পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ օԵր . প্রবাসী—ভাদে, ১৩২৯ বধান করি। এবার কোন জন্ম চাস —কুকুর, শিয়াল, গাধা, শূসর– * গয়ল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতে কঁাতে বলতে গাগুল—হজুর রক্ষা করুন—হজুর রক্ষা করুন— · ধৰ্ম্মরাজ কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তার পর কঠোর কণ্ঠে বললেন—তুই এবার এক রকম পাখী হয়ে জন্মাবি । মানুষের রক্ত শোষণ করতে দুধের ব্যবসায়ে মৃত জল ব্যবহার করেছিলি--ভগবান তোর জন্যে ঘে জল মেপে রেখেছেন, তত জল তার থেকে বাদ গেল । তুই সামান্য জলই তোর ব্যবহারের জন্য পাবি। কেবল বর্ষায় মেঘের জল পান করে তুই জীবনধারণ করবি । অন্য সময় বা কোন জলাশয়ে ভোর জলপানের শক্তি থাকৃবে না। তোর ভেষ্ট কিছুতেই মিটুবে না। যখন দারুণ তেষ্টায় তোর প্রাণ ছট্‌ফট্‌ করবে, তুই যন্ত্রণায় আকাশে ছুটে বেরোবি এবং একবিন্দু জলের জন্যে করুণ স্বরে “ফটিক জল!” “ফটিক জল :” বলে কেঁদে বেড়াবি।—এই হল তোর শাস্তি ! সেই অবধি মে গমূল চাঁতকপার্থী হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে । সে কেবল মেঘের জল পান করে । অসংখ্য জলাশয়ের দিকে চেয়ে থাকে—তেষ্ট পেলেও তাদের জলপান করবার তার শক্তি নেই। গ্রীষ্মকালে দারুণ তেষ্টায় যখন তার প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, ছাতি ফেটে যায়, তখন তাকে আকাশ ফাটিয়ে করুণ স্বরে র্কাদতে শোনা যায়—ফটিক জল, ফটিক জল । শ্ৰী দুর্গাপ্রসাদ মজুমদার। সেয়ান বোকা বৃষ্টি হলেও পাঠশালে যায় মাথায় দিয়ে টোকা, তাই খোকাকে চালাক হলেও বলত সবাই বোকা । সেদিনও সে হনহুনিয়ে যাচ্ছে হেঁটে জোরে -- বর্ষা-সজল-কাজল-ঘেরা শ্রাবণ-ঘন ভোরে, [ २२* छांगं, »ब १७ ৰাগিয়ে নিয়ে বগলদাবায়ু পাত্তাড়ি আর জুতে, ঝুলিয়ে হাতে মাটির দোয়াত জড়িয়ে বাধা স্বতে । বাইরে বড় বেরোয়নি কেউ, পথ ঘাট সব ফালা, জল-সপূসপৃ জোড়া মেঘে আকাশ যেন ঢাকা ! বাজে গুড়গুড় মেঘের মাদল, চম্কে চিকুর হানে । থাকৃছে না আর কানের পোকা ব্যাঙের গলার গানে ! টইটুম্বুর পুকুরে জল, শ্ৰে ওলা-পিছল ঘাট, উঠছে বেড়ে আগাছা বন, ঘাসে বোঝাই মাঠ ! গাছ-পালারা আজুড় গায়ে দাড়িয়ে ভেজে ঠায়, বোক তবু টোকা মাথায় * পাঠশালেতে যায় ! পথের মাঝে একটা গলি পার হ’তে হয় তাকে, গলিট প্রায় জলে কাদায় নোংরা হয়েই থাকে ; মাঝখানে তার যাওয়া-আসায় লোকের পীয়ে পায়ে একটু সরু পথ হয়েছে জমাট কাদার গায়ে ; তারই উপর সাবধানে খুব যাচ্ছে বোকা ছেলে, হাটুর চেয়েও গুড়িয়ে কাপড় সামলে পাটি ফেলে! না এগোতেই অল্প দূরে দেখলে—জালাতন,”আজও গলির ওমুখ থেকে