পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAMAMeeMMeeMAeeeM MMA AeAAAS AAASASAAA MAAAA সে ভাব এইবার সে আসল ক্ষমতার সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু এ কি —এই ছোট্ট পাহাড়টাকেই যে সে সরাতে পারছে না। তা হলে ভারী ত তার ক্ষমতা ? এখন হয়েছে কি-দেবদূত তাকে একটা পাহাড় . করে দিয়েছেন । এবার বৃষ্টিকেও তার ভয় নেই, রোদকেও সে একদম কেয়ার করে না। হঠাৎ তার মনে হল কি একটা যেন তার পায়ের দিকে ঘা মার্ছে। সে তার পাথরের চোখ দুটো দিয়ে অনেকক্ষণ দেখে দেখে ঠিক কবৃলে যে একটা ছোট মানুষ একথান। ভাঙ্গা কোদাল দিয়ে তাকে আঘাত করছে, আর তার পায়ের পাথরের আঙ্গুলগুলো একটি একটি করে’ খসে যাচ্ছে । তার ভারী রাগ হল। মামুষের এত আম্পৰ্দ্ধা— সে একটা পাহাড়কে ধ্বংস করতে চায়! সে জোরে চেচিয়ে উঠল “আমি মানুষ হতে চাই।” আবার সেই দিন-মজুর। কোদালখানা কোলের উপর ফেলে রেখে রাস্তার ধারে বসে’ ! ক্ষিদের জালায় পেটট তার চিচি কবৃছিল। শ্ৰী হেমেন্দ্রনাথ সন্ন্যাল চাতকের স্বষ্টি এক সহরে বাস করত এক গয়লা । খেয়ে - সে সহরের লোক তাকে চমৎকার চিনে নিয়েছিল। দুধে কেবল সাদা রঙটি রেখে সে ছেড়ে দিত । সহরের লোকে তার দুধের নাম দিয়েছিল— সাদা জল । তার একসের "সাদা জলে’ ছটাক কি অধিপোয়াটাক দুধ থাকৃত কি না সন্দেহ । কিন্তু দুধ খাটী দুধের দরে বিক্ৰী ! কাজেই সহরের লোক তার কাছে ঘেসত না । তবে তার চলত কেমন করে ? বিদেশী লোকের কল্যাণে। ঠিক সহরে ঢুকবার মুখেই সে তার দোকান খুলে বসেছিল। বিদেশী লোক ও মুলাফেরদের দৃষ্টি চট্‌ করে ওরই ওপর পড়ত। বাল, जाब क् ि! डाबू छू५ ८दन कर्ज़ी मछहे विजौ इङ । কিন্তু খানেওয়ালাদের তা থুেয়ে মোটেই যে তৃপ্তি هدفسـه ما" ছেলেদের পাততাড়ি—চাতকের স্বষ্টি তার দুধ • १०१ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS হত না, এটা ঠিক। কেউ তাকে মনে মনে গাল দিত,-কেউ দুকথা শুনিয়ে দিত -কেউ বা ধৰ্ম্মের ভয় দেখাত --অত অধৰ্ম্ম সইবে ন গয়লার পে, ওপরে ধৰ্ম্ম আছেন । কিন্তু গয়লার পে। এসব মোটেই গ্রাহ করত না । জল বেচে লোকের বহুকষ্টে-রোঙ্গারকরা পয়সা (গায়ের রক্ত বললেও হয় ) গয়ল দিব্যি শোষণ করে নিতে লাগল। অনেক টাকা রোগার কবুলে—অনেক বিষয়-সম্পত্তি করলে—মনে করলে এ ধন-সম্পদ চিরদিন ভোগ করব । যখন স্বপেই থাকব, তখন স্থলই বা পাপ । কিন্তু হঠাৎ একদিন কাল এসে গয়লাকে তার অধৰ্ম্মোপার্জিত ধন-সম্পদ থেকে টেনে নিয়ে গেল। একটুও তার জোর খাটুল না। কেউ— কোন জিনিষ তাঁর সঙ্গে গেল না । • মৃত্যুর পর ময়লাকে হাজির করান হল ধৰ্ম্মরাজের দরবারে। তার বিচার হবে। পাপীর মন কেঁপে উঠল। . এখানে ফাকি দেবার জে৷ ত নেই। বিচারক অন্তৰ্য্যামী ; তিনি পাপ-পুণ্য সবই জানছেন। গয়লা শুকনে মুখ কাল করে বিচারকের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়াল। ধৰ্ম্মরাজ তার উপর ক্ৰোধ-কটাক্ষ নিক্ষেপ করে বললেন—তোর কিছু বলবার আছে ? গয়লার মনে আশ হল । মনে করলে—স্বর্গেও বুঝি মিথ্যার জন্ম হয়। সে অমনি কাতে কঁাতে বলে’ উঠল— হুজুর, ধৰ্ম্মাবভার, দোহাই আপনার— চুপ্ত!—বজ্ৰগম্ভীরস্বরে ধমুক দিয়ে ধৰ্ম্মরাজ বললেন— তোর পাপের সীমা নেই—মিথ্যে কথা বলে পাপ আর বাড়াতে চাসনে । এই শোন—এরা কি বলছে। গয়লা চেয়ে দেখলে কতকগুলি মুসাফের যারা তার কাছে দুধ কিনেছিল । তার কালে মুখে কে যেন এক পোচ কালি মাখিয়ে দিলে। তারা বললে— হুজুর! এ আমাদের জল খাইয়ে দুধের পয়সা নিয়েছে। এর পাপের শেষ নেই। আমাদের বহুকষ্টের পয়সা গায়ের এক বিন্দু রক্ত এ চুষে নিয়েছে । ধৰ্ম্মরাজ গয়লার প্রতি ভ্ৰকুট করে বললেনশুনছিস্—পাপিষ্ঠ ! দুৰ্লভ মানব-জন্ম পেয়েছিলি। খুব তার সদ্ব্যবহার কবৃলি। এখন .তোর কি শান্তি