পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RN, প্রাসাদের অপর পাrশ্ব, নির্জন প্রকোষ্ঠে, করতললঃকপোল সম্রাট চিন্তা করিতেছিলেন। কিয়ংকাল চিন্ত৷ করিয়া উঠিয়া রাজবেশ ত্যাগ করিয়া সাধারণ নাগরিকের বেশ ধারণ করিলেন। তৎপরে স্বহস্তে আলোক-নিৰ্বাপিত করিয়া প্রাসাদ হইতে গোপনে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। তাহার স্বতন্ত্র ক্ষুদ্র দ্বার ছিল, সেখানে প্রহরী থাকিত না। চন্দ্র অস্ত গিয়াছে। অশোক রাজপথ ত্যাগ করিয়া একটা সঙ্কীর্ণ পথে প্রবেশ' করিতেছেন, এমন সময় নগরপ্রহরী ডাকিল, “কে যায় ?” সম্রাট কহিলেন, “নাগরিক।” “বল, মহারাজ অশোকের জয়!” সেইরূপ বলিয়া সম্রাট গলিতে প্রবেশ করিলেন। সে পথে আলোক অল্প, অন্ধকারে অশোক সাবধানে চলিলেন । t কিছু দূর গিয়া দেপিলেন একটি জীর্ণ ক্ষুদ্র কুটার, দ্বার অৰ্দ্ধমুক্ত, ভিতরে প্রদীপের সামান্য আলোক । সম্রাট ধীরে ধীরে দ্বারে করাঘাত করিলেন। ভিতর হইতে কে কহিল, “দ্বার মুক্ত আছে, প্রবেশ কর।”. অশোক প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, জীর্ণ কন্থার উপর একটি বৃদ্ধা বসিয়া আছে। বৃদ্ধ কহিল, “তুমি তস্কর ? এ কুটার হইতে অপহরণ করিার যোগ্য কিছুই নাই।” সম্রাট কহিলেন, “আমি তস্কর নহি । আমি ধনবান নাগরিক, কাহারও কোনরূপ অভাব হইলে পূরণ করিবার প্রয়াস করি।” () বৃদ্ধার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপূর্ণ হইল, কহিল, “আমার অভাব কে পূর্ব ফরিবে ?” অশোক কহিলেন, “আমার সাধ্যের অতীত হয়, সম্রাট অশোককে জানাইব ।” বৃদ্ধার চক্ষু হইতে উদ্বেলিত অশ্রধারা বহিল, কহিল, "সম্রাট অশোককে আপনি জানেন ?” “জানি !" d “তিনি আমার অভাব মোচন করিবেন ?” “র্তাহার ক্ষমতা অসীম, ঐশ্বধ্য অতুল, তিনি ইচ্ছা করিলে কি না করিতে পারেন ?” “তিনি কি বড় দয়ালু ?” ●धबांनैौ-ब्रांश्मि, )లిశిషి [ २२* छां★, ७म ध७ “শুনিতে টু পাই।” - - “তিনি ত অশোক, তাহার কোন শোক নাই। তিনি কি অপরেরও দুঃখ মোচন করেন ?” "তিনি নিজে শোকশূন্য নহেন, কিন্তু তাহার বড়। ইচ্ছা সাধ্যমত অপরের শোক দূর করেন। অনেক সময় অমৃতাপে তিনি আকুল হন ।” - “কিসের জন্য অনুতাপ ?” “এই নিরবচ্ছিন্ন রাজ্য ও প্রতাপের বিস্তৃতির জন্য। এই সাম্রাজ্য কোন ছার, সমস্ত জগতের অধিপতি হইলেই বা কি ফল? সম্রাটের চারি পাশে চাটুবাদী, সত্যবাদী কেহ নাই। লোভ সকলের, মমতা কাহারও নাই । বহু পাশ্বচর, মিত্র কেহ নাই। কেবল তৃষ্ণ, নিবৃত্তি কিছুতে নাই ।” বৃদ্ধ প্রদীপ তুলিয়া সম্রাটের মুখের সম্মুখে ধরিল। জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে ?” mo সম্রাট মস্তক অবনত করিলেন, কছিলেন, “আমি অশোক ৷” বিস্ময়ে বা সম্বমে বৃদ্ধ অভিভূত হইল না। প্রদীপ রাখিয়া দিল। চক্ষের অশ্রু শুকাইয়া গিয়া চক্ষু অঙ্গারের ন্তায় জলিতে লাগিল। মুষ্টিবদ্ধ দক্ষিণ হস্ত সম্রাটের মুখের সম্মুখে ধরিয়া উন্মদিনীর ন্যায় বৃদ্ধ বলিল, “তুমি অশোক, তুমি সম্রাট, রাত্রে দস্থ্য-তস্করের ন্যায় এই ভগ্নপ্রায় জীর্ণ কুটীরে, এই বৃদ্ধ অনাথিনী ভিখারিণীর আলয়ে প্রবেশ করিয়াছ ? আর কেহ এ কথা শুনিলে হাসিবে। আমি জানি তোমার কথা সত্য, তুমি জগৎবিশ্রত রাজাধিরাজ অশোকই বটে। কোথায় তুমি প্রমোদগুহে নিলাজ নৃত্য দেখিবে, না তুমি এই শূন্ত প্রাচীন কুটীরে গভীর রাত্রে তস্করের ন্যায় প্রবেশ করিয়াছ ! কেন মহারাজ ? তুমি কি জান না, যে হত্যা করে সে হত্যাস্থানে পুনঃ পুনঃ আগমন করে, তাহার অন্তরের পাপ তাহাকে আকর্ষণ করিয়া লইয়া আসে ? তুমি অশোক, তোমার নামের সার্থকতা সম্পন্ন করিতে এই রাত্রে এমন স্থানে আলিয়াছ ? দয়ার সাগর তুমি, অর্থ দিয়া আমার দুঃখদারিদ্র্য মোচন করিবে ? মহারাজ, তস্করে ত তুচ্ছ তৈজস অপহরণ করে, তুমি যে আমার প্রাণসৰ্ব্বৰ