পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brea. , ASA SSASAS A SAS SSAS SSASAS SAAAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAAAS বন্ধুরা কিন্তু নৈস্থধের এই ভদ্রতায় ভুললেন না ; বেশ বুঝলেন যে তিনি ব্যাপারটা চাপা দিচ্ছেন। তাই র্তারা সবাই বললেন, “না নিশ্চয়ই দশটা ছিল।” কিন্তু তা হলে আর-একটা গেল কোথায় । নৈস্থখের ঠিক পাশেই যিনি ছিলেন তিনি তার কাপড় খুলে ফেলে বেশ করে ঝেড়ে সবাইকে দেখিয়ে দিলেন। পাশের দ্বিতীয় লোকটি নিঃশবে উঠে তাই করলেন । , কিন্তু এ কি ! তৃতীয় লোকটি গম্ভীর হয়ে চুপ করে বসে রইলেন ; লজ্জায় তার মুখ রাঙা হয়ে উঠেছে। কিছুক্ষণ সে অবস্থায় থেকে তিনি সেখান হতে উঠে এলেন । মেঝেতে হাটু গেড়ে বসে’ হাত-দুখানি উৰ্দ্ধে তুলে তিনি ভাঙা গলায় সকলকে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন ; "বন্ধুগণ, জীবনটা বিড়ম্বনাময়। আমার কাপড় তল্লাস করেই বা কি হবে ? আমার কাছে একটি মোহর আছে ; বাড়ী থেকে আস্বার সময় সেটিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। অদৃষ্টের ফেরে আজ তাই আমাকে চোর বনৃতে হলো। আমার পূৰ্ব্বজন্মের পাপেরই বোধ হয় এ শান্তি। যা হোক আমি আঁর এ জীবন রাখবো না।” এ কথা বলেই প্রকৃত সামুরাইদের মত তিনি আত্মহত্য করতে উদ্যত হলেন । সবাই তাকে বাধা দিয়ে বলে উঠলেন—“আহ, আহ, করেন কি আপনি ত সত্যি কথাই বলছেন। আপনি কেন মোহর নেবেন ? আমরা গরীব সন্দেহ । নেই, তা বলে সঙ্গে নিয়ে না ঘুরলেও আমন এক-আধটা মোহর আমাদের ঘরে সবারই আছে।” . কথাটা যত জোরে তারা বলতে পারলেন, বিশ্বাস করতে তত জোরে পারলেন না। কেননা মনে মনে র্তারা বেশ জানতেন যে আধখানা মোহরও তাদের সমস্ত ঘর খুঁজে বের করা যাবে না । তখন সেই লোকটি বলতে লাগলেন, “তেকুজো আমাকে যে ছোরাটি তৈয়ারী করে দিয়েছিল কাল আমি সেটিকে জুজেমনের কাছে এক মোহরে বিক্ৰী করেছি। যা হোক, সে কথা আর বলে’ কি হবে। আমার ইজৎ গেছে। মৃত্যুই এখন আমার শ্রেয়। আমি এখনই আত্মহত্য করবো। কিন্তু আপনারা আমার প্রবাসী—অশ্বিন, ులిశ్చిసి [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ^్న একটা কথা কুখবেন কি ? কাল যেন একবার জুজেমনের কাছে আপনার যান, তবেই আমার কথার সত্যাসত্য টের পাবেন। কথা শেষ করে তিনি যখন পেটের ভিতর ছোরা বসাতে যাচ্ছেন তখন চীৎকার করে হঠাৎ একজন অভ্যাগত বলে উঠলেন, “এই যে, এই যে, মোহরটি পাওয়া গেছে। বাতিটর আড়ালে পড়ে ছিল ; এইমাত্র কুড়িয়ে পেলাম।” সকলেই হাফ, ছেড়ে বাঁচলেন। লোকটিরও মার । আত্মহত্যা করতে হল না। সবাই বললেন—“ভাল করে’ না খোজার ফলে কি ফ্যাসাদই ঘটুছিল !” বিপদ কেটে যাবার আনন্দে সবাই সবাইকে একচেটি ধন্যবাদ দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বলেন। কিন্তু তখনই নৈহুখের স্ত্রী দৌড়ে এসে চীংকার করে বললেন, “এই যে মোহরটি, বাক্সটির ডালায় আটুকে ছিল।” उाहे उ, ७ ऊ बफ़ अडूङ । श्रदर्थं नश:१ब्र शैौ যা বললেন সেটা সত্য ঘটনা। কিন্তু তা হলে যে দশটির জায়গায় এগারটি মোহর হয়ে বস্লো। তবে রাতির আড়ালে যেটি পাওয়া গেল সেটি এল কোথ৷ থেকে ? নিশ্চয়ই সেটি, অভ্যাগতদের মধ্য হতে কেউ রেখেছিলেন। কিন্তু রাখলেন কে ? সকলেই পরস্পরের মুখ চাইলেন। দশটি মোহর এগারটি হল—এ ত বেশ ভাগ্যেরই কথা এই বলে সকলে নৈস্থখকে র্তাদের খুব আনন্দ জানিয়ে দিলেন । নৈস্থখের বাড়ীওয়ালাও নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন । তিনি বললেন, “দশটি মোহরের একটি হারিয়ে নয়টি হয়েছিল, ফের পাওয়া যাওয়াতে দশটি হয়েছে, এটা ত স্বাভাবিক ; কিন্তু এগারটি হল কি করে’ ? আপনাদের মধ্যে নিশ্চয় সেই বিপদের সময় কেউ একটি দিয়েছেন । ধিনি দিয়েছেন তিনি বলুন এবং অনুগ্রহ করে তারটা ফিরিয়ে নিন।” - বারবার অমুরুদ্ধ হয়েও কেউই মোহরটিকে নিজের বলে স্বীকার করতে রাজী চলেন না। অনেকক্ষণ কেটে গেল। সকলেই অস্বস্তি বোধ করতে লাগলেন, কিন্তু তবুও মোহরের মালিক ঠিক হল না। এই ব্যাপারে ।