। ১৯২০ অব্দের ১৩ই জুলাই তিনি গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক নিৰ্ব্বাচিত হইয়া “ভারতবর্ষীয় চিনি কমিশনে” সাক্ষ্য দান করেন। কিন্তু কমিশন খেজুর চিনিকে লাভজনক ব্যবসায় মনে করেন নাই। হরিদাস-বাবু অবশেষে পাচ লক্ষ টাকার লিমিটেড কোম্পানী করিয়া ইন্দোর রাজ্যে এক কৃষিক্ষেত্র ও যৌথ কারবার প্রতিষ্ঠা করেন। এই ক্ষেত্রে এক হাজার বিঘা চাষের জমি ও পনর হাজার খেজুর গাছ আছে। তিনি এই কারবারের its con “Date and Cane-Sugar Company” কিন্তু Date অর্থাৎ খেজুর এই নাম সংযুক্ত থাকায় এদেশবাসী ইহাতে যোগদানে বিরত হয়। এজন্য তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা ইহাতে ফেলিয়া ইহার ম্যানেজিং এজেন্সী নিজের হাতে রাখিয়া এবং,পুত্ৰগণের.অস্তুরাগ ও কল্যাণ ইহার সহিত চিরজড়িত থাকিবে বলিয়া “इ চ্যাটাজাঁ এও কোম্পানী” এই নাম দিয়া মধ্যপ্রদেশে বাঙ্গালী ها كان ران SAAAAAA AAAA AAAA AAMAeAeS eeAAAA কারবার, পরিচালন করিতেছেন। এক্ষণে উদ্যোগী ও কৃতকৰ্ম্ম বাঙ্গালীরা যদি এই যৌথ কোম্পানীতে যোগদান করেন তাহা হইলে সকলেই বেশ লাভবান হইতে পারেন এবং ইহার উত্তরোত্তর শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। যখন এই শ্রমশিল্প-প্রবর্তনের কল্পনা মাত্র হইতেছিল সেই সময় স্বামী বিবেকানন্দ হরিদাস-বাবুর গৃহে এক মাস অবিস্থিতি করেন । স্বামিজী তাহাকে এই কার্য্যে নামিতে যথেষ্ট উৎসাহ দেন। স্বামিজীর ইংরেজী জীবন-চরিতের চতুর্থ ভাগে তাহারই জনৈক শিষ্য কর্তৃক লিখিত প্রবন্ধে একথার উল্লেখ দুষ্ট হইবে । চট্টোপাধ্যায় মহাশয় আজীবন যেমন এই কাৰ্য্যে র্তাহার সময় শক্তি ও অর্থ নিয়োগ করিতেছেন, তিনি আশা করেন, বংশধরগণ এবং তাহার দেশবাসিগণ র্তাহার এই চিরপোষিত আশ৷ ফলবতী করিবেন। খৃষ্টীয়, ১৮৮৫ অক্টে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন হয়। ১৮৮৬অব্দে হরিদাস-বাবু প্রথম ডেলিগেট হইয়া যান এবং তদবধি তিনি একজন পাকা কংগ্রেসওয়ালা থাকিয়া প্রতি বৎসর তাহাতে যোগ দিয়া আসিতেছেন। বাৰ্দ্ধক্যের জন্য তিনি এক্ষণে পরিশ্রমের কার্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিলেও জনহিতকর কার্য্য মাত্রেই তাহার উৎসাহ এবং সহানুভূতি কাছারও অপেক্ষ কম মহে। সাধারণ অনুষ্ঠানাদিতে বক্তৃতা দেওয়া তার খুবই অভ্যাস । তিনি খাণ্ডোয়া ও তাহার বাহিরে নানাস্থানে সামাজিক ও রাজনৈতিক বহু বকৃত করিয়াছেন । ১৯১৭ অব্দে মধ্যপ্রদেশের ৬ষ্ঠ প্রাদেশিক কনফারেন্সে তিনি সভাপতির আসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন । এবং তাঁহাতে যে স্বদীর্ঘ বক্তৃতা দান করেন,—স্বায়ত্ত-শাসন, সরকারের দমননীতি ও শিক্ষা বাণিজ্য প্রভৃতি সম্বন্ধে যে-সকল সার উক্তি করেন তাহা শাসকবর্গ ও দেশবাসী উভয়েরই প্রণিধানযোগ্য। তিনি বাধ্যতা-মূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলন, ও উচ্চ নিম্ন সৰ্ব্বশ্রেণীর ছাত্রগণকে তাহাদের দেশ-ভাষার মধ্য দিয়া শিক্ষাদানের পক্ষপাতী । দেশে শিক্ষা-প্রচারের এবং যুবকগণকে উচ্চশিক্ষা দানের জন্য র্যাহারা দেহ মন উৎসর্গ করিয়াছেন ইনি র্তাহাদের মধ্যে একজন অগ্রদূত। প্রাদেশিক