পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե ծՆ , বসিয়: ছিল । ঘরটি অতি স্বন্দরভাবে সাহেবী ফ্যাসানে সাজান । কার্পেট-পাতা মেজেতে কিছুক্ষণ যুরিল, ইলেক্‌টিক আলোয় নীল সিদ্ধের আবরণ টানা ছিল, সেটা টানিয়া খুলিয়া দিল, বড় আয়নার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, ঘড়ি দেখিল, রাত বারটা বাজিয়া গিয়াছে। যতীন অতি উগ্র রকমের সাহেব, চেয়ার-টেবিলে না বসিলে, কোট-প্যান্ট না পরিলে বাঙ্গালী কখনও কৰ্ম্মে ক্ষিপ্ৰতা লাভ করিবে না, শাক চচ্চড়ি ভাড় ছাড়িয়া মাংস না খাইলে তাহার দেহ হঠাম মাংসবহুল হইবে না, আর পাশ্চাত্য সভ্যতা বরণ না করিলে জাতির পুনরুখান হইবে নী, এই ছিল তাহার মত। বর্তমান জগতে যে যন্ত্ররাজ বণিকসভ্যতারাণীকে লইয়া ' রাজত্ব করিতেছেন, সেছিল তাহারই এক মূৰ্ত্তিমান প্রতিনিধি। ধীরে দরজা খুলিয়া মাধবী পাশেই ঘরে ঢুকিল। এক . বড় সেক্রেটেরিয়েট টেবিলের সম্মুখে গদিওয়াল ঘোরান চেয়ারে বসিয়া ক্লিপিং-ফুট পরিয়া যতীন এক বড় খাতা লইয়া হিসাব দেখিতেছিল। ধীরে মাধবী টেবিলের পাশে আসিয়া দাড়াইল, চেয়ারটা একটু ঘোরাইল, খাতা হইতে মুখ না তুলিয়া যতীন বলিল,—আচ্ছা? তুমি এখনও শোওনি? যাও, যাও, শীগগীর শুতে যাও, অনেক রাত হয়েছে । মাধবী ধাড়াইয়া রহিল। —আ! দেখ-দেখি হিসেবটা গুলিয়ে দিলে,-—বলিয়া যতীন পাতার উপর হইতে আবার অঙ্কগুলি গুণিতে লাগিল। সে-পাতার হিসাব শেষ করিয়া যতীন মাধবীর দিকে মুখ তুলিয়া বলিল,— খে, আজ আমায় এ খাতাখান চেক করে রাখতেই **, Tosa Nog cotovità dividend declare করতে হবে। অনেক রাত-লক্ষ্মী মেয়ে, আর রাত জেগো না, শুতে যাও । তাহার মুখের দিকে আর খাতার দিকে একবার স্থির নয়নে তাকাইয়া বক্রমধুর হাসিয়া কোন কথা না दनिश भाषशै शैय्द्र पत्र श्रेटङ बाहिब श्रैश cन । যতীন নিমেষের জন্য তাহার এই যাওয়ার সৌন্দৰ্য্যগতির দিকে চাহিল, তাহার মধ্যে প্রেমভূষিত বিরহী মানুষটি ক্ষণিকের জঙ্গ জাগিয়া বলিল,-বন্ধ কর থাত, ও হিসাব চিরজীবন ধাকুৰে, কিন্তু এ বর্ধার রাত প্রবালী-আশ্বিন, ১৩২৯ [ २२° उग, »न १० অমনি কখগৰ্ব্বিত ইঞ্জিনিয়ার মাচুরুটি,দাবাইয়া উঠিল, —nfanta, “don't be sentimental, *tw wtt*, লভ, পরে। বিরহী মানুষের কান্না অঙ্কের কালো দাগের মধ্যে কোথায় চাপা পড়িয়া গেল। পাইপ টানিতে টানিতে যতীন লিমিটেড কোম্পানীর dividendএর p, c. করিতে বসিল । o মাধবী ধীরে গুইবার ঘরে গিয়া ঢুকিল। পূৰ্ব্বদিকের জানলার সবুজ Äts FIST cretonne I. পর্দাটা টানিয়া জানুলা খুলিয়া পাশের কিংখাবে মোড়া সোফায় ক্লোন দিয়া বসিল । বাহিরে তখন বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছে, আকাশ নিক্যমণির মত কালে, চাপা আৰ্ত্তনাদের মত বাতাস কয়েকটি নারিকেল গাছ মৰ্ম্মরিত করিতেছে, অন্ধকারে কিছু দেখা যাইতেছে না, শুধু দীর্ঘশ্বাসের মত করুণ একটানা শব্দ। মাধবীর চক্ষে অশ্র আসিল না, বক্ষে হতাশ্বাস উঠিল না, প্রদীপ্তনেত্রে অন্ধকারের দিকে চাহিয়া ब्रश्लि । প্রায় ছয় মাস হইল তাহাদের বিবাহ হইয়াছে। এই ছয় মাসেই তাহার জীবনের সব স্বপ্ন ছুটিয়া গিয়াছে। কেন সে যতীনকে বিবাহ করিয়াছিল, আর্দ্র স্তন্ধ অন্ধকারে সে-কথা ভাবিকে চেষ্টা করিল। • আপনার মনকে সে বিবাহের পূৰ্ব্বেও বুঝিতে পারে নাই, এখনও বুঝিতে পারিল না। কোন অজানা শক্তির হাতে সে যেন ক্রীড়নক, এ তিমিররাত্রি পার করিয়া কাণ্ডার কোথায় লইয়া যাইবে ! o মাধবীর কাছে যতীন যখন বিবাহের প্রস্তাব করিয়াছিল, সে অসন্মতি জানাইয়াছিল। কিন্তু যতীন হার মানিল না, হার মানা তার স্বভাব নয়, সে মাধবীর পিতার শরণাপন্ন হইল। রমলা চলিয়া যাইবার পর যোগেশ-বাবুর মদের মাত্র দিন দিন বাড়ি যাইতেছিল। কোন কোন বিনিজ রাত্রে তিনি ভূতের মত বাড়ীর চারিদিক ঘুরিতেন। এক সকালে দেখা গেল, যে-ঘরে মাধবীর মা মরিয়াছিলেন, সেই ঘরের দ্বারের সম্মুখে তিনি অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া আছেন। কত অর্জরাত্রে মাধবী জাগিয়া শুনিত, পাশের ঘরে তাহার পিতা গো গো শৰে, জাৰ্ত্তনাদ করিতেছেন"। • so