পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ቆፃ8 SAASASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS মাম্রাজের আডিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি দামোদর উদ্যানের ভিতর অবস্থিত । ভিতরে ঢুকিয় প্রথমেই বিদ্যালয়ের কৃষিক্ষেত্র দেখিলাম। এখানে যে প্রকার ধান দেখিলাম তাহ মাজাজের সহরতলীতে যে শস্য হয় তাহা অপেক্ষা অনেক দীর্ঘ। বোধ হয় কোনপ্রকার বিশেষ সার ব্যবহার করাই এই ঔৎকর্ষের কারণ । তাহার পর একটি ছোট হলদে রঙের বাড়ীর পাশ দিয়া গেলাম। ইহ ছাত্রাবাসেরই একটি অংশ ; এখানে অনেকগুলি ছাত্রকে দেখিতে পাইলাম। সবাই ব্যস্ত ; কেহ ঘরের ভিতরে রহিয়াছে, কেহ কুয়ার ধারে । সকালে ঠাণ্ড জলে স্বান করিয়া তাহারা দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত হইতেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান অংশগুলি এখন দেখিতে পাইলাম। শাদা ধুতি ও জামা পরা ছেলে দলে দলে বাড়ীগুলির ভিতর ঢুকিতেছে এবং বাহির হইতেছে। প্রত্যেক গাছের গায়েই তাহার নামধাম বড় বড় অক্ষরে লেখা, পড়িতে পড়িতে চলিলাম। উদ্ভিদবিদ্যা শিখিতে হইলে এইপ্রকার বাগানের ভিতর থাকাই সুবিধাজনক, মধ্যে মধ্যে দূরের কোন একটা বাগানে গিয়া চারটা গাছ দেখিয়া আসা অপেক্ষ ঢের ভাল। এতক্ষণে আমি একেবারে কলেজের দরজার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলাম। ভিতরে ঢুকিয়া দরোয়ানকে জিজ্ঞাসা করিলাম আমার পরিচিত একজন অধ্যাপক তখন জাসিয়াছেন কি না। দরোয়ান আমাকে উপরে লইয়া গেল। আমার বন্ধুকে সেখানে দেখিলাম, তিনিও কলেজের জাতীয় পোষাক পরিয়া আছেন । তিনি আমাকে বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপকের সহিত পরিচয় করাইয়া দিলেন। তিনি আমাকে সঙ্গে করিয়া তাহার ল্যাবোরেটারিতে লইয়া গেলেন। তিন-চারটি ছাত্র মাইক্রোস্কোপ, কুর, ছুচ, প্রভৃতি লইয়া কাজ করিতেছে দেখিলাম। মাইক্রোস্কোপ, ছাত্রদের বসিবার বেঞ্চ প্রভৃতি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বশৃঙ্খলভাবে রক্ষিত। ঘরে আলোর ব্যবস্থা স্বন্দর। ছাত্রদের মুখ বেশ প্রফুল, অধ্যাপকগণও এমন আনন্থের সহিত তাহাদের কঠিন বিষয়ে সাহায্য করিতেছেন প্রবাসী—ভাদে, )లిశిసె

  • SS S SSAAA ASASASA AAAAASAASAASAASAASAASAAASMSMAAAS AAASASAAAAAS AAASASAAAAASAAAAMA SASAeS AAASASASS

[ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড جیرههای سینمایی যে দেখিয়া আমার ভারি ভাল লাগিল। এখানকার অন্তর্নিহিত ভাবটিকে যেন বুঝিতে পারিলাম। আমার অধ্যাপক বন্ধু আমাকে যেখানে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় সব দেখাইয়া বেড়াইতে লাগিলেন। কিন্তু সব দেখা হইবার আগেই আমরা উপাসনার ঘণ্টা শুনিতে পাইলাম। আমরা তাড়াতাড়ি একটি খড়ে ছাওয়া বড় ঘরের দিকে চলিলাম। ঘরখানি একটি আমগাছের তলায়। চুকিয়া দেখিলাম ইতিমধ্যেই সেখানে ছাত্র ও অধ্যাপকগণ সমবেত হইয়া সম্প্রদ্ধভাবে দাড়াইয়া আছেন। তাহাদের সকলের, সম্মুখে তাহাদের অধ্যক্ষ । ইনিও সকলের সহিত উপাসনায় যোগদান করেন। আমরা ধীরে ধীরে প্রবেশ করিয়া পিছন দিকে দাড়াইলাম। শঙ্করাচার্ধ্যের একটি বিখ্যাত স্তোত্র আবৃত্তি করিয়া তাহার উপাসনা আরম্ভ করিলেন এবং উপনিষদের মন্ত্র পাঠ করিয়া শেষ করিলেন । তাহার পর পরে পরে একটি পারসী প্রার্থনা, একটি মুসলমান ও একটি বৌদ্ধ প্রার্থনা উচ্চারিত হইল এবং বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম্ সঙ্গীতটি সর্বশেষে গাওয়া হইল। এই ব্যাপারটি জাতীয় বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ অঙ্গ । একজন ভদ্রলোকের উনবিংশ শতাব্দীর রাষ্ট্রীয় চিন্তার ইতিহাস বিষয়ে কয়েকটি বিশেষ বক্তৃতা দিবার কথা ছিল । আমরা তাহার জন্য অপেক্ষ করিতে লাগিলাম। শুনিলাম অনেকেই এইরূপ বক্তৃতা দিবার ভার লইয়াছেন। এই উপায়ে অনেক জনহিতৈষী মানুষ শিক্ষা-বিস্তারের সাহায্য করিতেছেন। বক্তৃতা শেষ হইবামাত্র ছাত্রর নিজের নিজের ক্লাশের ঘরে চলিয়া গেল। যে-সকল বিষয় শিক্ষা দিতে হইলে যন্ত্রাদির সাহায্যে কোনরূপ পরীক্ষা করিতে হয় না, সেই-সকল বিষয় ছাত্রগণ গাছের তলায় বসিয়াই শিক্ষা করে। উপরে একটুখানি খড়ের ছাউনি থাকে, কিন্তু চারিপাশ খোলা ! মাটি হইতে একহাত উচু করিয়া বাধানে বসিবার স্থান। দেয়াল-ঘেরা বন্ধ গৃহের কোনও অহৰি ইহার মধ্যে নাই, উপরন্তু স্ববিধা এই যে ছাত্রগণ প্রকৃতিব