পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] একটু শিক্ষার ব্যৱস্থা থাকিলে এই সমস্ত মিলিত শক্তিতে ত দেশে যুগান্তর আনিতে পারিত। শিক্ষা স্বাস্থ্যরক্ষা শিশুপালন দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষগ্নিবারণ প্রভৃতি কত কাজের জন্য দেশে কৰ্ম্মীর প্রয়োজন, কিন্তু করে কে ? এইসব মেয়েদের যদি আমরা গড়িয়া তুলিতে পারি স্তবে কি অন্তত অৰ্দ্ধেক অভাবও দূর হয়. না ? মনে করিবেন না, এই সব বাহিরের কাজে মেয়ের কিছু করিতে পারিবেন না। প্রথমতঃ শিক্ষাবিস্তার, রোগীর সেবা, শিশুর পালন, ধাত্রীবিদ্যা-এসব ত মেয়েদেরই কাজ ; তা ছাড়া যা-কিছু পুরুষের কাজ বলিয়া মনে কুয়া যায় তাহাও মেয়েদের পক্ষে করা অসম্ভব নয় । পাশ্চাত্য দেশের মেয়ের ত সকল কাজই করিতেছেন। সমাজ-রক্ষার জন্য ফেসব সংকার্য্যের প্রয়োজন তাহা ত অনেক জায়গায় মেয়েদের একচেটিয়া । বাহিরের নিতান্ত পুরুষোচিত কাজও যে র্তাহারা কেমন করিয়াছেন তাহা বিগত মহাযুদ্ধের কথা র্যাহার। শুনিয়াছেন তাহারাই জানেন । দেশে কাজ করিবার জন্য বৃদ্ধ ও শিশু ভিন্ন একটি পুরুষ ছিল না বলিলেই চলে। এড় বড় বড় দেশের এত কাজ কে করিল ? গৃহ স্নংসার সমাজ আপিস আদালত কল কারখানা হাসপাতাল • বিদ্যালয় যান বtহন বজায় রাপিল কে ? মেয়েরাই ত সব করিয়াছেন । তাহার যুদ্ধক্ষেত্রে রোগীর সেবা করিয়াছেন, আবার ঘর হইতে যোদ্ধাদের মাল মসলা খাদ্য পানীয় পোষাকপরিচ্ছদ জোগাইয়াছেন । তাহার উপর ট্রাম মোটর চালাইয়াছেন, পুলিশের কাজ করিয়া শান্তিরক্ষা করিয়াছেন, টেলিগ্রাফ টেলিফোন প্রভৃতির কাজ করিয়াছেন, আপিস আদালত করিয়াছেন, ঘরসংসার করিয়াছেন, এক কথায় সংসারটা তাহারাই আগাগোড়া চালাইয়াছেন । আধুনিক পাশ্চাত্য সংসার সমাজ যে কতখানি জটিল তাহা যিনি জানেন তিনি মেয়েদের কোনো ক্ষমতায় কখনও অবিশ্বাস করিবেন না । সমগ্ৰ দেশকে শুধু মেয়ের যদি বঁাচাইয়। রাখিতে পারেন তবে আমাদের দেশের মেয়েদের কাছে দেশ কিছু আশা করিবেন না কেন ? দেশের নানা জনহিতকর কাধ্যে আমাদের বিদ্যাসাগর বাণী-ভবন SAASA SAAAAA AAAAMAMAA AMAeAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ግ@› মেয়েদেরও গড়িয়া তুলিতে হইবে । পাশাত্য দেশে এই: সব কাজ কুমারী মেয়েরাই করেন, কারণ তাহার বিবাহিত জীবন আরম্ভ করিবার আগেই কাৰ্যক্ষম হইয় উঠেন, অনেকে বিবাহ করেনই না। আমাদের মেয়েদের অল্প বয়সে বিবাহ হয় বলিয়। লোকের অভাব হইবে না, ব্যাধি ও জরা ঘরে ঘরে এত বিধবার স্মৃষ্টি করিয়াছে যে র্তাহীদের দ্বারাই সমস্ত দেশের সেবা করাইয়৷ ब७ध्नों शंभ्रं । 嚴》 - যাহাদের আমরা গড়িয়া তুলিতে চাই তাহদের শুধু শিক্ষা দিলে ত হইবে না, আশ্রয়ও দিতে হুইবে । আমরা যাহাদের উপার্জনক্ষম করিয়া তুলিতে চাই, তাঙ্গদের অর্থ দিয়া শিক্ষা লইবার সামর্থ্য অনেকেরই নাই, এক্ষেত্রে শিক্ষ-ব্যয় গ্রহণ না করিয়া দেওয়াই উচিত। আমরা , সেই রকম ব্যবস্থা করিতেছি । মেয়েদের এই অনুষ্ঠানে মেয়েদের মঙ্গলাকাঙ্কিণী ভগিনীদের অর্থ সামর্থ ও শুভ ইচ্ছাই আমাদের প্রধান সম্বল। মাহব আত্মীয়ের দুঃখ যেমন বুঝে পরের দুঃখ কি তেমন বুঝে ? তাই মেয়েদের কাছেই আমরা মেয়েদের মঙ্গলকামনা চাহিতেছি । র্তাহার। আমাদের সহায় ন হইলে বাহিরে হাত পাতিব কোন ভরসায় ? অামাদের কায্যের স্বচনাই ত হইত না যদি আমাদের শ্রদ্ধেয়া ভগিনী শ্ৰীমতী হরিমতি দত্ত মহাশয় .১০,০০০ টাকা দিয়া এই শুভ-কায্যের উদ্বোধন না করিতেন. বিধবা ও অন্যান্ত অসহায় রমণীদের দুঃখ যে কত বহুল এবং জীবনব্যাপী, এ কথা অনেকেই একটু আধটু জানেন, কিন্তু আমাদের শ্রদ্ধেয়া ভগিনীর মত অন্তরের সহিত সে দুঃখ কয়জন অমুণ্ডব করিয়াছেন ? করিলে কি আজ তাহাদের মানসিক ও দৈহিক দুঃখ মোচনের জন্ত অর্থ ও সামর্থ্যের অভাব হইত ? এ বিষয়ে বেশী গার কি বলিবার গাছে । আবার আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করিয়া শষ করিতেছি । দুঃখিনী ভগিনীদের দুঃখ মোচনে সহৃদয়া ভগিনীর সহায় হউন এই আমাদের প্রার্থন । جم ہِ عیہ مقے • এই প্রবন্ধ ইবুক অবগ বহু কৃর্তৃক পতি ইখছিল ]