পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] কান্তকবি রজনীকান্ত O ৭৩৭ AA AMMAMAMMMA AMAMMMMMAMAAMAMMAMAMeMAMAMAMMMAMAMMMAMM AMMMMAMAMAeMM MMA AeMMMAMAMAMA AMA AMA MAMAMAAA AAAA AAAA MAMMAAAA দীর্ঘ কবিতা বুিধিয়া, ইষ্টদেবের প্রতি তাহার প্রগাঢ় ভক্তি দেখাইয়াছিলেন আর সমস্ত হিন্দুস্থান মুগ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু তুলসীদাসের সে যন্ত্রণ চারি দিন" মাত্র ছিল, পাচ দিনের দিন তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। রজনী বাবুর ভীষণ যন্ত্রণ আট মাস। এরূপ যন্ত্রণায় লোকে অধীর হয়, আর রজনী বাবু তাহাতেই আমাদের অনেক “অমৃত” দিয়া গিধাছেল এবং বঙ্গবাসীকে মুগ্ধ করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার কবি ও এই সময়েই অধিক জমিয়াছে। অল্প কথায় প্রগাঢ় ভােব এই সময়েই তিনি প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন–র্তাহার “অমৃত", "আনন্দময়ী", “অভয়া" এই সময়েরই লেখা । বঙ্গবাসী তাহার এই সময়ের কবিতার বেশ আদর করিয়াছিল। নলিনী বাবু একটি ভাল কথা বলিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃখ-দৈন্ত ও দুর্দশার সময় কিছুমাত্র সাহায্য না করিয়া বাঙ্গালী যে কলঙ্ক মাখিয়াছিল, তাহার কতকট। রজনীকান্তের ঘোর বিপদে অকাতরে সাহায্য করিয়া মুছিয়। ফেলিয়াছে। সকলেই রজনী বাবুর দুঃখে দুঃখিত ছিলেন, সকলেই তাঁহাকে যথাসাধ্য সাহায্য করিয়াছেন। বাক্যে, কার্য্যে, অর্থে, সেবায়, নানাবিধ প্রকারে তাহার সাহায্য করিয়াছেন । ইহাদের মধ্যে প্রধান মহারাজ সার মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, ইহার ত দানের পার নাই। কিন্তু দান অপেক্ষ ইহার আর-এক বড় গুণ আছে, সেট। এই যে, ইনি”সকলের ব্যথায় ব্যর্থী ; এরূপ কোমল অন্তঃকরণের লোক জগতে দুর্লভ। তিনি যে রজনীকান্তের বিপদে র্তাহার ব্যথায় ব্যর্থী হইবেন, তাহা আর বেশী করিয়া বলিতে হুইবে না। আর-একজন রজনীকান্তের দুঃখে দুঃগিত হইয়। যশস্বী হইয়াছেন, তিনি দীঘাপভিয়ার কুমার শরৎকুমার রায় । ইনি , মুশিক্ষিত, সচ্চরিত্র, • অশেষ গুণে গুণান্বিত, তিনি স্বতঃ পরত:, পরমেশ্বরত:, অনবরত রজনী-বাবুর সাহাধ্য করিয়া আসিয়াছেন। কিন্তু তাহার একটি কথায় একটু ব্যথিত হইয়াছি, তিনি রজনী-বাবুকে “রাজসাহীর কবি” বলিয়াই সাহায্য করিয়াছেম। রাজসাহীতে জন্মিলে কি হয়, রজনী-বাৰু যেমন, সমস্ত বাঙ্গালীর কবি, কুমারু শরৎকুমারও সেইরূপ সমস্ত বাঙ্গালার সম্পত্তি ; তাহার এরূপ সঙ্কীর্ণতাটা ভাণ দেধায় না"। o © কিন্তু যে বাঙ্গালী মাইকেলকে ও হেম-বাবুকে কষ্ট পাইতে দেখিয়াও কিছু করে নাই, সে বাঙ্গালী রজনীবাবুর জন্য এত করিল কেন ? ইহার কারণ নলিনীবাবু খুলিয়ু দেধান নাই। মাইকেল ও হেম-বাবুর সময় বাঙ্গালী বে একটি জাতি, বাঙ্গালীর এ উদ্বোধনটা হয় নাই ; তাহারাও র্তাহীদের বাকো, কাৰ্য্যে এবং কবিতায় সে উদ্বোধনটা জন্মাইয় দিতে পারেন নাই । কিন্তু রজনীবাবুর সময় বাঙ্গালার হাওয়া বদলাইয়। গিয়াছিল এবং সে বদলাইবার তোড়ের মূপে তিনি পড়িয়াছিলেন। বঙ্কিমের “বন্দে মাতরম" যপন লেগু হইয়াছিল, ভগন বাঙ্গালীরা উহ। হইতে আমর। ধে একটা জাভি, সেটা বোধ করিতে পারে নাই। স্বতরাং প্রথম প্রথম উহার বড় আদর হয় নাই । ত্রিশ বংসর পরে যখন জাতির উদ্বোধ হইল, তখন উচ্চার। “বন্দে মাতরমে"র গভীর অর্থ বুঝিতে পারিল ও তাহার আদর করিল। রজনী-বাৰু এই উদ্বোধের সময়ের কবি এবং উদ্বোধে তিনি যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন । র্তাহার “মায়েব দেওয়া মোটা কাপড়" গানটি এই উদ্বোধেব প্রাণ বলিলেও হয় । রজনী-বার যখন এই গান গায়িতে গায়িতে কলিকাতার পথে দলবল লইয়া যাত্রা করিয়াছিলেন, তখন সকলে আশ্চৰ্য্য হইয়া গিয়াছিল-সে যে কিরূপ আশ্চৰ্য্য, তাহা রামেন্দ্র-বীপুর ও প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বর্ণনায় বেশ বুঝিতে পারা যায়, তাহারা ত একেবারে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইয়। গিয়াছিলেন । নলিনী-বাপুও রজনীকান্তের বাল্য ও ীেবনের ইতিহাস দিয়া দেপাইয়াছেন যে, এই গানেই রজনী-বাবুর কবিত্বশক্তির পূর্ণ বিকাশ, এই গানেই তাহার খ্যাতি, এই গানেই তাহার প্রতিপত্তি, এই গানের জন্ত লোকে তাহার উপাসনা করিয়াছে, এই গানের জন্য তিনি সকল বাঙ্গালীর আত্মীয় ও স্বজন হইয়াছিলেন, এই গানের জন্য সকলে তাঙ্গাকে শ্রদ্ধা করিত, ভক্তি করিত ও ভালবাসিত । তাই বলিয়াই কি তিনি এক গানের কবি ? একে