পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] রসস্থষ্টিতে ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্ৰজাল ዓboፃ AAAAAA AAAA AAAA AAAAMMeeAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AMiSAMA AMAMMMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAMMAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMMMMMMMMMAAAA আরব্যোপন্যাসের কাঠুরে বনে কাঠ কাটুতে যেত-সেসব শেষটা শুপাকার করে গাধা বোঝাই করে ঘরে নিয়ে আসা ছিল তার নিত্য কfজ—তার যানবাহন সামান্তই ছিল—এমনি করে তার প্রয়োজনের খাতিরের মান রক্ষা করতে হত। হঠাৎ একদিন তার ভাগ্যে সোনার ফসল জুটে গেল—মুঠি মুঠি স্বর্ণমুদ্র, হীরক-মরকত’ পে পেয়ে গেল। তা বয়ে নেওয়ার তার আর অন্য উপায় ছিল না –সে-সব গাধার পিঠেই আনন্দে চাপিয়ে বাড়ী চলল। আর সে-সবের দামও সে তার সোজ৷ চোখে দেখে বুঝল না—গণিতশাস্ত্রকে ব্যঙ্গ করে একগাছি দাড়িপাল্লা এনেই রত্নসম্ভারের পরিমাপ ঠিক কবৃতে হ’ল । রসহষ্টির পরিমাপও দুর্ভাগ্যক্রমে এমনি ভাবে অনেক কাল থেকে হয়েছে। এ যুগে একটা বড় রকমের সংস্পশ পাওয়া গেছে –একটা যাদুমন্ত্র হঠাৎ মানুষ পেয়েছে যাতে করে মানা দেশের শিল্প-সৌন্দর্য্য ও কাব্যগীতি একটা পরম রূপলোককে উদ্ভাসিত করে তুলছে স্নার হীরক-কনকের প্রাচুর্যে মানুষ বিস্মিত হচ্চে! আজও বি আমাদের সেসবকে পুরাণ ও রুগ্ন উপায়ে পরিমাপ করতে হবে ? আজও কি আমরা সে-সমস্ত স্বল্প-সৌন্দর্য্যকে গাধার পিঠে বোঝাই করে দুনিয়ার পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াব এবং শেষটা অমনি নিৰ্দ্দয় ভাবে গুদাম ভৰ্ত্তি করব ? ইতিহাসে দুবার পূর্ব-পশ্চিমের সৌন্দৰ্য্যগত মিলনের স্বচনা হয়েছে দেখতে পাওয়া যায়। প্রোফেসর স্ট্রিঝিগাওস্কির (strzygowski ) মতে বাইজেন্‌টাইনের মধ্যবৰ্ত্তিতায়, প্রাচ্য ভাবাকুসিক্ত পূৰ্ব্বাঞ্চলের হেলেনিষ্টিক (গ্ৰীক ) আর্ট উরোপের প্রাথমিক মিডিভেল (মধ্যযুগের) আর্টের উপর একটা বড় রকমের গভীর প্রভাব সঞ্চার করেছিল। কলার এই সংস্পর্শের ফলে আর্টের ভিতর ੀ। নূতন রস-সঞ্চার হয়েছিল—যা, ভাল হোক মন্ম হোক, পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমের ভিতর একূটা "াবের বিনিময় ঘটিয়েছিৰ। এবার এই মিলনের স্বচনা হয়েছে বৰ্ত্তমান কালে। পাহাড়ুের মত দেশকালের বাধা চূর্ণ হয়ে গিয়ে রসস্থষ্টিতে ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্ৰজাল w এ ভাব-সঙ্গম একটা অপূৰ্ব্ব রসলোককে সার্থক করে’ তুলছে। উরোপীয় কলার সহিত জাপানী আর্টের সঙ্গম ক্রমশঃ চীন ও ভারতকেও নিকটতর করেছে । ওদিকে প্রত্নতাত্ত্বিকদের বেবিলন পারস্য প্রভৃতি দেশের প্রত্নদ্রব্যাদির সঞ্চয়ও উরোপকে বাধা নোঙর ছিড়তে বাধ্য করেছে । শিল্পীরা এসিয়ার কন্‌ভেনশন বা প্রথা ও পদ্ধতি বিনাসঙ্কোচে গ্রহণ করেছে । ইমপ্রেশমিষ্ট, মোনের ছবি ত স্পষ্টভাবে জাপানী-হিরোসিগে ও হোকুশাইর ছবির সঙ্গে তা আশ্চৰ্য্যভাবে মেলে। এই রকমে একবার যেমন পথ ভাঙল স্বমনি প্রাচ্যভাবের স্রোত হুড়মুড় করে উরোপে• ঢুকুল। চৈনিক আর্টের প্রভাব উরোপের আর্টের উপর ব্যাপ্ত হয়েছে। এসব আমাদের কীৰ্ত্তি-কথা মনে না করে’ উরোপেরই ব্যাপকতর, জীবনলীলা মনে করা মন্দ নয়। যাকে decorative arts মণ্ডন-শিল্প বলা হয়, সে-সকলের মূলই হচ্ছে প্রাচ্য। কোন লেখক বলছেন ; The whole history of these arts in Europe is the record of the struggle between orientalism with its frank rejection of imi @ tation, its love of artistic convention, its

  • dislike to the actual representation of any ob

ject in Nature and our own imitative spirit. Whenever the former has been paramount as in Byzantine, Sicily and Spain by -ectual contact or in the rest of Europe by the influence of Crusades, we have had beautiful and imaginative work in which the visible things of life are transmuted to artistic conventions and the things that Life has not are invented and fashioned for her delight. - আধুনিক যুগেও পূৰ্ব্বদেশের সম্পর্কে এই স্বভাববাদের সম্পর্ককে—ঐন্দ্রিয়িক সত্যকে—পশ্চিম প্রত্যাখ্যান করে নূতন নূতন রসলীলায় আত্মহারা হয়ে গেছে। তার