পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রমলা ৭১৩ SAMeMeeeMeSeAMAeeeeMeAMeM MAMeMA AMAeMM MAeMeeSeeMMMMAeM MeM eAM MeM AMAeeMMAMAMMAMAeAMAMM AeeMMeM MA AMMAMMMAeM তাহার আঁকার সরঞ্জাম আর মামার ক্লাস্ক, টেষ্টটিউবে ভরিয়া শিল্পীর শিল্পীগার আর রাসায়নিকের বীক্ষণাগার এইরূপ একটি উভচর বস্তু হইয়া উঠিয়াছে। 爵 প্রভাতে এক পশুলা বৃষ্টির পর মেঘ কাটিয়া কলিকাতার আকাশ কচি শিশুর হাসির মত নিৰ্ম্মল রৌদ্রে ভরিয়া উঠিয়াছে। বালিখলা হলদে বাড়ীর দেওয়াল জলে ভিজিয়া রৌদ্রে ঝিকিমিকি করিতেছে । বাড়ীখানিকে নাহির হইতে দেখিলে মোটেই মনে হয় ন ইহার ভিতর এক বৈজ্ঞানিক তপস্বী তাহার জীবনের সাধনা করিতেছেন, এইখানে এক শিল্পী তাহার প্রিয়াকে লইয়া জীবনের নীড় বাধিতেছে । ভাড়াটে গাড়ীটি যখন বাড়ীর সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, র্মল যদি স্বতীক্ষ চোখে বাড়ীর সম্মুখভাগটা দেখিত তবে সে দুঃখিতই হইত, কিন্তু তাহার সব জিনিষই অনিৰ্ব্বচনীয় মধুর বলিয়া বোধ হইতেছিল, কে স্বন্দর আজ তাহার ক্ষে মোহনমন্ত্র বুলাইয়া দিয়াছে,—ষ্টেসনের কুলি, পথের জনতা, দোকানের সারি, গাড়ীর শক, এই প্রভাতের মেঘ ও রৌদ্র, রঞ্জতের মুখ, সবই কি অপূৰ্ব্ব স্বন্দর । সমস্ত পথ রজত তাহাকে তাহার মামার গল্প, এই বাড়ীর গল্প লিতে বলিতে আসিয়াছে, কথানি ঘর অাছে, বাজার করার রান্না করার চাক্ষরটির কি কি গুণ প্রকাশ পায়, করূপে এতদিন কাটিয়াছে, ইত্যাদি সব বলিতে বলিতে মাসিয়াছে। বাড়ীটি রমলার কাছে রজতের কৈশোর জীবনের কত স্বপ্নময় দিনের স্মৃতিবিজড়িত হইয় তাহার Iামার কথার সহিত জড়াইয়া মহারহস্যরূপে দেখা দিল । iাড়ী দরজার সম্মুখে থামিতেই চাকর গোপাল তাড়াতাড়ি পের বিড়িট ফেলিয়া সম্মুখের দোকান হইতে ছুটিয়া আসিল এবং রমলা গাড়ী হইতে নামিতেই পথের টপাথেই তাহার পদধূলি লইয়। নূতন গৃহকত্রীর মনেজন করিতে মুরু করিয়া দিল । রজত তাহার মামাকে কোন খবর দিয়া আসে নাই । চঠি লিখিয়া আসিলে তিনি প্রতিঘরের ধূলা ঝাড়িয়া র সাজাইয়া খাবার আনিয়া যে কাও কুরিয়া তুলিতেন গহ ভাবিয়া সে কোন খবর দেয় নাই। মামাকে হঠাৎ মাশ্চৰ্য্য করিয়া দিবার লোভও কম ছিল না । তুলসী-বাবু দোতলায় তাহার ঘরে মাইক্রস্কোপে একটা স্নাইড দিয়া অতি নিবিষ্ট মনে দেখিতেছিলেন, বহুক্ষণ দেখিলেন, কিন্তু তিনি লে জীবাণুর সন্ধান করিতেছিলেন তাহা পাইলেন না, একটু হতাশভাবে কাচ হইতে চোখ তুলিয়া ঘরের চারিদিকে আর পাশের টেষ্টটিউবের দিকে চাহিলেন, তারপর টেবিলের উপর এক বড় খাতায় লিখিলেন, ৪৯৯ বার, not found, তার পর এক-একটা স্নাইড দিয়া মাইক্রসকোপে মনোযোগ দিলেন। তিনি এই পরীক্ষাটি তিন বছর ধরিয়া করিতেছেন, এখনও সিদ্ধিলাভ করেন নাই । রঞ্জত ধীরে আসিয়া স্নাইড সরাইয়া লইল, তুলসীবাবুর চোখ মাইক্রস্কোপে ছিল—তিনি একটু ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া উঠিলেন, তার পর মাথা তুলিয়। রজত ও রমলাকে দেখিয়া, ইউরেকা, ইউরেকা বলিয়া চেঁচাইয়া উঠিলেন। রজত ও রমলা একসঙ্গে তার পায়ের ধূলো লইবার জষ্ঠ নত হইতেই তিনি তার শীর্ণ হাতে রজতের সিন্ধের পাঞ্জাবীর গলাট। আর রমলার ক্রীমরংএর শাড়ীর আঁচল টানিয়া দুইজনকে তুলিলেন । তার পর রজতের দুইগালে দুই মৃদু চড় পড়িল, আর রমলার গণ্ড ধরিয়া আদর করিয়া বলিলেন,—ব ! এ যে খাস বেী হয়েছে রে—আমি ভেবেই মরছিলুম, যে রঙ্গভকে বঁদের বানিয়েছে, না জানি সে কেমন ধিঙ্কি! তারপর রমলার গালে দুই আঙ্গুল দিয়া মৃদু আঘাত করিয়া বলিলেন—ম-লক্ষ্মী, বেশ হয়েছে, আমি ভারি খুলি হয়েছি। তার পর রজতের এক হাত ধরিয়া ঝাকানি দিয়৷ বলিলেন–আচ্ছা, হতভাগ গাধী; একটা খবর দিয়ে আসতে নেই, আমি কোথায় বসাই, কি বা খেতে দি বল ত । তার পাংলা দেহ তালপাতার মত কাপাইয়া তুলসীবাবু বলিয়া যাইতে লাগিলেন,—তোর ঘরে যাস্ না, এখন এখানে বোস গোপাল ছোড়াটা হয়েছে যেমন বদর– বাবু নেই ত ঘর ঝেড়ে কাজ নেই,—ল, ও গাব, ওঘরে গেলেই অম্লখ করবে, আমার ঘরটা তৰু কিছু পরিষ্কার অাছে। ন, মা, তুমি এইখানে বোস,--বলিয়৷ রমলার হাত ধরিয়া টানিয়া নিত্ত্বের বিছানার উপর