পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११६

  • সভ্য” সচরাচর কলিকাতাতেই বাস করেন, অথচ বরাদ্ধ অনুযায়ী দৈনিক খাইখরচ ও বাসাখরচ দশটাকা করিয়া লইয়াছেন, এবং মফঃস্বলের পৈত্রিক বাসস্থান হইতে যাতায়াত বাবদে বরাদ রেলভাড়াও, লইয়াছেন, যদিও সেখান হইতে আসেন নাই ও তথায় যান নাই ! এরূপ . প্রবঞ্চকদিগের অন্ততঃ নামটা প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক। আইন অনুসারে অন্ত শান্তি হইলে আরও ভাল হয়। কোন কোন “সভ্য", ঘন ঘন-বাড়ী যাতায়াত করিয়া রাহাখরচ আদায় করিলে কলিকাতায় থাকিয়া, থাইখরচ আদায় করা অপেক্ষা বেণী লাভবান হইবেন দেখিয়া, দশ হইতে একুশবার পর্য্যন্ত বাড়ী যাতায়াত করিয়াছেন । এই প্রকারে ফাকি দিয়া টাকা আদায় করার পথ বন্ধ করা উচিত । অনেক "সভ্য” রেলের প্রথম শ্রেণীর গাড়ীতে যাতায়াত না করিয়াও বরাদ-মত দুটা প্রথম শ্রেণীর ভাড়া মাদায় করিয়াছেন। ইহাও স্বনীতিসম্মত নহে। কিন্তু ইহার সম্বন্ধে কিছু বক্তব্য আছে। গবর্ণমেণ্ট কৰ্ম্মচারীরা বেতন ও পদমর্য্যাদা অনুসারে ভ্রমণবায় পাই থাকেন। ঘোড়ার গাড়ী,

নৌকা, প্রভৃতির ভাড়া, কুলিখরচা, প্রভৃতির আলাদা . আলাদা হিসাব যাহাতে রাখিতে না হয়, এইজন্য গবর্ণমেণ্ট দুটা ১ম, ২য়, মধ্য, বা ৩য় শ্রেণীর রেলওয়ে টিকিটের ভাড়া দিয়া থাকেন । স্বতরাং এক এক জনে দুটা টিকিটের মূল্য লওয়া অন্যায় নহে। কিন্তু কৰ্ম্মচারী নীচের শ্রেণীর গাড়ীতে ভ্রমণ করিয়াও নিয়ম মত উচ্চশ্রেণীর ভাড়া আদায় করেন ; ব্যবস্থাপক সভার অনেক সভ্যও তাঁহাই করিয়াছেন। রাহাথরচ হইতে এইরূপ লাভ করা গবর্ণমেণ্টের অভিপ্রেত নহে। অতএব ইহা গহিত । ইহা বন্ধ করা উচিত। কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি কমিটির রিপোর্ট । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়বায় এবং অন্যান্য নামা বিষয় সম্বন্ধে রিপোর্ট দিবার জন্ত সেনেট দুটি কমিটি নিযুক্ত করেন। একটির রিপোর্ট দিবার নির্দিষ্ট শেষ দিন ছিল ১৩ই এপ্রিল, অন্যটির ২৫শে এপ্রিল। প্রবাসী—ভান্দ্র, ১৩২৯ - “ গবর্ণমেণ্টের অনেক [ શરંખ છાશ, ઝમ:૧૭ പക്ഷസ് কিন্তু প্রথমটির রিপোর্ট সভ্যদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় ২৯শে এপ্রিল, এবং দ্বিতীয়টির স্বাক্ষরিত হয় ৮ই জুলাই যাহা হউক,রিপোর্ট ফুটি এত বিলম্বে প্রস্তুত হইলেও, জুলাই মাসে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য দিবার প্রস্তাব আলোচিত হইবার পূৰ্ব্বে ঐ ছুটি প্রকাশিত হইতে পারিত । এবং তাহা হইলে শিক্ষাসচিব ও সভ্যো রিপোর্ট দ্বটি পড়িয়া তন্মধ্যস্থ সত্যাসত্য এবং বিদ্রুপের বিচার করিয়া টাকা দেওয়া না-দেওয়া স্থির করিতে পারিতেন। কিন্তু রিপোর্ট দুটি, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার জুলাইয়ের অধিবেশন শেষ হইবার এবং তাহাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্য মঞ্জুর হইবার পর ২৯শে জুলাই সেনেট’কত্বক বিবেচিত হইয়া তদনন্তর প্রকাশিত হইয়াছে। ইহা আকস্মিক ঘটনা বলিয়া भन्न श्ञ्ज न। ३शश्न भत्क्षा झाङ्कौ चाप्छ, ७३क्र” ধারণাই জন্মে। কারণ, রিপোর্ট দুটি এরূপ, যে, তাহা পড়িয়া শিক্ষাসচিব ও সভ্যেরা সন্তুষ্ট ও খুসি হইবেন না । রিপোর্ট দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক মুখপত্র কলিকাতা রিভিউতে ছাপা হইয়াছে । দুটি ঠাসা ১১৪ পৃষ্ঠা পরিমিত । তা ছাড়া, আলাদা কয়েকটি লম্বা হিসাবের ফর্দ আছে। এত বড় জিনিবের সম্যক সমালোচনা “বিবিধ প্রসঙ্গে" সম্ভবে না। আমরা তাই রিপোর্ট দুটির একটি মাত্র લાં বিষয়ের কিঞ্চিং আলোচনা করিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর গবর্ণমেণ্টের ক্ষমতা , কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কমিটির রিপোর্টের কোন কোন অংশ অক্ষরে অক্ষরে এক। আমরা যাহার আলোচনা করিতে যাইতেছি, উহা তদ্রুপ একটি অংশ । কমিটিস্বয়ের সভ্যগণ * গবর্ণমেণ্টের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্পর্শ কোন কোন বিষয়ে আছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর গবর্ণমেণ্টের ক্ষমতা ঐ ঐ বিষয়ে কতটুকু, তাহা দেখাইতে গিয়া, আয়ব্যয়পরীক্ষা ও ব্যয় কি প্রকারে

  • Sir Asutosh Mookerjee, Sir Nil Ratan Sicar, Principal H. Maitra, Sir A. Chaudhuri, Sir P. C. Ray, Rev Dr G. Howells, Dr. Bidhan Chandra Ray, Principal G. C. Bose, Dr. Hiralal 'THaldar, Rev. Dr. G. Watt, and Dr. Jatindranath Maitra.