পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ]

  1. , जगशंग्न इफेन, जां★नांब्र निकै चांथंद्र थांर्थन করেন নাই, স্বেচ্ছায় বাক্যালাপও করেন নাই। ইনি ইচ্ছাপূর্বক যদি আপনার মহলে যাইতে চাহেন সে কখা স্বতন্ত্র।”

মনসবদার আবার বিহারীলালের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। দৃষ্টি কুর, কুটিল, ওষ্ঠাধরের প্রান্তে নিষ্ঠুরতার রেখা প্রস্তরে লৌহরেখার স্থায় স্পষ্ট । তিনি কথা না কহিতেই রমণী বলিল, “বনচারিনী বলিয়া আমি অসহায় বা একাকিনী এরূপ মনে করিবার কোন কারণ.নাই। আমি কাহারও আশ্রয়প্রার্থী নহি, এবং আপনার বা মার কাহারও অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতে চাহি না। আপনার উদ্দিষ্ট পথে গমন করুন । আমি একাকিনী হইলেও নিরপরাবিনী, আমাকে পীড়ন করিবেন না ।” মন্‌সৰূদাব কি উত্তর করিবেন ভাবিতেছেন, এমন বিদ্যাসাগর &సి জুলালুদ্দীনকে কথা কহিতে অবসর না দিয় রমণী বিহারীলালকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, “আপনাৰে আমার কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। কিন্তু এই অত্যাচার রাজকর্মচাৰী হইতে আমার কোন আশঙ্কা নাই।" একবার রমণীর ও বিহারীলালের চক্ষু মিলিল অপর মুহূর্তে রমণী বনে প্রবেশ করিয়া অদৃশ্ব হইল। মনসবদারের আদেশে অমুচরের অনেক অন্বেষণ করিল, রমণীকে কোথাও দেখিতে পাইল না। শীকার, বন্ধ হইয়া গেল। বিহারীলাল মনসবারের পাশ্ব পরিত্যাগ-করিলেন, পথে আর বড় একটা কথা: বাৰ্ত্তাও হইল না । 媛》 * সেই দিন প্রভাতে, তৃণ হুইতে শিশিরবিন্দু লীন হইবার পূৰ্ব্বে বিহারীলাল মনুসধদার জলালুদ্দীনের প্রাণ রক্ষা করিয়াছিলেন । কেন ? ভবিতব্য সৰ্ব্বষামী ব্যতীত কে জানে ? সময়ে বিহারীলাল কহিলেন, “আমার অনুরোধ—আপনি 象 ( ক্রমশ: ) ইহাকে .অনিচ্ছা-সত্ত্বে দুর্গে বা আর কোথাও পাঠাইবেন མྱེ་ না, ইহার যেখানে ইচ্ছা গমন করিতে দিন ।” উত্ৰ নগেন্দ্রনাথ @ళి বিদ্যাসাগর আমাদের দেশে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্মরণ-সভা বছর বছর হয় কিন্তু তাতে বক্তারা মন খুলে সব কথা বলেন না, এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করা যায়। আমাদের দেশের লোকের একদিক দিয়ে তাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন না করে থাকৃতে পারেননি বটে কিন্তু বিদ্যাসাগর তার চরিত্রের যে মহত্ত্বগুণে দেশাচারের দুর্গ নিৰ্ভয়ে আক্রমণ কবৃতে পেরেছিলেন সেটাকে কেবলমাত্র তার দয়াদৃক্ষিণ্যের খ্যাতির দ্বারা তার ঢেকে রাখতে চান। অর্থাৎ বিদ্যালাগরের প্লেট সকলের চেয়ে বড় পরিচয় সেইটিই তাঁর দেশবাসীরা তিরস্করণীর দ্বারা লুকিয়ে রাখবার চেষ্টা कब्रुघ्न । এর থেকে একটি কথার প্রমাণ হয় যে তার দেশের লোক যে যুগে বন্ধ হয়ে আছেন বিদ্যাসাগর সেই যুগকে ছাড়িয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ সেই বড় যুগে তার জয়, যার মধ্যে আধুনিক কালেরও স্থান আছে, যা ভাবী কালকে প্রত্যাখ্যান করে না । যে গঙ্গা মরে গেছে তার মধ্যে স্রোত নেই, কিন্তু ডোবা আছে ; বহমান গঙ্গা তীর থেকে সরে এসেচে, সমুদ্রের সঙ্গে তার যোগ । এই গঙ্গাকেই বলি আধুনিক। বহমান কালগঙ্গার সঙ্গেই বিদ্যাসাগরের জীবনধারার মিলন ছিল, এইজন্য বিদ্যাসাগর ছিলেন আধুনিক । . . বিদ্যাসাগর ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের বংশে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি অতীতের প্রথা ও বিশ্বাসের মধ্যে মানুষ হয়েছিলেন ।—এমন দেশে তার জন্ম হয়েছিল, যেখানে জীবন ও মনের যে প্রবাহ মান্বষের সংসারকে নিয়ত অতীত থেকে বর্তমান, বর্ধমান..থেকে ভবিষ্যতের