পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసిఫి جمعیتههای تحصیحیح বলল—“দাদাকে বলে দেব যে সকালবেলা পড়াশুনা ছেড়ে কুলগাছে, ওঠা হয়েছে।” মুখে বললাম “দাও গে না” কিন্তু মনটা দমে গেল। দেখলাম ছোড়দির অভিপ্রায় ঠিক তত খারাপ নয়—সে কুল চায় ৷ ‘ তার পর আমি কুল দিচ্চি—সে কুড়োচ্ছে । এমন সময় বাগানের বেড়ার ওধার থেকে মেয়েলি গলায় ডাক শোনা গেল—“টুলি’ । টুলি আমার ছোড়দির নাম । ছোড়দি বাগানের দরজার কাছে ছুটে গিয়ে তাকে ডাক্ল—“আয় না।” . আমি তাদের দেখতে পাচ্ছিলাম না, কিন্তু বুঝলাম যে আমি থাকাতে মেয়েটি আসতে দ্বিধা করছে। ছোড়দি বল্ল—“আরে ও আমাদের অমূলা ৷” সে এল । অপরিচিত মেয়েদের সাম্নে আমার ভারি লজ্জা কর্ত—তাই তার মুখের দিকে তাকান আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল । ছোড়দি আমায় বললে—“ভাল দেখে পাড়।” প্রথমটা সে লজ্জায় দাড়িয়ে রইল, তারপর একটু একটু করে তার লজ্জা কেটে গেল। আমি কুল পাড়তে লুগৃিলাম, তারা পরস্পরকে ঠেলাঠেলি করে হাসাহাসি করে কুড়োতে লাগল। নিজের জন্যে বেছে বেছে যে-সব ভাল কুল পকেটে জম করেছিলাম তাও পকেট শূন্ত করে তাদের দিয়ে দিলাম। তার পর সে চলে গেল-বাগানটা হঠাৎ চুপ হয়ে গেল। দিদিকে জিজ্ঞাস করলাম—“ও কে ?” দিদি একটা কুলের অৰ্দ্ধেকটাকে কামড়ে নিয়ে বাকিটার উপর চোখ রেখে অত্যন্ত সংক্ষেপে জবাব দিল—“তোর તો ” এক মুহূর্তের মধ্যে আমার ভিতর-বাহির বদলে গেল । মনে হল সে যেন একান্ত আমার আপনার । আমি দেখতে পেলাম—সে বসে আছে বাসর-ঘরের পাটির উপর লজ্জাবনত হয়ে আমার আগমনের প্রতীক্ষায় । সারাদিনের উপবাসে তার মুখটি শুকিয়ে গেছে । আমি যাচ্চি আলো জালিয়ে, ৰাজন বাজিয়ে—আমার মাথায় মুকুট, গলায় ফুলের মালা। যুগে যুগে আমি তাকে পেয়েছি কখনও কাল ঘোড়ার উপর চড়ে, মন্ত্ৰপূত বাক৷ তলোয়ার হাতে করে দৈত্যপুরী থেকে তাকে উদ্ধার - প্রবাসী-ভাত্র, ১৩২৯ করে'—আসন্ন সন্ধ্যায় তেপান্তরের মাঠ ধু ধু করছে—সে যেন আর ফুরোয় ন—সমস্ত দীর্ঘ পথটা তার দুই ক্ষীণ বাস্থ দিয়ে আমাকে সে জড়িয়ে ধরেছে । কখনও বা তাকে পেয়েছি স্বয়ম্বর-সভায় লক্ষ্য ভেদ করে’ সমস্ত রাজাদের যুদ্ধে হারিয়ে । কথনও বা ঝোড়ে রাতে ভগ্নমন্দিরে স্তিমিত আলোকে তার সঙ্গে আমার দেখা । যে-সকল কাব্য উপন্যাস পড়েছিলাম সে-সব যেন তারি সঙ্গে আমার মিলন হবার অপূৰ্ব্ব কাহিনী। আশ্চৰ্য্য হয়ে গেলাম নিজের দিকে তাকিয়ে —যে আনন্দলোকে চিরবসন্তের দেশে প্রতাপ, জগৎসিংহ বাস করে, আমি যেন সেই দেশের অধিবাসী—প্ৰতাপ হেমচন্দ্রের नश्छब्र-ग्रहे चाभि ! रुङ छूछ् भरन इल मांनॉब्र *ांगन আর পুরোনো পড়ার অত্যাচার। কিন্তু আনন্দের মধ্যে কোথায় যেন ব্যথা লুকিয়ে ছিল । সেই ব্যথার স্পর্শে যে আকাশ যে গাছ যে ফুলের দিকে কখনও তাকাই নি—তা এত মধুর হয়ে উঠল । চেয়ে দেখলাম— অনারের পুকুরের পাড়ে গাদাগুলো ফুটে ফুটে আপনাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিচ্ছে । উত্তরে বাতাসে পুকুরের জলের গায় কাটা দিয়ে উঠছে এবং ভোর বেলাকার রোদ তার উপর ঝিকৃমিক্‌ করছে। বাগানে আল বেঁধে বেঁধে কপির চার লাগান ছিল-বুড়ো মালী ঝাঝরায় করে তাতে জল দিচ্ছিল । সেই জলের ধারা, ভোরবেলাকার রোদের সেই ঝিকিমিকি, শিশির-ভেজা সেই ঘাস, সেই গাদাফুল, এমন কি সেই বুড়ে মাণীর জল আনা, জল ঢাল—সব মৃদ্ধ পৃথিবীটা যে এত সুন্দর তা ইতিপূৰ্ব্বে কখনও চোখে পড়েনি। যা দেখি অমনি মনে হয়—কি আশ্চৰ্য্য—কি আশ্চৰ্য্য ! ছোড়দি অনেকক্ষণ চলে গেছে। ঘরে ফিরে এসে হঠাৎ আয়নায় চোখ পড়ল । জগৎসিংহের কথা মনে হল—একবার নিজের চেহার ও বেশভূবার দিকে তাকিয়ে নিলাম—দেখলাম জগৎসিংহের সঙ্গে মিল্ল না। কাপড়টা কোমরে বাধা—এজন্তে মার কাছে অনেকদিন বকুনি খেয়েছি—গায়ে ফ্ল্যানেলের একটা সার্ট, সেও বেশী পরিষ্কার নয়—বোতামও অধিকাংশই নেই—তা হোক, কিন্তু গৰ্ব্বে মনটা একেবারে ভরে গিয়েছিল। মনে হল