পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা 1 eAeAeAeeAe eMAeeAeMAAAA এমন বিস্ময়কর ঘটনা পৃথিবীতে কখনও ঘটে নি। মনে মনে স্থির করলাম যে তাকে আমি বিয়ে করবই। বোধ হল সে আমার চেয়ে বছর থানেকের বড় হবে, কিন্তু তাতে আমার কিছু আপত্তি ছিল না। কামিনী-দাদা গ্রাম-সম্পর্কে আমার কি-রকম যেন দাদা হতেন । খবর পেলাম মেrয়টি র্তার শ্যালী । কামিনী-দাদার নবম না দশম সস্তানের অন্নপ্রাশনে কামিনী-দাদার শ্যালী ও শ্বাশুড়ী এখানে এসেছিলেন । সেইদিন থেকে কামিনী-দাদার ছেলে রাখালের প্রতি আমার মনোভাব বদলে গেল । রাখালের মস্ত মাথ, পেটভরা পিলে, বড় বড় গোল গোল দুই চোখ, কিন্তু তার গলা জড়িয়ে ধরে সত্যি একটা তৃপ্তি পেলাম। এর পূৰ্ব্বে রাখালের প্রতি আমার এত স্নেহ কেউ কখনও দেখে নি । এমন কি সকলেই জানৃত যে তার উপর আমাদের বিশেষ রাগ ছিল । তার কারণ যদিচ রাখুর বয়স মাত্র দশ বছর ছিল, দুষ্টবুদ্ধিতে তার জুড়ি সে গ্রামে ছিল কি না সন্দেহ । মিথ্যে কথা এবং চুরি-বিদ্যায় সে ওস্তাদ ছিল। আমাদের মাৰ্ব্বেল, নাটাই, ঘুড়ির, স্বতো তার জন্যে রাখাই মুস্কিল হ’ত । তা ছাড়া গুরুজনের কাছে নালিশ করতে তার মত কেউ পাবৃত না । রোজ অন্ততঃ বারদশেক করে’ সে আমাদের নামে নালিশ কবৃত। তার উপর সে এমনি বাছুনে ছিল যে তাকে - কোনো দিন একটা চড় মেরেছি কি সে এমনি জোরে এবং এমনি করুণভাবে আৰ্ত্তনাদ কবৃত যে লোকে মনে কবুত তাকে কেউ খুনই কবৃছে বা সেইরকম একটা-কিছু। সেই রাখালকে অযাচিত হয়ে একটা নাটাই দিয়ে ফেলেছিলাম। তার প্রতি এই অপ্রত্যাশিত আকস্মিক স্নেহে কেবল যে দলের লোক বিস্মিত হত তা নয়—রাখালের গোল চোখ আরো গোল হয়ে উঠত। বোধ করি তার মনে আমার মত লব সম্বন্ধে যথেষ্ট সন্দেহ হত, তাই বলে’ দেওয়া জিনিষ নিতে সে গররাজী হবে—রাখালের মন এত অমুদার ছিল,ন । কিন্তু রাগালের কাষ্টে যে খবর পেলাম সে অতি সামান্য । সে শুধু এই যে—তারা শুকতারা AMAMA AMAMAAA AAAA AAAA AAMAAMMMMMeAMAMAMAeMe Ae AMAAA AAAA AAAAM Me MM AAAA AAAA AAMMAMeeMMeeeAMMeeAeMAMAeMAMMAMeMSMMMAMAAAA అసిలీ দিন দশেক থাকৃবে—আর জেনেছিলাম তার নাম । তার নাম—তোমাদের তা শুনে লাভ, নেই, কারণ তার মধ্যে তোমরা কোন মাধুৰ্য্যই দেখতে পাবে ন+আর আমিও আজ তাতে হয়ত কোন বিশেষত্বই দেখব না। সে অতি গ্রাম্যধরণের নাম—সরলা কি অবল কি এই রকমের একটা-কিছু। কিন্তু তবু এও সত্য যে একদিন ঐ নামটা আমার সমস্ত ভুবন স্বরে স্বরে রাঙিয়ে দিয়েছিল । বিকেল বেল খেলায় মন লাগত না । যে পরমাশ্চৰ্য্য অমুভূতি পেয়েছিলাম তার কাছে খেল-টেলা তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল। মন আপন মনে কেবলি বলত— “ভালবাসি—আমি ভালবাসি : এক-একবার ইচ্ছা কবৃত কথাটা প্রকাশ করি। কিন্তু প্রকাশ করলে তার ফল শুভ হবে কি না সে সম্বন্ধে যথেষ্ট সনোহ ছিল, তাই করা হ’ল না। তবে একদিন খেলার শেষে নবীনদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম—মেয়েদের কোন নামটা তাদের ভাল লাগে। দেখলাম এ সম্বন্ধে তাদের কিছুমাত্র ঔংস্থক্য নেই ; অবল, সরলা কি তরল কারে প্রতি তাদের বিশেষ পক্ষপাত দেখলাম না । জিজ্ঞাস করলাম—কাকেও বিয়ে করতে ইচ্ছা করে কি না ? কোন প্রকার চিন্তা বা দ্বিধা না করে নবীন বলল— তার দিদির ননদকে। সমস্ত পৃথিবীতুে বিশেষ করে কেন নবীন তার দিদির ননদকে নির্বাচন করুল তার কোন সন্তোষজনক কারণ সে দেখাতে পারল না, এমন কি প্রকাশ পেল তাকে সে দেখেও নি । তার দিদির ননদকে বিয়ে করতে না পারলে নবীনেৰু হৃদয়ভঙ্গ বা ঐরূপ কোন দুর্ঘটনা যে ঘটুবে এরকম মনেই হ’ল না। যতুকে জিজ্ঞাসা করলাম, দেখলাম পাত্ৰীসম্বন্ধে তার মন অতি উদার—তবে তার দাদা বিয়ে করে একটা সাইকেল পেয়েছিলেন—সেই রকম একটা সাইকেলের প্রতি তার বিশেষ লোভ ছিল এবং গড়ের বাদ্যের* জন্য তার যতটা উৎসাহ দেখা গেল কোন বিশেষ পাত্রীর সম্বন্ধে ততটা উৎসাহ দেখা গেল না । বেশ বুঝলাম, আমি যে স্বপ্নলোকে ছিলাম নবীন সতীশ প্রভৃতি তার জুস্তিত্ব পয্যন্ত জানে