পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] মালবিকার প্লিত সিংহাসনচ্যুত হইয়াঙ্কিলন রাজকন্ত সে কথার কোন উল্লেখ করিলেন না । সম্রাট কহিলেন, “অনেকের আত্মকথা আত্মগরিমার • নামান্তর। তোমাকে দিয়া তাহা হইবে না, জানি। কিন্তু তুমি মনেরও কোন কথা প্রকাশ কর না । তোমার এই নবীন জীবনে কত আশার সঞ্চার, কত কল্পনা, কত বাঞ্ছা উদয় হইবার কথা । আমি তাহাই শুনিতে চাই । তুমি কিসের কামনা কর, কি তোমার বাঞ্ছনীয় ?” - -“মহারাজ, আমি কিছু প্রার্থনা করি না।” “কঠোর শব্দ ! তোমার নিকটে আমি সম্রাট নহি । প্রার্থনা কিসের ? তুমি আদেশ কর, আমি তোমার আদেশ প্রতিপালনের স্বথ মাত্র চাই ।” “মহারাজু, আপনার সৌজন্য ও আতিথ্যে আমি আপ্যায়িত হইয়াছি এবং আমার কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। আমার ত কিছুরই অভাব নাই ।” “ইহাত শুধু শিষ্টাচারের কথা। ইহার অপেক্ষ অধিক কি আর কিছু আশা করিতে পারি না ?” “মহারাজ, আশা ও লালসা উভয়েরই নিবৃত্তি নাই ।” & "এ কথা সত্য। আশা পূর্ণ হইলেই কি মুখ হয় ? কে বলিতে পারে ? সম্রাটের মুকুট ধারণে শিরঃপীড়া হয় মাত্র, আর কি ফল ? পিতৃপিতামহের এই বিশাল রাজ্য আমার পক্ষে গুরুভরি-মাত্র । সাধ্য-মত প্রজার হিত সাধন করি, তাঁহাদের কার্ঘ্যে সময় কাটিয়া যায়, কিন্তু ইহাতে সুখ শান্তি কোথায় ? যদি কাহাকেও স্বর্থী করিতে পারি, কাহারও শোকে সান্তন দিতে পারি, তাহা হইলেষ্ট আমার নাম ও জীবন সার্থক ।” “আমরা যাহাকে দুঃখ স্বখ মনে করি তাহা ত তুচ্ছ বস্তু, ও সেই কারণেই জীবন সঙ্কীর্ণ ও দুঃখদায়ক হইয়৷ উঠে । স্থখ-মরীচিকার অনুসরণেই জীবন বহিয়া যায়, সত্যকে মানুষ দৃঢ় করিয়া ধারণ করিতে পারে না । স্বধ ছদ্মন্ত্ৰপী স্বর্ণমৃগ, নিতা মানবকে সভ্য হইতে ভ্ৰষ্ট করে । ংযম ও চিত্তদমন ব্যতীত কি আর কোন স্বখ আছে : @ 動 io

মালুবিক, তোমার কথা শুনিয়া আমার অনেক

মালবিক 鬱 '\సిసి সময় বিস্ময় হয়। তুমি রাজকন্যা, যুবতী, সম্পদে ভোগে লালিত, সংসারের হুখে, সংসারের স্বানন্দ-কোলাহলে" তোমার নিবিষ্ট থাকিবার কথা, কিন্তু তুমি সৰ্ব্বদাই গভীর চিন্তায় মগ্ন থাক, তোমার মুখে আমি যে কত জ্ঞানগুঢ় কথা শুনিয়াছি তাহ বলিতে পারি না। যাহা কিছু স্পৃহণীয় সকলই তোমার আছে, অথচ সংসারের কিছুতেই তোমার বিশেষ স্পৃহা নাই। কিন্তু সংসারের দ্বারে দাড়াইয়া বীতরাগ হইও না। সংসারে প্রবেশ করিয়া দেখ।" 6. আবার জ্যোৎস্না রাত্রি আসিল আকাশে আবার श्रृंन5ऊँ उँनग्न श्झेन, फ्रक्षांप्लांटकब्र •उद्रल भन्नाञ्च छत्रं९ श्रांष्कृग्न श्छेल । © মালঞ্চে সম্রাট অশোক ধীরে ধীরে পাদচারণ করিতেছিলেন, পাশে মালবিক । বিকশিত পুষ্পের স্বগন্ধে উদ্যান পরিপূর্ণ। অলস, গন্ধবন্ত বায়ু বহিতেছিল । ধীর পদক্ষেপে, মালবিকার সমগতি, বীথিক হইতে বীথিকান্তরে, কখন মুক্ত দূৰ্ব্বাদলে সম্রাট ভ্রমণ করিতেছিলেন । গতি ধীর, কিন্তু হৃদয়ে তুমুল অধৈর্ঘ্য । তিনি স্থির কবিয়াছিলেন আজ মালবিকাকে বলিবেন যে তিনি তাহার প্রেমপ্রার্থ, পাণিগ্রহণের অভিলাষী । তাহাকে প্রধান মহিষী করি। প্রকাগু সভার স্বতন্ত্ৰ সিংহাসনে * স্থান দিবেন । ” মালবিকাও কি মনে করিয়া আজ নুতন বেশ ধারণ করিয়াছিলেন। যেমন অলঙ্কত হইয়া রাজধানীতে প্রবেশ করিয়াছিলেন, সেইরূপ অলঙ্ক ত হইয়-উষ্ঠান বাহির হইয়াছেন । প্রতি পদক্ষেপে চরণে অলঙ্কার শিঞ্জিত হইতেছে, অঙ্গের অলঙ্কার, ললাটে হীরকখণ্ড জলিতেছে। আবার সেই রাঙ্গরাজেশ্বরী মূৰ্ত্তি ! অশোকের মুখে কথা নাই, মালবিক ও নীরব। কিরংকাল পরে অশোক কহিলেন, “আজ তোমাকে কেন এখানে আহ্বান'করিয়া আনিয়াছি, তোমাকে কি কথা বলিবার জন্য আমাৰ হৃদয় ব্যগ্র হইতেছে তাহা কি বুঝিতে পারিতেছ না ?” ● মালবিগ অশোকের মুখে চক্ষু তুলিয়া আবার নত