পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AMMA AeAAA AAAA AAAAeAeAee مہمہمہمہی میٹھی۔ یہ حملے ভিতর দিয়ে, জীবনের বিরাট ছন্দকে f দিতে চেষ্টা ब८िब्रट्छ्न ! এই বিরাট ছন্দের তালে সমস্ত বিশ্বপ্রকৃতিই ত নিয়ত স্পদিত হয়ে উঠছে, তাই আর্টিষ্টের কাছে কোনো জিনিষই সামান্ত বা তুচ্ছ নয়, কিন্তু শিল্পরচনার সময় তিনি কোনো একটা বিশেষ জিনিষকেই বড় করে দেখেন, জগং যেন তখনকার মত ঐ • একটা রূপের মধ্য দিয়েই র্তার কাছে সার্থক হয়ে ওঠে। তা ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত জুিনিযই তার কাছে মূল্যবান এবং অর্থসূচক বলে র্তার শিল্পরচনাতেও তিনি কোনো জিনিষকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না, পটভূমির কোনে জায়গাতেই শূন্যতা রেখে বা কোনো সামান্ত রেখাতেও প্রাণসঞ্চার না করে তিনি সন্তুষ্ট হন, না। এইজন্যে এই শিল্পে এমন একটা ছবি বা প্রস্তর-ক্ষোদিত মূৰ্ত্তি নেই যা আগাগোড় বিবিধ আকারস্থষ্টিতে পরিপূর্ণ নয়, সাচির যে অত বড় বিশাল তোরণদ্বার তারওঁ সমস্তটা কাঠামো খোদাইকরা বড় বড় প্রস্তর-ফলকের দ্বারা আবৃত, আর এই-সব ফলকও আবার প্রথম থেকে শেষ অবধি সমস্তখানি স্বাক্ষাতিসূক্ষ্ম কারুকাৰ্য্যে খচিত এবং চিহ্নচিত্রিত। শিল্পী যেন শূন্ততার বিভীষিকায় ভীত হয়ে কোনো একটা জায়গায় এসে থেমে যেতে সাহস পান নি, আর এইজন্তে তিনি ক্রমাগত নূতন নূতন আকারস্থষ্টি করে বিশাল পাথরটার প্রতি কোণ প্রতি রন্ধু, ভরে তুলেছেন, এবং অত বড় যে তোরণ তারও উপরিভাগ যথাসম্ভব মূৰ্ত্তি প্রতিমূৰ্ত্তি দিয়ে সজ্জিত করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে । মন্দিরের বেলাতেও দেখতে পাওয়া ধায় ঠিক এই ঘটেছে, তাদের দেয়াল বা বহির্দেশকে অসংখ্য প্রস্তরমূৰ্ত্তি এবং রেখাচিত্রে আচ্ছন্ন না করে’ ছাড়া হয়নি। স্থাপত্য এবং ভাস্কর্ধ্যের মধ্যে যা ব্যবধান ছিল-সে যেন অপসারিত ভারতীয় শিল্পপ্রতিভা g 。b->> হয়ে গেল, কোনখানে এসে যে কার আরম্ভ এবং কার শেষ তাও বোঝা শক্ত। শিল্পী ধেনু বড় বড় বাড়ীর কঠিন আড়ষ্ট জড়ত্বের ভাবে কিছুতেই তৃপ্ত হতে না পেরে সৌধশিল্প" এবং শিলাশিল্পের ( ভাস্কৰ্য্য ) একটা সম্মিলন করবার চেষ্টা করেছেন, যতক্ষণ তার হাতে একটুকুও নিৰ্ম্মাণসামগ্রী অবশিষ্ট থেকেছে তিনি ক্রমাগত কেবল এক রূপের মধ্য থেকে অন্য রূপের উৎপত্তি করেছেন, এবং এইভাবে জড়জিনিষের মধ্যেও একটা জীবন্ত ভাব, একটা ছন্দোময় প্রাণের চাঞ্চল্য এসে গিয়েছে, কোঠাবাড়ীর কাঠিন্য শিল্পের সৌন্দর্য্যে কমনীয় হয়ে দেখা দিয়েছে। শিবের তাওব নৃত্যের প্রস্তরমূৰ্ত্তিতে যেমন, এখানেওe তেমনি–শিল্পের দিক থেকে দেখু তে গেলে সমুখ বা পিছন বলে যেন কোনো জিনিষের অস্তিত্বই নেই, আছে কেবল একটা বাধাহীন গতির বিকাশ, একটা ঘূর্ণমান বেগের প্রবাহ । ভারতীয় শিল্পের সম্ভবপরতা অসীম। মানুষ এবং প্রকৃতি, আধ্যাত্মিক জগৎ বা স্কুল জগৎ, স্থাপত্য বা ভাস্কৰ্য —সকলের মধ্যে যে গৃঢ় সম্বন্ধস্বত্র, গভীর অন্তনিহিত ঐক্য আছে এই দেশের শিল্পী ছন্দোময় শিল্পরচনার মধ্য দিয়ে প্রাণপূর্ণ রেখাবিন্যাসের মধ্য দিয়ে সেইটিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন এবং গ্রীষ্মপ্রধান দেশের স্বাভাবিক প্রাচুর্ঘ্যের ভাব অথবা গণিতগত জটিলতার অভাব আছে কি না-আছে সেটা ভাববার বিষয় নয়, আসল কথা হচ্ছে এই যে সহজেই তার মধ্যে একটা সত্য উপলব্ধির আন্তরিকতা, একটা ভাবের স্বচ্ছতা, এবং একটা যথার্থ গভীরতা দেখতে পাওয়া যায় । *- - - ষ্টেল ক্রীমূরিশ

  • শ্ৰীঅমিল্লচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী দ্বারা ইংরেজী হইতে অনুদিত।