পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२8 ാക് ബാസ് ത് സ് ത് താ দেওয়ান চিন্তা করিয়া দেখিলেন, রাণীর অবস্থা মোটেই স্ববিধাজনক নয়, এইবার রাজাকে সব ঘটনা লিথিয়া পাঠানো প্রয়োজন। দেওয়ান তাই রাজার নিকট পত্র লিখিয়া পাঠাইলেন। পত্র পাঠ করিয়া রাজার মন ক্রোধে উত্তেজিত হইয়া উঠিল। তিনি রাণীকে হত্যা করিবার জন্য স্বরাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন । কিন্তু রাজা রাণীর প্রেমোজ্জল মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া এবং তাহার অনুপম ভক্তির ও অদ্ভুত আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পাইয়া চমৎকৃত হইলেন। শুধু তাহাই নহে। পত্নীর অনেক বিস্ময়কর কার্য্য দেখিয়া রাজা ভাবিতে লাগিলেন, রাণী ত এখন আর মানবী নহেন—তিনি যে দেবী । এই দেবীর প্রতি রাজা কি ভক্তি প্রকাশ না করিয়া স্বস্থির থাকিতে পারেন? তাই— “পাত্র মিত্র সভাসদ সমভিব্যাহারে। রাণীর নিকটে গেল বিনীত অন্তরে। নিকটে যাইয়ী রাজা অষ্টাঙ্গে পড়িল । নিজ স্ত্রী বলি অভিমান নাহি কৈল ॥ যোড়হস্তে স্তবস্তুতি অনেক করিল। অপরাধ ক্ষম বলি কাতরে কহিল ॥” পতিব্ৰতা রাণী রাজার অপরাধের কথা মনেও করিলেন না। তিনি নম্রবচনে রাজাকে কহিলেন, “আমি সম্পূর্ণরূপে তোমারই অধীন। তুমি কখনই তোমার দয়া হইতে আমাকে বঞ্চিত করিও না। এখন আমার একান্ত অনুরোধ, তুমিও ভগবানের শরণাপন্ন হও এবং ভক্তির সহিত র্তাহারই নাম কীৰ্ত্তন কর । তাহা হইলেই তোমার যথার্থ মঙ্গল হইবে।” রাজা কহিলেন, “এখন আর তুমি কোন মামুষেরষ্ট অধীন নও। বাহার অধীন এই জগৎসংসার, তুমি শুধু র্তাহারই অধীন । তুমি আমার সহায় হও । আমি তোমার সাহায্যেই রাজ্য শাসন করিব”— “তোমারে সহায় করি রাজ্য মুই করি।” এই-সকল বর্ণনা পাঠ করিয়া মনে হয়, যথার্থই বৈষ্ণব যুগে এক শ্রেণীর নারীর অবস্থার একটু উন্নতি হইয়াছিল। হয় অ ৰ্তাহীদের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু সংখ্যা কম হইলেও র্তাহাদের একটুকু শাস্ত্রজ্ঞানও ছিল, স্বাধীনতাও ছিল; তাহার। পুরুষের মতই সাধন করিয়া ভক্তি এবং প্রবাসী—ভাদ্র, లిఫిసె { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAAAS A SAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAAS eM MM AAAA AAAAS AAAASS MM MM eeS ee ee আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করিয়াছিলেন। সেইজন্তই পুরবেরা র্তাহাদিগকে অন্তরের শ্রদ্ধা অর্পণ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই । ঐ অমৃতলাল গুপ্ত টরেস ষ্ট্রেট এবং নিউগায়েনার নারী নিউগায়েন এবং অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে টরেস ষ্ট্রেট ( প্রণালী ) এবং কতকগুলি দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জকে কুইন্সল্যাণ্ডের অন্তর্গত বলিয়া ধরা হয়, কিন্তু এইখানের প্রাচীন অধিবাসীদের চেহারার সহিত অষ্ট্রেলিয়ার আদিম কালের লোকদের চেহারার কোনো প্রকার সাদৃপ্ত নাই। টরেস ষ্ট্রেটের লোকেরা পাপুয়ান জাতির হইলেও নিউগায়েনার লোকদের সহিত চেহারায় এবং আচার-বিচারে বিশেষ কোনো অমিল নাই। নিউগায়েনার লোকদের সহিত ইহাদের বিবাহাদিও চলিয়া থাকে। গত ৩০ বৎসর হইতে, মুক্তার ব্যবসার জন্য পৃথিবীর নানাদেশ হইতে নানা জাতির লোক এই টরেস ষ্ট্রেটের দ্বীপগুলিতে শুভাগমন করিতেছে । এই শুভাগমনের ফলও ফলিতেছে, তবে তাহা শুভ কি অশুভ তাহা বলা শক্ত। বিদেশীর আগমনে এবং আধিপত্যে দেশবাসী তাহদের প্রাচীন প্রথা-পদ্ধতি ক্রমে ত্যাগ করিতেছে বা ত্যাগ করিতে বাধ্য হইতেছে। বিদেশীর নানা প্রকার কুশ্রী ব্যাধির আমদানী হইয়াছে। প্রাচীন দ্বীপবাসীরা খুব তাড়াতাড়ি গোপ পাইতেছে। পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে দ্বীপের যে অবস্থা ছিল, এখন সে অবস্থা নাই। সেই সময় কুকুরের দাতের হারের যে দাম ছিল, একটা লোহার ছুরি বা কাচের বোতলেরও ছিল সেই দাম। ঐ রকম যে-কোনো একটা জিনিষের বদলে একটা স্ত্রী ক্রয় করা যাইত। সেই-সব দিন গত হইয়াছে। কতকগুলি দ্বীপ লোকশূন্ত হইয়াছে। বাকী দ্বীপে প্রাচীন বৃদ্ধ বৃদ্ধা জন ছয় করিয়া আছে। প্রাচীন দ্বীপবাসীরা মনে করিত তাহাদের এ ক এক বংশ এফ এক জন্তু হটতে জন্ম লাভ করিয়াছে । তাহার নিজ নিজ বংশের আদি জন্মদাত জন্তুর মূৰ্ত্তি পিঠে , বর্তমান কালে পিঠে ছবি