পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭$ সংখ্যা ] o AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAA AAASAAAA সমস্ত আনন্দোৎসবট মাটি হয়ে গেল । ষে বাড়ীওয়াল জিজ্ঞাসা করলেন—“দেখুন, আমি যাকে মালিক সাব্যস্ত করে দেবো তাকে আপনারা মানবেন ?” সকলেই রাজী হলেন । - • তখন তিনি, বললেন, “বেশ, তা হলে শুকুন। মোহরটি বাক্সে ভরে বাইরে বাগানের বেড়ার কাছে যে কুয়োটি আছে সেখানে রেখে আসব। আপনারা সকলে একে একে সেই পথ দিয়ে বাড়ী চলে যাবেন । প্রত্যেকেই যাবার সময় ঘরের দরজাটি বন্ধ করে যাবেন এবং বাগানটি পেরিয়ে বেড়ার দরজাটি দিয়ে বেরিয়ে যাবেন । বেড়ার দরজাটি বন্ধ হওয়ার শব্দ না পাওয়া পর্য্যস্ত অন্য কেউ আর বের হবেন না। যাবার সময় যার মোহর তিনি নিয়ে যাবেন ।” ভারতীয় শিল্পপ্রতিভ e SAASAASAASAA AAAA AAAASAAeAAA AAAA AAAA S AAA S AAAAA AAAAA ۹هم به هم- ه Եao JAAJAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMJAAAS বাক্সে ভরে মোহরটি কুয়োর কাছে রেখে আসা হল। একে একে সবাই চলে গেলেন। সৰাই চলে গেলে নৈন্থখ ও তার পত্নী বান্ধটি গিয়ে দেখলেন, মোহরটি তার ভিতরে আর নেই । আচ্ছা, নিল কে ? কেউই তা জানেন না ; কিন্তু এটা নিশ্চয়ই—যে দিয়েছিল সেই নিয়েছে ; কারণ তারা যে সবাই সামুরাই । গরীব হলেও আত্মসন্মান-জ্ঞান তাদের যথেষ্টই ছিল এবং কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য তারা ভাল করেই বুঝতেনু।* • শ্ৰী সতীশচন্দ্র সেন LL

  • জাপানের সপ্তদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ লেখক ইকুৱা সইকাকুর একটি গল্পের ইংরেজী অনুবাদ হইতে অনুদিত ।

ভারতীয় শিপপ্রতিভা । - মানুষের মনে যে স্বজনী শক্তির বেগ আছে তার প্রকাশচেষ্টাতেই শিল্পকলার জন্ম। স্বষ্টি বলতে আমরা দুটো কথা বুঝি, স্রষ্ট, যে স্বষ্টি করবে, এবং সেই জিনিষ, যা স্বই হবে। শিল্পীর উপাদান হচ্ছে জীবন,—গ্রাণের প্রাচুর্ঘ্যকে, তার অন্তহীন বৈচিত্র্যকে রূপের ভিতর দিয়ে ব্যক্ত করে তোলু, শিল্প-রচনার মধ্যে আকার দান করাই হচ্ছে ঞ্জর সমস্ত সাধনার লক্ষ্য। শিল্পরচনামাত্রই স্বষ্টি, এবং সেইজন্তে তার মধ্যে একটা প্রাণধৰ্ম্ম আছে যাকে অবলম্বন করে সে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে এবং নিজের অস্তিত্বের অধিকার ও সভ্যতা প্রমাণিত করে ;–তার সার্থকতার মূল কারণ তার নিজেরই মধ্যে নিহিত, বাহিরে বা অন্য কোথাও নয়। প্রত্যেক শিল্পরচনাতেই রেখা, সমতল ক্ষেত্র, আয়তন ও বর্ণ পরস্পবের সঙ্গে একটা গভীর সামগু, একটা নিবিড় সম্বন্ধের গুঢ় যোগস্থত্রে বিধৃত হয়ে বিরাজ করে, একটা বিশিষ্ট অভিপ্রায়স্থচক আকৃতির মধ্যে তারা একটা ভাবের ঐক্যে মিলিত হয়ে তাৎপৰ্য পায় এবং লনম্ভের চিরন্তন সঙ্গীতকে ধ্বনিত করে তোলে। দেশে দেশে যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জীবনের এক একটা অংশ সমাদৃত হয়ে থাকে, জীবনের এক-একটা রূপ নূতন করে যেন চোখে পড়ে যায়, এবং সেইজন্তে কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বংশানুক্রমেই শিল্পীর মনেরও দিক-পরিবর্তন না হয়ে পারে না, শিল্পস্থষ্টির প্রবাহ ক্রমাগত নব নব ক্ষেত্রে প্রশ্নহিত্যু হয়ে তবেই যৈন আপনার প্রকৃত সত্তাকে অসুভব করে। এই কারণে পৃথিবীতে অধ্যাত্ম জগতের আর অন্ত নেই, চার দিক থেকেই আমরা এই-সব অদৃশ্য ভুবনের দ্বারা পরিবেষ্টিত ; কোন শুভমুহূৰ্ত্তে অকস্মাৎ কোন শিল্পীর- বলছে তাদের রহস্তের ঘন-আবরণ সহসা উন্মুক্ত হয়ে যাবে, তাদের অন্তরের গোপন কথাটি আবার এক নূতন প্রাণের স্পর্শে সঞ্জীবিত হয়ে সজীব সত্য হয়ে উঠবে—সেই আশাপথ চেয়ে যেন তারা নীরব ধৈর্ষ্যে চির-অপেক্ষায়মান হয়ে থাকে । আর্ট সম্বন্ধে আলোচনা কবৃতে হলে প্রথমেই রূপরু এবং সাঙ্কেতিকতা জাতীয় সব কথা ভোলা চাই, কারণ শিল্পরচনা মাত্রই প্রকাশ, মূল সত্যের সঙ্গে তাদের একেবারে সোজাস্বজি কারবার,এবং সত্যকে অখণ্ডভাবে