পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

às - |

SAASAASAASAASAASAA AAASA SAAAAS AAAAA AAAASAASAASAASAASAASAA দিকে চাহিলে সমস্ত জগং প্রাণময় প্রেমময় হইয়৷ ಆಣಿ | g বীঠোফেনের একটি sonata বাজাইয়া রমলা দীপ্তমুণে রজতেয় দিকে চাহিল। রঙ্গত উদ্দীপ্ত কণ্ঠে বলিল,—ভারি সুন্দর, আর-একটা বাজান না । —বাজাচ্ছি, মাধু তোর গানের বইগুলো কোথায় ? —ওপরে আছে বোধ হয়, তোর ত বেশ হাত পিয়ানোতেও, তোর কাছে রোজ শিখুলে হয়। —তুমি ত শিখছিলে এখানকার কোন মেমের কাছে। —সে আর বোলে না, আন্‌ব নাকি ওপর থেকে ? —থাকৃ, আমি এমিই বাজাচ্ছি, ভূল হলে কেউ ত আর ধবৃতে পারছে ন –বলিয়া কৌতুক-ভর চোখে রজতের দিকে চাহিয়া বীঠোফেনের এক ঝড়ের গান বাজাইতে ঝুরু করিল। নিৰ্ণিমেষ নয়নে রজত এই পিয়ানোবাদিনীর দিকে 'চাহিয়া রহিল, এ যেন একট। স্বরের ছবি—চোখ দুইটির আলত কম্পিত রেথায়, রাঙা ঠোঁট দুইটির আনন্দে তরঙ্গিত টানে, পদ্মরাগের মত আঙ্গুলগুলির লীলায়িত ছন্দে, হেলিয়োট্রোপ রংএর শাড়ীর দুলিয়া-ওঠার ভঙ্গিতে, দেহের প্রতি রেখা স্বরকে মূৰ্ত্ত, গানকে গতিশীল সাকার করিয়াছে, পায়ের তলে লুটানে লাল পাড় হইতে উদ্যত বেণীর . কেশগুলি পৰ্য্যন্ত ছবির রেখাগুলি প্রাণের ফোয়ারার মত উচ্ছ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে—এই রমলা-ছবিখানিতে বিশ্বশিল্পী রেখাকে বক্ষে একটু ওঠাইয় কটিতে একটু গড়াইয় কণ্ঠে একটু টানিয়া কেশে বাড়াইয়া শাড়ীর পাড়ে দোলাইয়া কি বিচিত্ররূপ আঁকিয়ছে। এই দেহভঙ্গির স্থষমার দিকে চাহিতে চাহিতে রজতের চিত্ত কোন সঙ্গীতলোকে হারাইয়া গেল। গানের স্বরের কি আশ্চৰ্য্য শক্তি, অক্সার অন্তরতম গৃহের বন্ধদ্বয়ার সব খুলিয়া যায়, চিত্তের নীলাকাশে রক্তরাঙা সন্ধ্যার স্বপ্নমায়া বুলাইয়া দেয়। গানের স্বর রূপকথার রাজপুত্রের মত সোনার কাঠির স্পর্শে চিত্তের , ঘুমন্ত রাজপুরী জাগাইয় তোলে, প্রাণ-শতদল-শাধিনী চিরবিরহিণী কোন সৌন্দৰ্য্যময়ী জাগিয় ওঠে ! রজতের মনে হইল তাহার হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে ঘুমন্ত প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ ১ম খণ্ড SMA AM MMAAA AAAA AAAA AAAAMAMA AMAeAeeSMS SS রাজকন্তু আজ জগিল উঠিয়া প্রাণের’ছয়া, খুলিয়া বাহির হইয়া আসিয়াছে, তাহারি সম্মুণে মূৰ্ত্তিমতী বসিয়াছে। • . বাজানো শেষ করিয়া রমলা দীপ্তনেত্ৰে বুজত ও মাধবীর দিকে চাহিল। দুইজনকেই স্তন্ধ দেখিয়া বলিল,— কি হলো ? রজত বিমুগ্ধ হাসিয়া বলিল,--৭া স্বরের ঝড় তুললেন । —এখন ত কেটে গেছে ? না, না, এখন একটু বেড়াতে । যাওয়া যাক, চলুন,—বলিয়া চেয়ার হইতে একটু নাচের ভঙ্গিতে উঠিয় দাড়াইল । —-কিন্তু বাশির কথাটা যেন রাতে মনে থাকে,--বলিয়া পিয়ানোটা বন্ধ করিল। রজতের সঙ্গে সঙ্গে মাধবীও উঠিয়া দাড়াইল, জাবার নিকটের এক সোফায় বসিয়া পড়িল, তাহাব সহসা মনে পড়িয়া গেল, এই অপরিচিত যুবকটির সতি বেড়াইতে যাওয়া ঠিক হইবে না। অবহু কোন কারণে সে বসিল তাহা বল। শক্ত, যাইতে তাহার কোথায় বেদন বোধ হইতেছিল । রমূলা তাহার নিকট বলিল,--কি হলো তোমার ! —ভাই এই গল্পটা শেষ করি । —নাও, এই সন্ধ্যেবেলা তোমায় গল্প শেষ করতে হবে না,- বলিয়া বায়স্কোপের ম্যাগাজিনটা টান মারিয়া কাপেটে ফেলিয় দিল । রঞ্জতও একসঙ্গে বেড়াইতে যাইবার মত শক্তি মনের মধ্যে খুজিয়া পাইতেছিল না, সে পাশের দরজা দিয়া ধীরে ঘরের দিকে যাইতেছে দেথিয় রমলা একটু বিস্মিতনয়নে চাহিয়া বলিল,-কোথায় ? দীনভাবে রজত বলিল,—ঘরে একটু কাজ আছে। একটু তিক্তকণ্ঠে রমলা বলিল,—আচ্ছা। এ-সব ঢং সে মোটেই সহিতে পারে না"। বারাদার কোণে কাজী-সাষ্টেৰ চুপ করিয়া বলিয়া সন্ধ্যার আলোয় পাহাড়গুলির দিকে তাকাইয় ছিলেন । রমলা চুটিয়া গিয়া প্রায় তাহার দাড়ির ওপর পড়িয়া হাত ধরিয়া বাকুনি দিয়া গেরুয়া রংএর আলখাল্লাটী টানিয়া বলিল,—চলে ত কাজী সাহেব ! , o " ত্বরিতপদে অগ্রসর হইয়।