পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१¢३ প্রথম পরিচ্ছেদ

    • וחיד মহকুমা নূরপুরের মনৃপবৃদাং জলালুদ্দীন শীকারে

যুাইতেছিলেন । কেল্লার ভিতর তাহার প্রাসাদ। কেল্লার সম্মুখে প্রকাণ্ড মাঠে শীকারের দলবল প্রত্যুষে সমবেত হইয়াছিল। শীতকাল। শীকারীরা ও অপর লোকেঃ তুলাভর মির্জাই পরিয়া ব্যস্ত হইয়া ইতস্ততঃ ঘুরিয়া বেড়াইছেছে। শীকারীদের পিঠে বন্দুক, হাতে বর্শ, কোমরে ভরওয়াল। চারিদিকে অন্ত্রের ঝনঝন, অশ্বের হ্ৰেষ ধ্বনি। শিকলে বাধা তাজী কুকুর মাঝে মাঝে ডাকিতেছে, ধমক খাইয়া আবার স্তন্ধ হইতেছে। কয়েক জনের হাতে চক্ষু-বাধা বাজ পার্থী । শীকার-যাত্রার विलक्ष मांझे । আকাশ পরিষ্কার, কিন্তু স্বৰ্য্যোদয় হয় নাই । উত্তর হইতে শীতল বায়ু বহিতেছে। সহসা কোলাহল স্তব্ধ হইয়া গেল। মন্‌সর্দার কেল্লার ফটক পার হইয়া বাহিরে আসিতেছেন, সঙ্গে পাচ-সাতজন বন্ধু ও কৰ্ম্মচারী। সকলেরই শীকারের বেশ । তাছাদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান দুই আছেন। পাগড়ীতে প্রভেদ বুঝিতে পারা যায়। মনসবদার নিকটে আমিলে সকলে তাহাকে ঝুঁকিয়া সেলাম করিল। মনসবদার হাস্তমুখে মস্তকে হাত তুলিয়৷ কহিলেন, "তস্লীম !" # * জলালুদ্দীনের বয়স চল্লিশ হইবে । দুই-চারি-গাছ গোফ দাড়ি পাৰিয়াছে। শরীর দীর্ঘ, বলিষ্ঠ, কিছু স্থল হইতে আরম্ভ হইয়াছে। দিব্য পুরুষ, চক্ষে ওষ্ঠে দৃঢ়তার লক্ষণ, দৃঢ়তার সহিত নিষ্ঠুরতা হাসিলেও চক্ষের কটাক্ষে ও অধরপ্রান্তে নিষ্ঠুরভার চিহ্ন বিলীন হয় না। পাশ্ববর্তী এক ব্যক্তির স্বন্ধে জলালুদ্দীন বাম হস্ত রক্ষা করিয়া ছিলেন। সে হিন্দু ও বয়সে মনৃপবৃদারের অপেক্ষা অনেক ছোট । তাহাকে একবার দৈখিলে আবার তাহার দিকে ফিরিয়া চাহিতে হয়। আকৃতি জলালু দীনের অপেক্ষা কিঞ্চিং খৰ্ব্ব, বক্ষ প্রশস্ত, কটি ক্ষীণ । দেখিয়া বলবান কি না বুঝিতে পারা যায় না, তবে চলিবার প্রবালী-ভান্দ্র, ১৩২৯ [ २२* डॉ१, ३ञ थ७ AAA AAASA SAA eMM MAAA AAAA AAAA AAA AAAA MMM SMMM AMAMAAAA জয়ন্তী । . . . . ভঙ্গীতে ক্ষিপ্র ও লঘুগামী মনে হয়। এরূপ রূপবান পুরুষ সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না। আকারে ইঙ্গিজে বড় মোলায়েম, চক্ষের দৃষ্টি বড় কোমল ও মধুর। কণ্ঠের স্বরও সেইরূপ, কিছু অলিন্তজড়িত, মৃদু, পুরুষকণ্ঠের পরুযতাশূন্ত । মনসবদার যুবককে জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, “কেমন বিহারীলাল, কিছু শীকার পাওয়া যাইবে ? দিন ত ভাল বোধ হইতেছে।” বিহারীলাল চৌধুরী মহকুমার বড় জমিদার, মন্‌সৰ্বদারের প্রিয় পাত্র। তিনি মধুর অলস স্বরে কহিলেন, “ণীকার ত পাশা খেল, পড়ে ত পোঁ বারে, না পড়ে ত তিন কাণ ।” t পাশে একজন মোসাহেব বলিল, “ঠিক বাত বাবু সাহেব, ঠিক বাত ” শীকারের সরঞ্জাম মনসবদার ভাল করিয়া দেখিলেন । ঘোড়া, কুকুর, বাজ সব দেখিলেন । তাহার পর অশ্বে আরোহণ করিং অগ্রসর হইবার হুকুম দিলেন । বিহারীলাল ও আর কয়েক জন তাহার সঙ্গে রহিলেন । কিছু দূর গিয়া অরণ্য। সকলে সেই অরণ্যে প্রবেশ করিলেন। স্থানে স্থানে অরণ্য নিবিড়, অন্যত্র বিরল, কোথাও পৰ্ব্বল, কোথাও বৃহৎ জলাশয় । একটা জলাশয় হইতে কতকগুল বক উড়িয়া গেল। দেখিয়া, যাহাঁদের হাতে বাজ ছিল তাহার বাজের চক্ষু উন্মোচন করিয়া, বাজকে বলাকা দেখাইয় দিয়া ছাড়িয়া দিল । তাহার পর অশ্বারোহণে বাজের পিছনে ছুটিল । জলালুদ্দীন, তাহার সঙ্গীবর্গ ও কয়েকজন অমুচর মেদিকে না গিয়া সম্মুগে অশ্বচালনা করিলেন। বনের মধ্যে একটা মাঠ, সেইখানে একদল হরিণ চরিতেছিল। মৃগযুথ দেখিয়া শিকারীর কুকুরের শিকল মুক্ত করিয়া দিল, সেই সঙ্গে একদল অশ্বারোহী ধাবিত হইল। জলালুদ্দীন, বিহারীলাল ও আর সকলে সেই পথ অমুসরণ করিতেছিলেন, এমন সময়ে একটা বৃহং বন্ত , বরাহ তাহুদের পাখ দিয়া বেগে পলায়ন করিয়া বনে প্রৱেশ করিল। . এগালুদ্দীন ও বিহারীলাল ভংস্কৃগাং