পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nుసిe SASAeeAMAMAMA AMAMAAAA কখনও মুখে একটু হাসি ফুটে ওঠে, কখনও বা চোখ জলে ভরে আগে । বর্ধার গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে দেখেছি মেঘাচ্ছন্ন স্তৰ আকাশ পৃথিবীর মুখের উপর অবনত, স্নান পৃথিবী মৌন-একটা “বোঁ কথা ক ও” পার্থী উড়ে উড়ে কেবলি বলছে—“কথা কও” “কথা কও”—তারপর অকস্মাৎ আকাশ থেকে বীর বীর চোখের জল-সে চোগের জলের যেন জার শেষ ছিল না । এই রকম কত রূপে কত বর্ণে কত ভাবে মায়াৰী আকাশ যে পৃথিবীকে তার প্রেম জানাত সে তোমাদেব কি বলব। ভোরের বেলায় দেখেছি তার চাপারঙের উত্তরীয, স্থৰ্য্যাস্তে দেখেছি তার স্বর্ণভূষা, সন্ধ্যায় দেখেছি তার চাদের কিরীট, তারার মালা। পৃথিবীকেও দেখেছি—বৈশাখে সে ধূলিশয্যায় নিরাভরণা মানিনী, বর্ষায় সে পত্রপুপসজ্জিত অভিসারিকা। আমাদের এই পৃথিবী—কখন কোন আদিম কালে কে তাকে ঘরছাড়া করেছে—সেই থেকে রাত্রিদিন সে কার উদ্দেশ্বে চলেছে সে নিজেই জানে না। আর আকাশ তার চন্দ্রসূৰ্য্যগ্ৰহতারা নিয়ে আলো-অন্ধকার নিয়ে পৃথিবীকে বলছে—প্রিয়, প্রিয়া, সে যে আমি, সে যে আমি।” এমনি করে অমল কথন থেমে, কখন চুরুটটা মুখ থেকে হাতে বা হাত থেকে মুখে নিয়ে আপন মনে বলে যাচ্ছিল । আমরা কখনও শুনছিলাম, কখনও ব। তার কথায় আমাদের মনে বহুদিনকার ভুলে-যাওয়া দু’একটা ঘটনার স্মৃতি ভেসে আসছিল। তার পর কোন প্রসঙ্গে আকাশ পৃথিবী বর্ষ। শরৎ ছেড়ে অমল কি সুত্রে ধে নিজের কথা তুল্ল তা আমাদের মনে নেই, তবে যেই সে নিজের কথা আরম্ভ করল অমনি আমরা সজাগ হয়ে বসলাম । অমল বলল—দেখ, আমি যখন প্রথম প্রেমে পড়ি তখন আমার বয়স তের কি চোদ—না—তারও আগে স্ত্রীবেশধারী একটি যাত্ৰাদলের ছোকরাকে বিয়ে করবার ইচ্ছা হয়েছিল, তবে সেটা বিশেষ গুরুতর হয় নি । তের বছর বয়সে প্রেমের কথা শুনে বুঝতে পারবে একটু অল্প বয়সেই পেকেছিলাম— স্বরেশ বলল-ওহে গল্পটা সত্যি ত ? "মল বল্ল-অংগে শোনে, তার পর প্রশ্ন কোরে— প্রবাসী-ভাঁজ, లిశిని [ २२त्र छन्, Sम थ७ মদন-দা এসে পড়েছিলেন, কিন্তু তার প্রবন্ধ শোনার কারও কোনরূপ আগ্রহ না দেখে গভীর হয়ে বলে ছিলেন। তিনি বললেন—“দেখুন আমলবাবু, আমি যতদূর বুঝি, বিয়ের পূৰ্ব্বে অন্ত স্ত্রীলোকের প্রতি যে অনুরাগ झुम्न-° -- স্বরেশ বলল –“মদন-দ, Freud ও-সম্বন্ধে কি বলেছে Çጃ v5—” মদন-দা বললেন—“স্বরেশ, আমার কথাটা আগে শেষ করতে দাও, আমি বলি ও-সব বিলেক্তে হয়ে থাকে, আমাদের দেশে—” স্বরেশ আধার একটা কি বলতে যাচ্ছিল কিন্তু আমরা বাধা দিলাম, বললাম—“আঃ স্বরেশ, আজ আর তর্ক কোরো না—মদন-দা, আজ আমাদের ক্ষমা করুন।” আবার আমরা চুপ করে বল্লাম-আমাদের চারিদিকে রাত্রির নিস্তব্ধতা ঘনিয়ে এল। মদন-দাও গম্ভীর হয়ে বসে রইলেন। অমল আবার বলতে লাগল—এবার আর গল্পে বাধা পড়ল না। আস্তে আস্তে, থেমে থেমে সে বল্ছিল--মনে হল যেন সেই মেঘান্ধকার সজল সন্ধ্যার স্নান আলোতে ধন্থদিন আগেকার ঝরে’-পড়া গোলাপের পাপৃড়িগুলো কুড়োবার জন্যে সে তার অতীত জীবনটা হাত্ড়ে খুজছিল । অমল বল্ল—আশা করি মদন-দা ও ভগবান আমাকে ক্ষমা করবেন–কিন্তু সত্যি বলছি ভালবাসায় আমি অনেকবার পড়েছি । সে ভালবাসা দুদিনব্যাপীও হয়েছে, দুবছরব্যাপীও হয়েছে । সেগুলো প্রেম কি না, আজ তা নিয়ে তর্ক করে কোন লাভ নেই। কোথায় যেন পড়েছি যে মানুষ ফিরে ফিরে প্রথম প্রেমের কথাই মনে আনে। আজ অনেকদিন পরে আমারও সেই প্রথমবারের কথা মনে পড়ল । সেই কথা আজ তোমাদের বলব—তবে কতটা সতি ঘটেছিল কতটা বা আমার কল্পনা তা এতদিন পরে আমীর পক্ষে বলা অসম্ভব। তখন পড়তাম গ্রামের ইস্কুলের থার্ড ক্লাসে কি সেকেণ্ড ক্লাসে, কিন্তু ক্লাসের পাঠ্যের চেয়ে অপাঠ্যের দিকে আমার মন ছিল বেশী। ঐ বাংলেই বঙ্কিম, রবিবাবু, এমনকি উচ্চত্রান্তপ্রেমও পড়েছিলাম। সব যে বুঝতে