পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ ാ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAeSeMeSAAAAAA SAAAAA AAAA AAAA AeMAMS f কৈলাশ-মন্দির—এলোর সংযত এবং ঘনীভূত করে তোলে, অন্ততঃ এইদিকেই তার বিশেষ দৃষ্টি পড়েছে বলে’ ত মনে হয়। অজন্তাগুহার গায়ে, গায়ে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী বা ঘরবাড়ীর মক্স, মানুষ দেবদেবী অথবা প্রাণীজগতের যে-সব মান বর্ণ ও রূপের ধনসমাবেশপূর্ণ বিচিত্র চিত্ররচনা আছে তাতেও এই রেখ জিনিষটাই হয়েছে ভাবপ্রকাশের প্রধান বাহন,–ছবির গুঢ় অভিব্যঞ্জনা ও যথার্থ তাৎপর্ঘ্য তারি মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে। এই সামান্ত কয়েকটি দৃষ্টান্ত থেকেও ভারতীয় শিল্পকলার মূলনীতি এবং আদর্শ সম্বন্ধে হয়ত কিছু কিছু বোঝা যাবে । এইসব মূলনীতি এবং বিশেষ বিশেষ প্রয়োগপ্রণালী ভারতীয় শিল্প সম্বন্ধে ঠিক তেমনই অবশ্যপ্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক জগতের দৈর্ঘ্য-প্রন্থ-বেধকে চিত্র বা ভাস্কর্য্যের সমতল ক্ষেত্রে কেবল দৈর্ঘ্য ও প্রন্থে পরিণত করা মিশরদেশীয় শিল্পের পক্ষে যেমন প্রয়োজন হয়েছিল; এবং ইউরোপীয় রেমেশাসের সময় কার ত্রিকোণ পদ্ধতি fswī <tttwtwo ( Baroque ) ] চিত্রগুলির কোণাকুণি বা তিৰ্য্যকৃগামী রচনাবিন্যাসপ্রণালীকে যেমন ভাবে মেনে নেওয়া হয় এদেরও ঠিকৃ তেমনি ভাবেই মেনে নিতে হবে । তা ছাড়া এ কথাও মনে রাখতে হবে যে ভারতীয় শিল্পের একটা অত্যন্ত বিস্ময়োদ্দীপক বিশেষত্বষ্ট এই যে একে কিছুতেই কোনো একটা বিশেষ শিল্পপ্রণালী বা কোনো একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরিণত করা যায় না, এর অসীম প্রাণশক্তি নানাপ্রকার পরস্পরবিরোধী গতিকে বা ধারাকে শোষণ করে নিয়েছে এবং সব ছাড়িয়েও আপন প্রকৃতিকে পূর্ণ প্রকাশিত করতে পেরেছে। অবিচ্ছিন্ন ভাৰকে, কল্পমূৰ্ত্তিকে রূপের মধ্য দিয়ে আকারের মধ্য দিয়ে পাবার জন্যই ভারতীয় শিল্পে পরিমাণ, আয়তন ও রেখা ব্যবহৃত হয়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বগা যৈতে পারে যে খৃষ্টপূৰ্ব্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে যে বুদ্ধমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয়, কিম্ব তার বহু পরে হিন্দুশিল্পী