পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৯৬ একটা টিল ছুড়ে দিল, ঘুঘুটা পাথার শব্দ করে খাড়া আকাশে উঠল তার পর খানিকটা নেমে দুরে উড়ে গেল । ক্রমে বঁাশ-ঝাড়ের ফাক দিয়ে মাঝে মাঝে অস্পষ্টভাবে নদীর ইস্পাতঘূসর জল এবং দূরে শাদা বালির চরটা দেখা যেতে লাগল। এমন সময়ে একখানা পান্ধী এল । আমরা পথ ছেড়ে দিলাম, পাল্কীখানা নদীর দিকে চলে গেল । পান্ধীর দরজার ফাক দিয়ে খানিকট সাড়ী ও খানিকট চওড়া লাল পাড় দেখতে পেলাম। আর নদীর দিকে গেলাম না। ভাবলাম সে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে যে আমি তারি জন্যে অপেক্ষ কবৃছিলাম। দাড়িয়ে রইলাম—নবীন কি-একটা কথা বলছিল তা আমার কানেও পৌছল না। খানিকক্ষণ পরে দেখি রাগল আসছে। এক হাতে একটা হারিকেন লণ্ঠন, আর-এক হাতে একটা মুখে সরা-বাধা হাড়ি, পিঠে একটা ছোট পটুলি । কোন রকমে মাঝে মাঝে থেমে, জিনিস নামিয়ে হাত বদলে এবং নিজেস্ব বারংবার খসে পড়া কাপড়ের বাধ বারবার এটে সে আসছিল । জিজ্ঞাসা করলাম—“রাখু—পান্ধীতে কে গেল রে ?” সে বস্লে—“দিদিম৷ ” “আর তোর মাসীম ?” “তিনি অনেকক্ষণ আগেই গেছেন।” অমল চুপ করল । আমি বললাম--তার পর ? সে বলল—তার পর আর কিছু নেই । . —সে কি ষ্টে । সে বলল—তার দিন সাতেক পরে একটা ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে এমন মেতে গিয়েছিলাম যে ও ঘটনা ভুলেই .*. প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২৯ SAAAAAA SAAAAAe MM eeA MMeM MA AeM MM SMMeS eA AeSJJJSJM AAAA SAAAAAM MM eMA AM AMAM MM MeM AA AMM MMMJSJAAA SAAAA SA ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড গেলাম। এমন কি রাখালকে যে নাটাইটা দিয়েছিলাম সেটাও ফিরিয়ে নিলাম । 'স্বরেশ জিজ্ঞাসা করল—আর কখনও তাকে দেখেছ ?. অমল অনেকক্ষণ ধরে একটা চুরুট ধরাল। দেশলাইয়ের আলোতে তার চশমার কাচ দুটো চকু চকু করে উঠল । তার পর থেমে বলল—“পরশু দিন দেখে এসেছি—ওজনে দ্বমণের উপরে এবং চার পাঁচ ছেলের ম। আর সুরেশ এবং মদনদ তর্ক আরম্ভ করবার পূৰ্ব্বে আমি শুধু এই কথা বলে রাখতে চাই যে যেমনোভাবের ইতিহাস তোমাদের বললাম—সেটা মোহ হতে পারে, কিন্তু আমি শপথ করে বলতে পারি সেটা রূপজ মোহ নয়, দ্বিতীয়ত আমি প্রথম থেকেই বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলাম অতএব ওটাকে অবৈধ বা অন্যায় বলাও ঠিক হবে না।” কিন্তু তর্ক করবার কারও প্রবৃত্তি ছিল না । যেমন চুপ করে বসে ছিলাম আমরা তেমনি বসে রইলাম। অমল গল্প শেষ করতেই খেয়াল হল যে সমস্ত পাড়া অনেকক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। দেখলাম সমস্ত আকাশ একেবারে নিমেঘ—কৃষ্ণচুড়া গাছটার ঠিক উপরে কৃষ্ণপক্ষের বাক চাদ স্বপ্নের মত ক্ষীণ স্বদুর আর আকাশময় ছড়ানে তারা । তার পর হঠাৎ সুনীল গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বলল—“সাড়ে দশটা বেজে গেছে আর ট্র্যাম পাবার আশা নেই—সমস্ত পথটাই হাটুতে হবে।” অমলের গল্পে আমরা সবাই বিরক্তি বোধ করছিলাম বটে, কিন্তু মদন-দা সত্যি সত্যি রাগ করলেন, তিনি সেই থেকে আমাদের ত্যাগ করলেন । ঐ কিরণশঙ্কর রায়