পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ys করিলেন, কহিলেন, “মহারাজ, যদি বলি বুঝিতে পারিতেছি তাহ হইলে স্পৰ্ধার কথা হয়।” অশোক অধীর হইয়া মালবিকার হস্ত ধারণ করিলেন । রুদ্ধ বাক্যস্রোত মুক্ত হইল। “তুমি যেমন এই নগর আলোকিত করিয়া আসিয়াছিলে, সেইরূপ আমার হৃদয়ে জাইস। আমাকে অশোক বলিয়া সম্ভাষণ কর, তোমার মুখে আমার নাম শুনিয়া প্ৰৰণ শীতল হউক ! এ সাম্রাজ্য তোমার, তুমিই ইহার উপযুক্ত। কিন্তু তোমার সিংহাসন আমার হৃদয়ে, আমার হৃদয়-আসনে তোমার স্থান ।” মালবিক কহিলেন, "অশোক, যদি সংসারে আমার স্থান থাকিত, সম্পদের কামনা থাকত, তাহা হইলে আজ আমি আপনাকে পৌভাগ্যবতী বিবেচনা করিতাম। জগতে যাহা-কিছু বাঞ্ছনীয় আছে তুমি সকলই দিতে পার। তোমার যশ স্বর্ঘ্যের স্তায় স্বপ্রকাশ,কিন্তু তোমার দেবতুল্য প্রকৃতি সকলে জানে না । আমি জ্ঞানি। কিন্তু আমি সংসার-স্বখে বঞ্চিত, তোমার গৃহে প্রবেশ করিতে পারিব না।” “এমন কথা কেন বলিতেছে? কি দুঃখে তুমি সংসার ত্যাগ করিবে ? মালবিক, আমার্কে ছলনা করিও না, বল আমাকে বিবাহ করিবে।” অতি কোমল স্বরে—সে স্বরে নিরতিশয় করুণ, অসীম বেদন-মালবিক কহিলেন, “আমি ত সামান্ত মানবী, দেবী নহি যে ছলনা করিব। ঘটনাচক্র যদি প্রবাসী—জাখিন, ১৩২৯ SAMAMeMAMAMA AeAM MAMAAAA [ २२* छां★, ४भ थ७ ।। ~ ~ ~~ ~ ০২:১৯, ২১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) یمته অন্ত দিকে ফিরিত, যদি আমার মনের গতি অন্তরূপ হইত, তাহা হইলে আজ নিজেকে কৃতার্থ মনে করিতাম, কিন্তু সংসারে আমার স্পৃহা নাই। দেখিতেছি নশ্বর জীবনে কেবল অনিত্যের বাসনা। রূপ যৌবন, ঐশ্বৰ্য সম্পদ কয় দিন থাকে ? কে কাহাকে স্বর্থী করিতে পারে ? পিতার রাজ্য গিয়াছে, আমি তাহাতে মঙ্গল মনে করি। কোন দেবতা অলক্ষ্যে আমার হস্ত ধারণ করিয়া সংসারের বাহিরে লইয়া যাইতেছেন। তুমি কেমন করিয়া আমাকে সংসারে ফিরাইবে ? অশোক, মহারাজ, আমি স্কার ब्रांछकछ नई, श्रांभि डिक्रूी ।” g মাথা তুলিয়া মালবিক চন্দ্রের দিকে চাহিলেন। মুখে অপূৰ্ব্ব অলৌকিক দীপ্তি, চক্ষে প্রশান্ত কোমল দৃষ্টি। ধীরে ধীরে অঙ্গের প্রচ্ছাদন মুক্ত করিলেন । ভুজঙ্গিনী যেরূপ নিৰ্ম্মোক ত্যাগ করে, অঞ্চল ও অঙ্গের আবরণ প্রস্ত হইয়া সেইরূপ দূৰ্ব্বাদল আন্তরণে পতিত হইল। মালবিকার পদতলে অঙ্গবন্ত্র সংসপিণী সপিণীর স্তায় লক্ষিত হইল। অঙ্গের অলঙ্কার উন্মোচন করিলেন । ললাটের হীরক অঞ্চলে পড়িয়া ভুজঙ্গের মস্তকের মণির ন্যায় জলিতে লাগিল । এক মাত্ৰ গৈরিকবদনধারিণী ভিক্ষুণী সম্রাটের সম্মুখে দাড়াইলেন । - শ্ৰী নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত অন্ধকারে সম্মুখে মোর বইচে কল-জলস্রোত— ও যেন ওই অন্ধকারের অন্তরেরি ব্যথা কান্নাতে আজ ফেটে পড়ে অশ্রতে হয় ওতপ্লোত চম্কে দিয়ে নিশীথ-নিশার নিত্রিত স্তব্ধতা। ’ থেকে থেকে সজল বাতাস শিউরে বয়ে যায়, ও যেন তার আশ্রমাখা দীর্ঘনিশাস হায় ! মুখর আঁধার কোন অনাদি কালের থেকে এই আঁধারের মনক্ষোভ না জানি যে অনাগত কোন আলোকের লাগি, নিত্য নীরব জমে জমে গভীর ব্যথার গোপন ভোগ শ্রাবণে সে কেঁদে কেবল বারেক উঠে জাগি । ঘরের দুয়ার দিছি খুলে, নয়নে নাই নিক্সা-বোধ,— · অন্ধকারে সম্মুখে মোর বইচে কল-জলস্রোত ! 钴 “ ঐ রাধাচরণ চক্ৰবৰ্ত্তীর্ণ