পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] চেক চাদর গুয়ে দেয়, তাহারা নির্বোধ। চরকার সূতায় গামছা ও তোয়ালে উত্তম বলিতে হইবে । বিছানার চাদর, লেপ বালিশের খোল চিরকাল গড়ায় হুইয়া আসিতেছিল । অতএব ধুতি শাড়ী ছাড়িয়া দিলেও খন্দরের অনেক প্রয়োজন আছে। বঙ্গদেশ এই সবেরই স্বতা যোগাইতে পরিবে কি না, সন্দেহ । যাহারা শিল্প-লোপের আশঙ্কার কাতর হইয় পড়িয়াছেন, তাহারা শুনিয়া আশ্বস্ত হইবে, চরকার মোটা সুক্রয় ঢাকাই তাতী ঢাকাই শিল্প স্বচ্ছন্দে প্রকাশ করিতেছে । কারণ সেটা শিল্প নয়, কলা। ত: ছাড়া, যে শিল্পে বিলাতী স্থত বষ্ট গতি নাই, সে শিল্প আছে ক ? ‘মেলিন্‌স ফুড থাইয়া যাহাকে বাচিতে হয়, সে আর বঁচিয়া কই ? বিলাতী সরু স্থত না পাইলে বে তা ভীকে অন্ধকার দেখিতে হয়, সে যে অন্ধকারেই আছে । মনে রাপিতে হইবে, তাহার সখেব ব্যাপার নয়, তাহার জীবিকা । ধে-সব স্থতা-কাট বিলাতী কল চলিতেছে, সেসবেব ভরসায় দেশ থাকিতে পারে কি ? সে কল কি কল, যার টেকো তৈয়ারি করিবার যোগ্যতাও আমাদের হয় নাই ? পাচ-ছয় লক্ষ টীকার কমে যে কল পাওয়া যায় না, সে-র কম বড় কলের দাম কে পায় ? কার পরিশ্রমে ও বুদ্ধিতে সে কলের উৎপত্তি ? বিলাতী-বর্জন নয় নিজের জীবন রক্ষার কথা। যাহাকে ভাত-কাপড়-ওষুধের তরে পরের মুখ তাকাইয়া থাকিতে হয়, সে বঁাচিয়া আছে কি ? খন্দরে এক আপত্তি, ইহার স্থত অসমান । কিন্তু, অসমান বলিয়াই যে স্বন্দর । ‘মার্কিন’ ও ‘লংক্লথের’ মস্তণতায় সৌন্দৰ্য্য কই ? দেখিবেন, কেবল মোটা বলিয়া খন্দরের কোট পরেন না, বৈষম্যে , সৌন্দৰ্য্য আছে বলিয়াই কোট করাইতেছেন । খদর থদর পরিলে না কি খেfটার মতন দেখায় ? বাঙ্গালীর ষে কি স্বধোগতি হইয়াছে, তাহার কাতিকের মূর্তিতেই প্রকাশ । যে কার্তিক দেব-সেনাপতি হইয়াছিলেন, তিনি কি ফুল-বাবু ছিলেন? খন্দর 'মোট । কিন্তু, • মোটাব ভিতরে মোটা চিত্ত্ব বরং থাকিছে পারে, চাই কেন ? সরুর ভিতরে নয়। লোকে কি বলিবে, সে আশঙ্কা নয় ; আশঙ্কা নিজের মনের কাছে । • মোটার আর-এক গুণ এই, অল্প কাপড়ে চলে । এই দুর্দিনে • অনাবশ্যক অর্থ ব্যয় উচিত কি ? যদি আট হাতে চলে, দশ হাত কেন পরিবে ? যদি ৩৮ ইঞ্চিতে চলে, কেন ৪৫ ইঞ্চি পরিবে ? (در هموسو আরও •কথা আছে । আমরা যত কাপড় চাই, তত কাপড দেশে জন্মিতেছে না। যখন এই অবস্থা, তখন কাপড় অপুব্যয় কর্তব্য কি ? যথন বস্থাভাবে কত নর নারী জরে ও শ্লেষ্মা ৰ ভূগিতেছে, শীতে কঁাপিতেছে, লজ্জায় ঘরের ভিতর লুকাইয়া আছে, আত্মহত্যাও করিস্থাছে, তখন লম্বা কোচা সাজে কি ? আমরা আট হাতে তুষ্ট হইলে আমাদের চারি জনের ফেলা কাপড়ে একজন দুঃগীর চলিয়া যাইবে । বস্ত্র দান করিতে বলি না, নিজের কাপড়-খরচ কমাইতে বলি। মৃত কম করিবে, কাপড়ের দামও তত কমিrব । ইয়ুরোপের যুদ্ধের সময় যে যে দেশ যুদ্ধ করিতেছিল, সে সে দেশে লোকের দৈনিক আহার বাধিয়া দেওয়া হইয়াছিল। কারণ আহারীয় প্রচুর ছিল না। শতের টানাটানি ও দুর্ভিক্ষের সময়, ভাতের ফেলা-ছোড়া চলে না। সেইরূপ, দেশটি যদি এক পুরিবার মনে করি, গেনও বিষয়ে কাহারও অপব্যয় কর্তব্য হইবে না। . আমাদের তাঁতীদেব প্রতিও দৃষ্টি কত ব্য। কলের চাপে তাহার পেষ হইয়া যাইতেছে । মাঝারী স্থতার কাপড় বুনিয়া কোনও তাতী বাচিতে পারে না । কলে সেখানে নিশ্চয়ই সস্তা। সর, বুনিয়া পারে: মোট বুনিয়াও পারে । ভাল পারে তা নয় ; কোনও রকমে বাচিয়া থাকিতে পারে । একথা পরে লিখিতেছি । মোট বুনিয়া যে পারে, তার সাক্ষী জোল যাহার কাচা ও গামছা বোনে, তা হ'রা ও এক রকম বঁাচিয়া আছে । যাহার খাদি বোনে, গড় বোনে, তাহারাও দশ-বার নম্বরের স্থতায় বোনে। কারণ মোটা বোন সোজা, বেশী বুনিতেও পারা ধায় । কলের পক্ষেও সে কথা বটে। কলে বাণি কম, হাতেও বাণি কম । ধে কম মোটা, সে কমে কল ৪ হাতে প্রায সমান