পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ون ছায়াপথেনেব শরৎপ্রসন্নম্। আকাশমাবিষ্কৃতচারুতারম্। শারদীয় উৎসবের অনুষ্ঠানে বদদেশে অল্প একটুখানি বিশেষত্ব আছে বটে, কিন্তু এ উৎসব বাঙ্গালীর মধ্যেও বন্ধ নয়, আর্ধ্যজাতির মধ্যেও বদ্ধ নয় ; সারা ভারতবর্ষে আর্য্যেতর সকল শ্রেণীর লোকের মধ্যেষ্ট এ উৎসব চিরকাল প্রচলিত আছে। এ জীবনে যাহা দুৰ্ব্বোধ্য, জীবনমরণের সমস্তায় যাহা হেঁয়ালী, তাহার কথা এই শরৎকালে মনে পড়ে বলিয়া অনাৰ্য্যদের শারদীয় উৎসবে নৃত্য-গীত ছাড়াও দেব-সাধনার অনেক অহুষ্ঠান আছে। যাহারা জ্ঞানে উন্নত নয়, তাহাদের চিন্তা যপন অলক্ষ্যে অনন্তের দিকে যায়, তখন তাহার কাল্পনিক অপদেবতা ও ভূতপ্রেত্রের কথা ভাবে ; তাই এই সময়ে মানুষের ঘাড়ে ভূত নামাইরা হিতাহিতের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা আছে এবং ভূত প্রভৃতিকে শাস্ত করিয়া রাখিবার অনুষ্ঠানও আছে । শারদীয় উংসবে বঙ্গের বিশেষত্বের দাবী করিবার আগে, অনাৰ্য্যদের উৎসব-পদ্ধতির সংবাদ লইলে ভাল হয়। ছত্রিশগড়ের সীমান্তে ওড়িশার পশ্চিমভাগে ঘেসকল অনাৰ্য্যজাতি এখন জাৰ্য্যসমাজভুক্ত, তাহাদের “কুমারী ওষা” নামে পরিচিত শারদীয় উংসবের একটু বিবরণ দিতেছি । আশ্বিনের কৃষ্ণ-অষ্টমী হইতে শুক্লনবমী পৰ্য্যন্ত এই উৎসব হইয়া থাকে। এই পর্বে কুমারীরা একবেল উপবাস করিয়া কুমারী দেবীর পূজা করে বলিয়া ইহার নাম কুমারী ওষা। এ অঞ্চলের পল্লীতে পল্লীতে পনের দিন ধরিয়া বাজনা বাজে, ও নিম্নস্তরের শূদ্র জাতির কুমারীরা নাচিয়া ও গান গাইয়া উৎসব করে। প্রথমে কৃষ্ণ-অষ্টমীর দিন প্রাতঃকালে কুমারীর স্নান করিয়া নূতন রঙ্গীন কাপড় পরিয়া এক একথানি ডালা মাথায় করিয়া দল বাধিয়া গান গাইতে গাইতে কুমারী দেবী গড়িবার মাটা আনিবার জন্য বাহির হ্য় ; এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী বাজনদারেরা ঢাক শানাই ও কাড়া .ےه - - - - - - - - বাজাইতে বাজাইতে যায়। মেয়েরা বেল প্রায় দশটার সময় মাটা লইয়া ঘরে ফেরে এবং গান গাহিতে গাহিতে সকলেই এক একটি করিয়া,কুমারী দেবীর মূৰ্ত্তি গড়িতে

  • * প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩২৯

[३२*'छां%;">म'६७


S SAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAA SAAAAA AAAASAAA SS AASAASAASAASAAAS

থাকে। ঘরে ঘরে কুমারী দেবীর পুতুল বসে, ও দেয়ালের আল্পনায় উহার ছবি চিত্রিত হয় । যে কুমারী দেবীর নামে এই উৎসব, তিনি কে ? একজন ব্রাহ্মণ আমাকে বলিয়াছিলেন, “উনি বন-দুৰ্গা ।” বলিয়া রাখি যে ব্রাহ্মণ করণ (কায়স্থ) প্রভৃতি উচ্চ জাতির লোকেরা এ উৎসব করেন না। এই দেবী দুর্গ হইতে পারেন, কিন্তু শিবের উমা বা পাৰ্ব্বতী নহেন। ব্রাহ্মণ যাজকের উৎসবের শেষ দিনে ফুল ফেলিয়া দক্ষিণ লইতে আসেন বলিয়াই হউক, অথবা উৎসবকারীর; আৰ্য্য-সমাজভূক্ত হইয়াছেন বলিয়াই হউক, দেয়ালের আল্পনায় কুমারী দেবীর সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মী ও হর-পাৰ্ব্বতী প্রভৃতি দেবতাদের ছবি ও চিত্রিত হয় । ইতিহাসের হিসাবে ইহা ভালই হইয়াছে ; কারণ কুমারী যে হরপাৰ্ব্বতীর কেহ নহেন, তাহা সহজে বুঝিবার পথ রহিয়াছে । মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত দুর্গাস্তোত্রে দুর্গ অবিবাহিত ও বিন্ধ্যবাসিনী। পূৰ্ব্বে স্থানান্তরে এ বিষয়ে অনেক কথা লিথিয়ছি ; এখানে কেবল কথাটির উল্লেখ করিলাম । এই বিন্ধ্য-সংলগ্ন আরণ্য প্রদেশে সেই কুমারী দুর্গাই পূজা পাইঃ আসিতেছেন মনে হয়। ‘বলিয়াছি, যে, পূজার শেষ দিনেই কেবল ব্রাহ্মণ যাজক আসেন, নহিলে সারা উৎসবটি নাচিয়া গাহিয়াই শেষ হয়। অষ্টমীর রাত্রে কুমারীর পূজা শেষ হয় এবং নবমীর দিন প্রাতে কুমারীমূৰ্ত্তিগুলি বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের পরে গ্রামের কুমারীর ছাড়া অন্য স্ত্রীলোকেরাও নাচিয়া গান গায়, এবং বিশেষ ভাবে হালিতামাসার আনন্দ বাড়াইবার জন্য কয়েকজন বেহায় বর্ষীয়সী অনেক অশ্লীল গান গাহিয়া থাকে। বর্ণিত গ্রদেশে আধ্যসভ্যতা এখনও ভাল করিয়া बिछुड श्ब नाहे , खोउिनिर्छ অনেক প্রথাই অক্ষুন্ন আছে। ব্রাহ্মণাদি উচ্চবর্ণের লোকেরা যে পূজা ও উৎসব করেন ন, তাহার উৎপত্তি নিশ্চয়ই অনাৰ্য সমাজে। উৎসবটি যাহাদের মধ্যে প্রচলিত, তাহারে অহরূপ শ্রেণীর লোকেরাই কি আৰ্য-প্রভাবের পূৰ্ব্বে বলদেশে আপনাদের এইরূপ উৎসব করিত মা ? সন্দেহ হয়, বুজের দুর্গা পূজা